ঢাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও পুলিশ
(
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার
সুযোগ দেয়ার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে আহত এক
শিক্ষার্থী) ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ
দেয়ার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। গতকাল
দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত রাজধানীর শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরির সামনে এ
ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ আহত হয়েছেন ১৪ জন। আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ
হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতরা হলেন- শাহবাগ থানার
উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজ, কনস্টেবল আবদুর রহমান ও শাহজাহান এবং
আন্দোলনকারীদের মধ্যে ফারজানা আক্তার ইতি (বদরুননেছা কলেজ), নিশি
(সেন্ট্রাল উইমেন কলেজ), ফাতেমা ও রূপন্তী (ভিকারুন নেসা), সাদিয়া (মতিঝিল
মডেল কলেজ), হাবিব ইসলাম (শহীদ স্মৃতি পুলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ), শাকিল
(কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ), রাতুল (উত্তরা মডেল কলেজ), দেলোয়ার ইসলাম ও
আতিক (রেসিডেন্সিয়াল কলেজ), আহসান বারী (ইউল্যাব স্কুল অ্যান্ড কলেজ)। এদের
মধ্যে নিশি ও রূপন্তীসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে পুলিশ বুট দিয়ে লাথি মেরেছেন
বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। আহতদের মধ্যে আবদুর রহমান, শাহজাহান,
ফারজানা ও সাদিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটককৃতরা
হলেন ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম জিলানী শুভ, খন্দকার আহসান
হাবীব (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ), সিরাজুল ইসলাম রিয়াজ (ইউল্যাব স্কুল
অ্যান্ড কলেজ)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্দোলনকারীরা জানান, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়ার কথা ছিল। সকাল ১০টার দিকে টিএসসি’র রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হতে থাকে তারা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংগঠনের কিছু নেতাকর্মী তাদের কর্মসূচিতে যোগ দেয়। বেলা ১২টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে পাবলিক লাইব্রেরির সামনে বাধা দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীদেরও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে ৫-৬ জন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে পাবলিক লাইব্রেরির সামনের রাস্তায় অবস্থান করে তারা। এতে রাস্তার একপাশে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে রাস্তার স্বাভাবিক গাড়ি চলাচল ব্যাহত হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শাহবাগ থানার পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা হাবিলুর রহমান আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে ফের পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি হয়। পরে পুলিশ সরে আসে। এরপর বেলা ১টার দিকে আন্দোলনকারীদের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে রওনা হয়। এর পরপরই আবারও আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে ফের পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তিতে জড়ায় তারা। বেলা ২টার দিকে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম আন্দোলনকারীদের কর্মসূচিতে এসে তাদের ব্যবহৃত মাইকের সংযোগ বন্ধ করে সাউন্ড বক্স নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটে। এতে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ জলকামান থেকে পানি ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা চারুকলা অনুষদের উত্তর গেইট দিয়ে চারুকলার ভেতরে প্রবেশ করে গেইট বন্ধ করে দেয়। এতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আন্দোলনকারী ছাত্রী ফারজানা জানান, বিনা কারণে পুলিশরা আমাদের (মেয়ে আন্দোলনকারী) ওপর বুট দিয়ে লাথি মেরেছে, লাঠিপেটা করেছে। এতে আমাদের অনেক ছাত্রীর কোমর, পাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে। এই ধরনের ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। পরে আন্দোলনকারীরা চারুকলা অনুষদের প্রধান গেইট দিয়ে বের হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অবস্থান নেয়। পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. ইব্রাহিম খান সাংবাদিকদের বলেন, দুপুর ১২টা থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পাবলিক লাইব্রেরির সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এতে জনসাধারণের দুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়াতে বেলা ২টার দিকে তাদের সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু তারা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়েছে। এতে আমাদের ৩-৪ জন পুলিশ আহত হয়েছে, আটক করা হয়েছে ৩ জনকে। সন্ধ্যায় শাহবাগ থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা হাবিলুর রহমান জানান, আটককৃতরা থানায় আছে। তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। রাতে রাজু নামের এক আন্দোলনরত শিক্ষার্থী জানায়, অবিলম্বে আটককৃতদের মুক্তি দিতে প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আর্কষণ করছি, নইলে আজ নতুন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্দোলনকারীরা জানান, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়ার কথা ছিল। সকাল ১০টার দিকে টিএসসি’র রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হতে থাকে তারা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম ছাত্র সংগঠনের কিছু নেতাকর্মী তাদের কর্মসূচিতে যোগ দেয়। বেলা ১২টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে পাবলিক লাইব্রেরির সামনে বাধা দেয় পুলিশ। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীদেরও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে ৫-৬ জন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে পাবলিক লাইব্রেরির সামনের রাস্তায় অবস্থান করে তারা। এতে রাস্তার একপাশে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে রাস্তার স্বাভাবিক গাড়ি চলাচল ব্যাহত হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শাহবাগ থানার পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা হাবিলুর রহমান আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে ফের পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি হয়। পরে পুলিশ সরে আসে। এরপর বেলা ১টার দিকে আন্দোলনকারীদের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে রওনা হয়। এর পরপরই আবারও আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে ফের পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তিতে জড়ায় তারা। বেলা ২টার দিকে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম আন্দোলনকারীদের কর্মসূচিতে এসে তাদের ব্যবহৃত মাইকের সংযোগ বন্ধ করে সাউন্ড বক্স নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটে। এতে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ জলকামান থেকে পানি ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা চারুকলা অনুষদের উত্তর গেইট দিয়ে চারুকলার ভেতরে প্রবেশ করে গেইট বন্ধ করে দেয়। এতে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আন্দোলনকারী ছাত্রী ফারজানা জানান, বিনা কারণে পুলিশরা আমাদের (মেয়ে আন্দোলনকারী) ওপর বুট দিয়ে লাথি মেরেছে, লাঠিপেটা করেছে। এতে আমাদের অনেক ছাত্রীর কোমর, পাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত লেগেছে। এই ধরনের ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। পরে আন্দোলনকারীরা চারুকলা অনুষদের প্রধান গেইট দিয়ে বের হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অবস্থান নেয়। পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. ইব্রাহিম খান সাংবাদিকদের বলেন, দুপুর ১২টা থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পাবলিক লাইব্রেরির সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এতে জনসাধারণের দুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়াতে বেলা ২টার দিকে তাদের সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু তারা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়েছে। এতে আমাদের ৩-৪ জন পুলিশ আহত হয়েছে, আটক করা হয়েছে ৩ জনকে। সন্ধ্যায় শাহবাগ থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা হাবিলুর রহমান জানান, আটককৃতরা থানায় আছে। তাদের বিরুদ্ধে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। রাতে রাজু নামের এক আন্দোলনরত শিক্ষার্থী জানায়, অবিলম্বে আটককৃতদের মুক্তি দিতে প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আর্কষণ করছি, নইলে আজ নতুন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
No comments