হাগুপিটের আঘাতে ফিলিপিন্সে ভূমিধস
ফিলিপিন্সের
দেলোরেস জেলা ও পূর্বাঞ্চলীয় সামার প্রদেশে শনিবার রাত ৯টায় আঘাত হেনেছে
টাইফুন হাগুপিট। প্রচণ্ড বাতাসের তোড়ে বহু গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে
পড়েছে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে শক্তিশালী জলোচ্ছ্বাসের আশংকা করা হচ্ছে। প্রথম
আঘাতেই দেলোরেস জেলায় ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে
বলা হয়েছে, উপকূলীয় গ্রামগুলো থেকে ৬ লাখেরও বেশি লোক অন্যত্র আশ্রয়
নিয়েছেন। ফিলিপাইনের তাকলোবান এলাকায় বিভিন্ন বাড়িঘরের ছাদ উড়ে গেছে এবং
রাস্তাঘাট বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। তবে হাগুপিটের আঘাতে যে ধরনের ক্ষতির
আশংকা করা হয়েছিল তার চেয়ে কম ক্ষতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত সেখানে প্রাণহানির
কোনো খবর পাওয়া যায়নি। কর্তৃপক্ষ এবার সব রকম প্রস্তুতি রেখেছিল বলে
জানিয়েছে। তবে খুবই প্রত্যন্ত এলাকায় কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা জানতে কিছু
সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আশংকার চেয়ে
কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় ভূমিধসের সম্ভাবনা কম। তবে প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া বইছে।
এতে গাছপালা ভেঙে বসতবাড়ির ওপর পড়তে পারে। আলবাই প্রদেশের গভর্নর জোয়ে
সালসেডা বলেন, ‘গত বছর আঘাত হানা টাইফুন হাইয়ান আমাদের শিখিয়েছে যে, সব সময়
প্রস্তুত থাকো এবং সময়মতো ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে নাও।’
তিনি বলেন, ‘এবার আমরা তাই করেছি। প্রাণহানি এড়াতে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া ছিল খুব জরুরি।’
স্থানীয়ভাবে এ টাইফুনের নাম দেয়া হয়েছে ‘হাগুপিট বা রুবি’। রোববার স্থানীয় সময় রাতে পূর্বাঞ্চলের সামার প্রদেশের দোলোরেসে এটি আঘাত হানে। এ সময় বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
দোলোরেস পুলিশের মুখপাত্র অ্যালেক্স রবিন বলেন, টাইফুনের আঘাতে বহু গাছপালা ভেঙে পড়েছে।
তাকলোবানে ইউনিসেফের মাঠপর্যায়ের কার্যালয়ের প্রধান মাওলিদ ওয়ার্ফা বলেন, প্রচণ্ড ঝড়ে তাদের পাঁচতলা ভবন কাঁপছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন অন্ধকার ঘরের মধ্যে রয়েছি। বাইরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। কোনো বিদ্যুৎ নেই। আমরা মোমবাতি ব্যবহার করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটি জেনারেটর আছে। তবে প্রবল বৃষ্টি, বন্যা ও জ্বালানি সংকটের কারণে সেটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এটা খুবই বিপজ্জনক।’ তাকলোবানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ের মুখপাত্র দেরান্দো বেরনাদাস বলেন, উপকূলীয় গ্রামগুলো থেকে প্রায় ১৯ হাজার লোককে ২৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
১০ ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়
৭ হাজার ১০০ দ্বীপ নিয়ে গঠিত ফিলিপিন্স দেশটি প্রতি বছর গড়ে প্রায় ২০টি ঘূর্ণিঝড়ের মুখে পড়ে। দেশটির প্রাণঘাতী ১০টি ঘূর্ণিঝড় এখানে তুলে ধরা হল-
সুপার টাইফুন হাইয়ান
২০১৩ সালের ৮ নভেম্বর ফিলিপিন্সের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। সরকারি হিসাবে কমপক্ষে ৭ হাজার ৩৫০ জন মানুষের প্রাণহানি বা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে।
থিমেলা
১৯৯১ সালের ১৫ নভেম্বর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এই ঝড়ে ও সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ৫ হাজার ১০০ মানুষের মৃত্যু হয়।
বোফা
২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণাঞ্চলীয় মিন্দানাও দ্বীপে আঘাত হানলে ১৯০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
আইক
১৯৮৪ সালের ৩১ আগস্ট আইকের আঘাতে কেন্দ্রীয় ফিলিপিন্সে ১ হাজার ৩৬৩ জনের মৃত্যু হয়।
