রাজশাহী কলেজের বাস উল্টে ৩ ছাত্রী নিহত, আহত ২৫
রাজশাহী
কলেজের শিক্ষার্থী বহনকারী বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা ইসলাম
পরিবহনের বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন ছাত্রী নিহতসহ অন্তত ২৫ জন আহত
হয়েছেন। গতকাল দুপুর পৌনে ১টার দিকে নগরীর উপকণ্ঠে কাটাখালি জুটমিলের সামনে
এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় রাজশাহী কলেজের ছাত্রী বহনকারী বাসটি নিয়ন্ত্রণ
হারিয়ে পাশের খাদে উল্টে যায়। নিহতরা হলেন সমাজকর্ম বিভাগের প্রথম বর্ষের
মাহমুদা আক্তার তানিয়া (২২), ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের সীমা (২৩) ও
ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের শারমিন (২৫)। অন্যদিকে আহতদের মধ্যে ১৬ জন
ছাত্রীকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হাসপাতালের ১ নম্বর, ৮
নম্বর ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে বেশ কয়েক ছাত্রীর অবস্থা
গুরুতর বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
গতকাল দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে রাজশাহী কলেজের লাকি পরিবহনের একটি বাস কলেজ থেকে (ঢাকা-জ-৩৬৫১) ছাত্রীদের নিয়ে পুঠিয়ার বানেশ্বর যাচ্ছিল। পথে কাটাখালি জুট মিলের সামনে সিরাজগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী ইসলাম পরিবহনের বাসের (ঢাকা-জ-১১-০৮৪০) সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ছাত্রীবাহী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ সময় আশপাশের লোক এসে উদ্ধারকাজে নেমে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের উদ্ধার করে বানেশ্বর থেকে আসা একটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে রাজশাহী সদর ফায়ার স্টেশন ও বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন কর্মীদের যৌথ প্রচেষ্টায় দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার শিকার পরিসংখ্যান অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী কিশোয়ারা লিজা জানান, বিকট শব্দে সামনে থেকে কিছু এসে বাসের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এরপর তিনি সব কিছু অন্ধকার দেখেন। পরে স্থানীয় লোকজন গাড়ির পেছনের দিক দিয়ে তাকে টেনে উদ্ধার করে। দুর্ঘটনায় তিনি তেমন আহত না হলেও অন্য ছাত্রীরা গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের নাক, মুখ, হাত, পা থেকে রক্ত ঝরছিল। এ সময় বাসে প্রায় ৫০ জন ছাত্রী ছিলেন বলে জানান ওই ছাত্রী। রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সহকারী পরিচালক আহসানুল কবির বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল কর্মীরা আহত ১৬ ছাত্রীকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নেন। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে দুপুরেই রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মহা. হাবিবুর রহমান রামেক হাসপাতালে ছুটে যান এবং আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। একই সঙ্গে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন অধ্যক্ষ। রামেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান ডা. বি. কে দাম সাংবাদিকদের জানান, দুর্ঘটনায় আহত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্য ছাত্রীদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ইফতে খায়ের আলম জানান, ছাত্রীবাহী বাসটি হেলপার চালাচ্ছিল বলে জানা গেছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
গতকাল দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে রাজশাহী কলেজের লাকি পরিবহনের একটি বাস কলেজ থেকে (ঢাকা-জ-৩৬৫১) ছাত্রীদের নিয়ে পুঠিয়ার বানেশ্বর যাচ্ছিল। পথে কাটাখালি জুট মিলের সামনে সিরাজগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী ইসলাম পরিবহনের বাসের (ঢাকা-জ-১১-০৮৪০) সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ছাত্রীবাহী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের পাশে খাদে পড়ে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ সময় আশপাশের লোক এসে উদ্ধারকাজে নেমে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের উদ্ধার করে বানেশ্বর থেকে আসা একটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে রাজশাহী সদর ফায়ার স্টেশন ও বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন কর্মীদের যৌথ প্রচেষ্টায় দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার শিকার পরিসংখ্যান অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী কিশোয়ারা লিজা জানান, বিকট শব্দে সামনে থেকে কিছু এসে বাসের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এরপর তিনি সব কিছু অন্ধকার দেখেন। পরে স্থানীয় লোকজন গাড়ির পেছনের দিক দিয়ে তাকে টেনে উদ্ধার করে। দুর্ঘটনায় তিনি তেমন আহত না হলেও অন্য ছাত্রীরা গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের নাক, মুখ, হাত, পা থেকে রক্ত ঝরছিল। এ সময় বাসে প্রায় ৫০ জন ছাত্রী ছিলেন বলে জানান ওই ছাত্রী। রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সহকারী পরিচালক আহসানুল কবির বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল কর্মীরা আহত ১৬ ছাত্রীকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নেন। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে খবর পেয়ে দুপুরেই রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মহা. হাবিবুর রহমান রামেক হাসপাতালে ছুটে যান এবং আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। একই সঙ্গে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন অধ্যক্ষ। রামেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান ডা. বি. কে দাম সাংবাদিকদের জানান, দুর্ঘটনায় আহত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্য ছাত্রীদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ইফতে খায়ের আলম জানান, ছাত্রীবাহী বাসটি হেলপার চালাচ্ছিল বলে জানা গেছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
No comments