দুই বাসের সংঘর্ষে রাজশাহী কলেজের ৩ ছাত্রী নিহত
রাজশাহীতে
দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাজশাহী কলেজের তিন ছাত্রী নিহত হয়েছেন। এ
ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এরা সবাই রাজশাহী কলেজের ছাত্রী। রোববার
বেলা একটার দিকে পবা উপজেলার কাটাখালী এলাকায় রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে এ
দুর্ঘটনা ঘটে। কলেজে তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কলেজ
কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই
বাসে থাকা ছাত্রীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার পর ক্লাস শেষে বাড়ি ফিরছিলেন
তারা। ছাত্রী বহনকারী লাকি (ঢাকা-জ-৩৬৫১) নামের এই বাসটি কাটাখালীতে
পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা ইসলাম পরিবহনের অপর একটি বাসের মুখোমুখি
সংঘর্ষ হয়। এ সময় ছাত্রীদের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশসহ স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের ইনচার্জ মতিউর রহমান জানান, রাজশাহী কলেজের ছাত্রীদের বহনকারী বাসটি প্রথমে অপর একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পরে সেটি খাদে পড়ে যায়। বাসের আসনের নিচে চাপা পড়া ছাত্রীদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠনো হয়।
এদিকে, হাসপাতালে ভর্তির পর তিন ছাত্রী মারা গেছেন। নিহতরা হলেন- কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদা আক্তার তানিয়া, ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের সীমা ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী শারমিন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনালের একেএম নাসির উদ্দিন তাদের মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছে- রাজশাহী কলেজের অনার্স ভূগোল দ্বিতীয় বর্ষের আদুরি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান চতুর্থ বর্ষের ফাজিলা, বোটানির শেষ বর্ষের লাবণী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষের সেতু, অর্থনীতি দ্বিতীয় বর্ষের তুফানি হালদার, ইসলামী শিক্ষার শেষ বর্ষের মুন্নী, সমাজবিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষের আফিয়া ও অর্থনীতি প্রথম বর্ষের সুমি।
এদিকে নিহত ও আহতদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাবেক মেয়র এএইএম খায়রুজ্জামান লিটন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক ফেরদৌস শারমিন চৌধুরী, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুর রউফ মিয়া ও রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হবিবুর রহমান। বিকালে রাজশাহী কলেজে নিহতদের লাশ নেয়া হলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাদের সহপাঠীরা।
প্রফেসর হবিবুর রহমান যুগান্তরকে জানান, শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। নিহতদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কথাও ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কলেজের গণিত বিভাগের প্রফেসর মোশাররফ হোসেনকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বাংলা বিভাগের প্রফেসর আল ফারুক ও ওলিউর রহমান, ইতিহাস বিভাগের ড. কামাল হোসেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের আবদুর রাজ্জাক। এছাড়া কলেজে তিন দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, এ দুর্ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফজলে রাব্বিকে প্রধান করে তিন সদস্যের আরও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা করে ও কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।
রাজশাহী কলেজের নিজস্ব পরিবহন না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া করা বাসেই চলাচল করতে হয় এখানকার শিক্ষার্থীদের। পর্যাপ্ত বাসের অভাবে শিক্ষার্থীরা ঠাসাঠাসি করেই এসব বাসে যাতায়াত করেন বলে কলেজ সূত্রে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের ইনচার্জ মতিউর রহমান জানান, রাজশাহী কলেজের ছাত্রীদের বহনকারী বাসটি প্রথমে অপর একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পরে সেটি খাদে পড়ে যায়। বাসের আসনের নিচে চাপা পড়া ছাত্রীদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠনো হয়।
এদিকে, হাসপাতালে ভর্তির পর তিন ছাত্রী মারা গেছেন। নিহতরা হলেন- কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদা আক্তার তানিয়া, ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের সীমা ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী শারমিন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনালের একেএম নাসির উদ্দিন তাদের মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতদের মধ্যে রয়েছে- রাজশাহী কলেজের অনার্স ভূগোল দ্বিতীয় বর্ষের আদুরি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান চতুর্থ বর্ষের ফাজিলা, বোটানির শেষ বর্ষের লাবণী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষের সেতু, অর্থনীতি দ্বিতীয় বর্ষের তুফানি হালদার, ইসলামী শিক্ষার শেষ বর্ষের মুন্নী, সমাজবিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষের আফিয়া ও অর্থনীতি প্রথম বর্ষের সুমি।
এদিকে নিহত ও আহতদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাবেক মেয়র এএইএম খায়রুজ্জামান লিটন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক ফেরদৌস শারমিন চৌধুরী, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুর রউফ মিয়া ও রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হবিবুর রহমান। বিকালে রাজশাহী কলেজে নিহতদের লাশ নেয়া হলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাদের সহপাঠীরা।
প্রফেসর হবিবুর রহমান যুগান্তরকে জানান, শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। নিহতদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কথাও ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কলেজের গণিত বিভাগের প্রফেসর মোশাররফ হোসেনকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বাংলা বিভাগের প্রফেসর আল ফারুক ও ওলিউর রহমান, ইতিহাস বিভাগের ড. কামাল হোসেন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের আবদুর রাজ্জাক। এছাড়া কলেজে তিন দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, এ দুর্ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফজলে রাব্বিকে প্রধান করে তিন সদস্যের আরও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা করে ও কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।
রাজশাহী কলেজের নিজস্ব পরিবহন না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া করা বাসেই চলাচল করতে হয় এখানকার শিক্ষার্থীদের। পর্যাপ্ত বাসের অভাবে শিক্ষার্থীরা ঠাসাঠাসি করেই এসব বাসে যাতায়াত করেন বলে কলেজ সূত্রে জানা গেছে।
No comments