অগোছাল দল নিয়েই মাঠে নামছে বিএনপি
দল না গুছিয়েই জানুয়ারিতে সরকার ফেলে
দেয়ার চিন্তা করছে বিএনপি। এলক্ষ্যে চূড়ান্ত আন্দোলনে রাজপথে নামার
পরিকল্পনাও করছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। খোদ দলের চেয়ারপারসন বেগম জিয়া দল
গুছিয়ে আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন নেই। এ
অবস্থায় আন্দোলনের সাফল্য নিয়ে সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দল পুনর্গঠনের কাজ শুরু করলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ নানা কারণে তা থমকে আছে। নির্বাচনের পর ১১ মাসেও দলকে আন্দোলনমুখী করতে পারেনি। এ সময়ের মধ্যে ছাত্রদল এবং ঢাকা মহানগর বিএনপি পুনর্গঠন হলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দিশেহারা নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের কোন্দলের কারণে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্য অঙ্গ সংগঠনগুলো পুনর্গঠনে সাহস পাচ্ছে না নীতিনির্ধারকরা। অঙ্গ সংগঠনগুলোর পাশাপাশি তৃণমূলকেও প্রস্তুত করতে পারেনি দলটি। এ অবস্থায় সামনে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সফলতা নিয়ে নেতকর্মীদের মাঝে সংশয় দেখা দিয়েছে। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে পুরো জাতি আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। বিএনপিও প্রস্তুত। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা যে সমন্বয়হীনতা নেই তা অস্বীকার করব না। ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর এখনও কিছুটা সমস্যা রয়েছে। ঢাকা মহানগর বিএনপির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। কিছু কমিটি গঠন এখনও বাকি। দ্রুত পুনর্গঠনের বাকি কাজগুলো শেষ করার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, আমরা আন্দোলন করতে চাই না। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চাই। আশা করি সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের উদ্যোগ নেবেন। কিন্তু সরকার যদি সেদিকে না যায় তবে আন্দোলন ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প থাকবে না।
সূত্র জানায়, ৫ জানুয়ারির আগে সরকারবিরোধী আন্দোলনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয় দলটি। এজন্য ঢাকা মহানগর বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বিশেষভাবে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। ব্যর্থতার দায়ে সরিয়ে দেয়া হয় সে সময়ের আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকাকে। নতুন আহ্বায়ক করা হয় খোকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত মির্জা আব্বাসকে। কমিটি ঘোষণার পর সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঙ্গে কোন্দলে জড়িয়ে পড়েন আব্বাস। নিজ অনুসারীদের কমিটিতে স্থান করে দেয়ার মিশন নিয়ে নামেন আব্বাস সমর্থকরা। এ কাজ করতে গিয়ে পুনর্গঠনে আসে স্থবিরতা। সাড়ে চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও মহানগরীর সব থানা ও ওয়ার্ড কমিটি শেষ করতে পারেননি মির্জা আব্বাস। এ নিয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার ওপর চরম ক্ষুব্ধ হন। বারবার তাড়া দিয়েও মহানগর কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে কমিটি পুনর্গঠন নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। আব্বাস সমর্থকরা তাদের নিজ নিজ অনুসারীদের কমিটিতে স্থান দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যেসব ওয়ার্ড ও থানা কমিটি গঠিত হয়েছে সেগুলো ঘোষণা করার পর ব্যাপক কোন্দলের আশংকা করছেন অনেকে। কোন্দলের কারণে পুনর্গঠিত কমিটিগুলো ঘোষণা করতে সাহস পাচ্ছেন না মহানগর নেতারা। এ অবস্থায় মহানগর চাঙ্গা হওয়ার চেয়ে আরও বেশি নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন অনেকে।
জানা গেছে, বিএনপির ৭৫টি সাংগঠনিক জেলার সবগুলো কমিটিই মেয়াদোত্তীর্ণ। এসব কমিটি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১০ এপ্রিল থেকে কাজ শুরু করেন খালেদা জিয়া। তার গুলশানের কার্যালয়ের জেলা নেতাদের সঙ্গে কথা বলে কমিটি পুনর্গঠন শুরু করেন। ওই সময়ে দুই সপ্তাহে ১৩টি জেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু অজানা কারণে হঠাৎ জেলা কমিটি পুনর্গঠনের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়। এদিকে ঘোষিত জেলা কমিটিগুলোকে সর্র্বোচ্চ দুই মাসের সময় বেঁধে দিয়ে থানা ও উপজেলায় কাউন্সিল করার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও একমাত্র নেত্রকোনা জেলা কমিটি ছাড়া এখনও সবগুলো কমিটি শেষ করতে পারেনি।
