জিম্মি উদ্ধারে শক্তি প্রয়োগ বন্ধ হবে না: আমেরিকা
জিম্মি
উদ্ধারে ব্যর্থ এক অভিযানে মার্কিন একজন সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে
বিতর্কের মাঝে আমেরিকার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, অ্যামেরিকার কৌশল বদলাবে
না। মার্কিন কোনো নাগরিক জিম্মি হলে, প্রয়োজনে তাকে উদ্ধারে ভবিষ্যতেও
শক্তি প্রয়োগ করা হবে। ইয়েমেনে আল কায়দার সাথে সংশ্লিষ্ট জঙ্গিদের হাতে
আটক আমেরিকান ওই সাংবাদিককে উদ্ধারের সময় তিনি ছাড়াও আরেক দক্ষিণ
আফ্রিকান জিম্মিও মারা যান। তবে মার্কিন মন্ত্রী স্বীকার করেন, অভিযানে
ত্রুটি ছিল। কিন্তু কৌশল বদলের সম্ভাবনা তিনি নাকচ করে দিয়েছেন। মার্কিন
স্পেশাল ফোর্সেস সাংবাদিক লুক সমার্সকে মুক্ত করার প্রচেষ্টা এর আগেও
চালিয়েছিল এবং এর আগেও তারা ব্যর্থ হয়েছিল। গত জুলাই মাসে সিরিয়ায় আটক
আরেক সাংবাদিক জেমস ফোলির উদ্ধার প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়। এখন সর্বশেষ এই
ব্যর্থ অভিযানের জন্যও অপহৃত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে মার্কিন
বাহিনীর কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। লুক সমার্সের বিমাতা পেনি বিয়ারম্যান
বলছেন, তিনি নিজে না হলেও তার পরিবারের কোন কোন সদস্য এই ব্যর্থতার জন্য
মার্কিন সরকারকেই দোষারোপ করছেন। তিনি বলেন, “মি. সমার্সকে জীবিত উদ্ধার
করার লক্ষ্যে যে আলোচনা চলছিল, তাতে আরো বেশি সময় দেয়ার দরকার ছিল।”
মার্কিন সরকার বলছে, তারা এই অভিযান চালাতে বাধ্য হয়েছে কারণ তাদের কাছে
খবর ছিল যে মি. সমার্সের জীবন হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছিল। ওদিকে, দক্ষিণ
আফ্রিকার শিক্ষক পিয়ের কর্কির মুক্তির লক্ষ্যেও আল কায়েদা জঙ্গিদের
সঙ্গে আলোচনা চলছিল। গিফ্ট অফ দা গিভার্স নামে একটি দাতব্য সংস্থা বলছে,
মি. কর্কিকে দু-একদিনের মধ্যে ছেড়ে দেয়া হতো। এখন এই অভিযানের ফলে সেই
সম্ভাবনা একেবারে চুরমার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এসব ব্যর্থতার পরও মার্কিন
প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেল বলছেন, জিম্মি উদ্ধারের প্রশ্নে
যুক্তরাষ্ট্রের যে নীতিমালা রয়েছে তাতে কোনো পরিবর্তন ঘটবে না। মি. হেগেল
বলেছেন, যে প্রক্রিয়ায় জিম্মি উদ্ধার অভিযান চালানো হয় তা ব্যাপক।
কিন্তু তা কি নিখুঁত বা নিরাপদ? না, তা নয় বলেই তিনি স্বীকার করেন। কিন্তু
একজন আমেরিকানকে আটকে রাখা হয়েছে এবং একজন আমেরিকানের জীবন বিপন্ন, এই
বিবেচনা থেকেই তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের কাজের শুরুও সেখান
থেকেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। সূত্র: বিবিসি
No comments