ওয়াশি
২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মিন্দানাওয়ের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানে। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৮০।
ট্রিক্স
১৯৫২ সালের ১৬ অক্টোবর ট্রিক্সের প্রভাবে বন্যা ও ভূমিধসে লুজন দ্বীপের ৯৯৫ জন মানুষ মারা যায়।
অ্যামি
১৯৫১ সালের ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় দ্বীপপুঞ্জে ৯৯১ জন মানুষের মৃত্যু ঘটে।
নিনা
১৯৮৭ সালের ২৫ নভেম্বর লেগাসপিতে। মৃতের সংখ্যা ৯৭৯ বলে দাবি করা হয়।
ফেংশেন
২০০৮ সালের ২০ জুন ফেংশেনের আঘাতে ৯৩৮ জনের মৃত্যু ঘটে।
অ্যাঞ্জেলা
১৯৯৫ সালের ২ নভেম্বর অ্যাঞ্জেলায় ৯৩৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। এএফপি।
তিনি বলেন, ‘এবার আমরা তাই করেছি। প্রাণহানি এড়াতে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া ছিল খুব জরুরি।’
স্থানীয়ভাবে এ টাইফুনের নাম দেয়া হয়েছে ‘হাগুপিট বা রুবি’। রোববার স্থানীয় সময় রাতে পূর্বাঞ্চলের সামার প্রদেশের দোলোরেসে এটি আঘাত হানে। এ সময় বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
দোলোরেস পুলিশের মুখপাত্র অ্যালেক্স রবিন বলেন, টাইফুনের আঘাতে বহু গাছপালা ভেঙে পড়েছে।
তাকলোবানে ইউনিসেফের মাঠপর্যায়ের কার্যালয়ের প্রধান মাওলিদ ওয়ার্ফা বলেন, প্রচণ্ড ঝড়ে তাদের পাঁচতলা ভবন কাঁপছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন অন্ধকার ঘরের মধ্যে রয়েছি। বাইরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। কোনো বিদ্যুৎ নেই। আমরা মোমবাতি ব্যবহার করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটি জেনারেটর আছে। তবে প্রবল বৃষ্টি, বন্যা ও জ্বালানি সংকটের কারণে সেটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এটা খুবই বিপজ্জনক।’ তাকলোবানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ের মুখপাত্র দেরান্দো বেরনাদাস বলেন, উপকূলীয় গ্রামগুলো থেকে প্রায় ১৯ হাজার লোককে ২৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
১০ ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়
৭ হাজার ১০০ দ্বীপ নিয়ে গঠিত ফিলিপিন্স দেশটি প্রতি বছর গড়ে প্রায় ২০টি ঘূর্ণিঝড়ের মুখে পড়ে। দেশটির প্রাণঘাতী ১০টি ঘূর্ণিঝড় এখানে তুলে ধরা হল-
সুপার টাইফুন হাইয়ান
২০১৩ সালের ৮ নভেম্বর ফিলিপিন্সের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। সরকারি হিসাবে কমপক্ষে ৭ হাজার ৩৫০ জন মানুষের প্রাণহানি বা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে।
থিমেলা
১৯৯১ সালের ১৫ নভেম্বর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এই ঝড়ে ও সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ৫ হাজার ১০০ মানুষের মৃত্যু হয়।
বোফা
২০১২ সালের ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণাঞ্চলীয় মিন্দানাও দ্বীপে আঘাত হানলে ১৯০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
আইক
১৯৮৪ সালের ৩১ আগস্ট আইকের আঘাতে কেন্দ্রীয় ফিলিপিন্সে ১ হাজার ৩৬৩ জনের মৃত্যু হয়।
ওয়াশি
২০১১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মিন্দানাওয়ের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানে। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৮০।
ট্রিক্স
১৯৫২ সালের ১৬ অক্টোবর ট্রিক্সের প্রভাবে বন্যা ও ভূমিধসে লুজন দ্বীপের ৯৯৫ জন মানুষ মারা যায়।
অ্যামি
১৯৫১ সালের ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় দ্বীপপুঞ্জে ৯৯১ জন মানুষের মৃত্যু ঘটে।
নিনা
১৯৮৭ সালের ২৫ নভেম্বর লেগাসপিতে। মৃতের সংখ্যা ৯৭৯ বলে দাবি করা হয়।
ফেংশেন
২০০৮ সালের ২০ জুন ফেংশেনের আঘাতে ৯৩৮ জনের মৃত্যু ঘটে।
অ্যাঞ্জেলা
১৯৯৫ সালের ২ নভেম্বর অ্যাঞ্জেলায় ৯৩৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। এএফপি।
No comments