বাংলাদেশের পরশপাথর by সাজ্জাদ শরিফ
কেউ
কেউ সই করলেন সমঝোতা চুক্তিতে। কী? তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা হবে
সামাজিক ব্যবসার পাঠ। শুধু তাত্ত্বিকতার সীমাতেই বিষয়টি আটকে থাকল না।
স্বাক্ষরিত হলো সামাজিক ব্যবসার চুক্তিপত্র। অনেকেই শোনালেন তাদের সামাজিক
ব্যবসার জাদুই সাফল্যের গল্প। তাঁরা এসেছেন মেক্সিকো, হাইতি, স্পেন,
আলবেনিয়া, ইসরায়েলসহ নানা দেশ থেকে
সামাজিক ব্যবসা কী? অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বললেন, মুনাফাহীন নিঃস্বার্থ ব্যবসা। কীভাবে তা সম্ভব? সেই অসম্ভবের কথা শোনাতেই প্রতিবছর এক দেশের পর আরেক দেশে চলছে সামাজিক ব্যবসা সম্মেলনের আয়োজন। সেখানে মুহাম্মদ ইউনূস মঞ্চে উঠছেন জাদুকরের মতো। নিপাট সরল ভাষায় এমন এক সম্মোহন ছড়িয়ে তার ব্যাখ্যা করছেন, মনে হচ্ছে একেবারে জলবত্তরলং। গেল ২৭-২৮ নভেম্বরে মেক্সিকো সিটির সামাজিক সম্মেলনে বিষয়টি তিনি সেভাবেই ব্যাখ্যা করলেন আবার। শুধু যে বললেনই, তা তো নয়। সামাজিক ব্যবসায় জড়িত, উৎসাহী, পণ্ডিত, করপোরেট কর্তা—এ রকম এন্তার লোক সেখানে এলেন। কেউ কেউ সই করলেন সমঝোতা চুক্তিতে। কী? তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা হবে সামাজিক ব্যবসার পাঠ। শুধু তাত্ত্বিকতার সীমাতেই বিষয়টি আটকে থাকল না। স্বাক্ষরিত হলো সামাজিক ব্যবসার চুক্তিপত্র। অনেকেই শোনালেন তাদের সামাজিক ব্যবসার জাদুই সাফল্যের গল্প। তাঁরা এসেছেন মেক্সিকো, হাইতি, স্পেন, আলবেনিয়া, ইসরায়েলসহ নানা দেশ থেকে।
এসেছিলেন ওয়ালমার্টের সিইও বা মেক্সিকোর প্রথম সারির ব্যাংক বানামেক্সের উচ্চপদস্থদের মতো আরও বহু করপোরেট প্রতিষ্ঠানের হর্তাকর্তারা। তাঁদের কেউ কেউ এরই মধ্যে সামাজিক ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন। কেউ হয়তো যুক্ত হতে আগ্রহী। তাঁদের অনেকে এসেছেন বিষয়টির পরিধি ও সম্ভাবনা বুঝে দেখতে।
মুহাম্মদ ইউনূস তাঁদের বোঝাতে চান, করপোরেট সামাজিক দায়িত্ব থেকে এসব প্রতিষ্ঠান যে টাকা খরচ করছে, তাতে নানা ব্যক্তি উপকৃত হচ্ছেন বটে। কিন্তু সেই টাকা আর ফিরে আসছে না। কিন্তু সেই টাকায় সামাজিক ব্যবসার মূলধন গড়ে তুললে তার সুফল পাবেন অনেকে। সেখান থেকে টাকা নিয়ে কোনো নবীন উদ্যোক্তা উঠে দাঁড়িয়েই টাকাটি ফেরত দিয়ে দেবেন। সেই টাকা তখন আরেক উদ্যোক্তার কাজে লাগবে।
মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকেই জানা গেল, কার্লোস স্লিম সামাজিক ব্যবসার মন্ত্রে দারুণ উজ্জীবিত। সামাজিক ব্যবসাকে তিনি এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। জনাব স্লিম এখন পৃথিবীর শীর্ষতম ধনী। এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত তাঁর করপোরেট হোল্ডিংয়ের মোট পরিমাণ ছিল ৭৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
কার্লোস স্লিমের বাড়ি মেক্সিকো। সামাজিক ব্যবসার মডেল দেশের বাইরে মেক্সিকোতেই সবচেয়ে বড় আকারে কাজ করছে। মেক্সিকোয় মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রহণযোগ্যতা দারুণ। এখানকার এক সাংবাদিক, এদুয়ার্দো সান্তানা, এই প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘অধ্যাপক ইউনূস মেক্সিকোয় রীতিমতো রক-তারকার মতো জনপ্রিয়।’
কথা হলো বিশ্ব সামাজিক ব্যবসায় সম্মেলনের প্রধান হান্স রাইৎসের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘বাংলাদেশের একটি সৃষ্টিশীল ভাবনা থেকে সারা পৃথিবী শিখছে। শুধু শিখছে না, সে মডেল প্রয়োগ করে নানা রকমের সামাজিক সংকটের সমাধান করছে। কেমন এক অনুপ্রাণিত হওয়ার মতো ঘটনা, বলো?’
সামাজিক ব্যবসা কী? অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বললেন, মুনাফাহীন নিঃস্বার্থ ব্যবসা। কীভাবে তা সম্ভব? সেই অসম্ভবের কথা শোনাতেই প্রতিবছর এক দেশের পর আরেক দেশে চলছে সামাজিক ব্যবসা সম্মেলনের আয়োজন। সেখানে মুহাম্মদ ইউনূস মঞ্চে উঠছেন জাদুকরের মতো। নিপাট সরল ভাষায় এমন এক সম্মোহন ছড়িয়ে তার ব্যাখ্যা করছেন, মনে হচ্ছে একেবারে জলবত্তরলং। গেল ২৭-২৮ নভেম্বরে মেক্সিকো সিটির সামাজিক সম্মেলনে বিষয়টি তিনি সেভাবেই ব্যাখ্যা করলেন আবার। শুধু যে বললেনই, তা তো নয়। সামাজিক ব্যবসায় জড়িত, উৎসাহী, পণ্ডিত, করপোরেট কর্তা—এ রকম এন্তার লোক সেখানে এলেন। কেউ কেউ সই করলেন সমঝোতা চুক্তিতে। কী? তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে খোলা হবে সামাজিক ব্যবসার পাঠ। শুধু তাত্ত্বিকতার সীমাতেই বিষয়টি আটকে থাকল না। স্বাক্ষরিত হলো সামাজিক ব্যবসার চুক্তিপত্র। অনেকেই শোনালেন তাদের সামাজিক ব্যবসার জাদুই সাফল্যের গল্প। তাঁরা এসেছেন মেক্সিকো, হাইতি, স্পেন, আলবেনিয়া, ইসরায়েলসহ নানা দেশ থেকে।
এসেছিলেন ওয়ালমার্টের সিইও বা মেক্সিকোর প্রথম সারির ব্যাংক বানামেক্সের উচ্চপদস্থদের মতো আরও বহু করপোরেট প্রতিষ্ঠানের হর্তাকর্তারা। তাঁদের কেউ কেউ এরই মধ্যে সামাজিক ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন। কেউ হয়তো যুক্ত হতে আগ্রহী। তাঁদের অনেকে এসেছেন বিষয়টির পরিধি ও সম্ভাবনা বুঝে দেখতে।
মুহাম্মদ ইউনূস তাঁদের বোঝাতে চান, করপোরেট সামাজিক দায়িত্ব থেকে এসব প্রতিষ্ঠান যে টাকা খরচ করছে, তাতে নানা ব্যক্তি উপকৃত হচ্ছেন বটে। কিন্তু সেই টাকা আর ফিরে আসছে না। কিন্তু সেই টাকায় সামাজিক ব্যবসার মূলধন গড়ে তুললে তার সুফল পাবেন অনেকে। সেখান থেকে টাকা নিয়ে কোনো নবীন উদ্যোক্তা উঠে দাঁড়িয়েই টাকাটি ফেরত দিয়ে দেবেন। সেই টাকা তখন আরেক উদ্যোক্তার কাজে লাগবে।
মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকেই জানা গেল, কার্লোস স্লিম সামাজিক ব্যবসার মন্ত্রে দারুণ উজ্জীবিত। সামাজিক ব্যবসাকে তিনি এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। জনাব স্লিম এখন পৃথিবীর শীর্ষতম ধনী। এ বছরের অক্টোবর পর্যন্ত তাঁর করপোরেট হোল্ডিংয়ের মোট পরিমাণ ছিল ৭৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
কার্লোস স্লিমের বাড়ি মেক্সিকো। সামাজিক ব্যবসার মডেল দেশের বাইরে মেক্সিকোতেই সবচেয়ে বড় আকারে কাজ করছে। মেক্সিকোয় মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রহণযোগ্যতা দারুণ। এখানকার এক সাংবাদিক, এদুয়ার্দো সান্তানা, এই প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘অধ্যাপক ইউনূস মেক্সিকোয় রীতিমতো রক-তারকার মতো জনপ্রিয়।’
কথা হলো বিশ্ব সামাজিক ব্যবসায় সম্মেলনের প্রধান হান্স রাইৎসের সঙ্গে। তিনি বললেন, ‘বাংলাদেশের একটি সৃষ্টিশীল ভাবনা থেকে সারা পৃথিবী শিখছে। শুধু শিখছে না, সে মডেল প্রয়োগ করে নানা রকমের সামাজিক সংকটের সমাধান করছে। কেমন এক অনুপ্রাণিত হওয়ার মতো ঘটনা, বলো?’
No comments