সূত্র জানায়, বেশ কয়েকবার রুদ্ধধার বৈঠক করে ১৪ অক্টোবর ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন খালেদা জিয়া। কিন্তু কমিটি ঘোষণার পর থেকে একটি গ্র“প এর বিরোধিতা করে আসছে। তারা নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা পর্যন্ত চালায়। ছাত্রদলের বিদ্রোহ দমনে দলের সিনিয়র নেতারা ব্যর্থ হন। সবশেষ খালেদা জিয়াকেই এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। বিদ্রোহ কিছুটা কমে আসলেও এখনও পুরোপুরি সামাল দেয়া যায়নি। কমিটি ঘোষণার পর নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হওয়ার পরিবর্তে কোন্দলের কারণে অনেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। যার প্রভাব আন্দোলনে পড়তে পারে। তাই শিগগিরই কোন্দল নিরসন করে ছাত্রদলকে ঐক্যবদ্ধ করার ওপর জোর দেন মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু যুগান্তরকে বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত। ইতিমধ্যে অনেকে এলাকায় দলের পুনর্গঠনও শেষ পর্যায়ে। কেন্দ্র আদৌও কতটা প্রস্তুত জানিনা।
তিনি বলেন, বিগত আন্দোলনে চরম ব্যর্থতার পরও ঢাকা মহানগরসহ অঙ্গ সংগঠনের কমিটিগুলো পুনর্গঠনে এত ধীরগতিতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। কমিটি পুনর্গঠন হলে বিদ্রোহ হতে পারে কিন্তু এ জন্য কি তা বন্ধ করে দিতে হবে?।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দল পুনর্গঠনের কাজ শুরু করলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ নানা কারণে তা থমকে আছে। নির্বাচনের পর ১১ মাসেও দলকে আন্দোলনমুখী করতে পারেনি। এ সময়ের মধ্যে ছাত্রদল এবং ঢাকা মহানগর বিএনপি পুনর্গঠন হলেও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দিশেহারা নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের কোন্দলের কারণে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্য অঙ্গ সংগঠনগুলো পুনর্গঠনে সাহস পাচ্ছে না নীতিনির্ধারকরা। অঙ্গ সংগঠনগুলোর পাশাপাশি তৃণমূলকেও প্রস্তুত করতে পারেনি দলটি। এ অবস্থায় সামনে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সফলতা নিয়ে নেতকর্মীদের মাঝে সংশয় দেখা দিয়েছে। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে পুরো জাতি আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত। বিএনপিও প্রস্তুত। তবে এক্ষেত্রে কিছুটা যে সমন্বয়হীনতা নেই তা অস্বীকার করব না। ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর এখনও কিছুটা সমস্যা রয়েছে। ঢাকা মহানগর বিএনপির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। কিছু কমিটি গঠন এখনও বাকি। দ্রুত পুনর্গঠনের বাকি কাজগুলো শেষ করার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, আমরা আন্দোলন করতে চাই না। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চাই। আশা করি সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের উদ্যোগ নেবেন। কিন্তু সরকার যদি সেদিকে না যায় তবে আন্দোলন ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প থাকবে না।
সূত্র জানায়, ৫ জানুয়ারির আগে সরকারবিরোধী আন্দোলনে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয় দলটি। এজন্য ঢাকা মহানগর বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বিশেষভাবে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। ব্যর্থতার দায়ে সরিয়ে দেয়া হয় সে সময়ের আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকাকে। নতুন আহ্বায়ক করা হয় খোকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত মির্জা আব্বাসকে। কমিটি ঘোষণার পর সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঙ্গে কোন্দলে জড়িয়ে পড়েন আব্বাস। নিজ অনুসারীদের কমিটিতে স্থান করে দেয়ার মিশন নিয়ে নামেন আব্বাস সমর্থকরা। এ কাজ করতে গিয়ে পুনর্গঠনে আসে স্থবিরতা। সাড়ে চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও মহানগরীর সব থানা ও ওয়ার্ড কমিটি শেষ করতে পারেননি মির্জা আব্বাস। এ নিয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার ওপর চরম ক্ষুব্ধ হন। বারবার তাড়া দিয়েও মহানগর কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে কমিটি পুনর্গঠন নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। আব্বাস সমর্থকরা তাদের নিজ নিজ অনুসারীদের কমিটিতে স্থান দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যেসব ওয়ার্ড ও থানা কমিটি গঠিত হয়েছে সেগুলো ঘোষণা করার পর ব্যাপক কোন্দলের আশংকা করছেন অনেকে। কোন্দলের কারণে পুনর্গঠিত কমিটিগুলো ঘোষণা করতে সাহস পাচ্ছেন না মহানগর নেতারা। এ অবস্থায় মহানগর চাঙ্গা হওয়ার চেয়ে আরও বেশি নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন অনেকে।
জানা গেছে, বিএনপির ৭৫টি সাংগঠনিক জেলার সবগুলো কমিটিই মেয়াদোত্তীর্ণ। এসব কমিটি পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১০ এপ্রিল থেকে কাজ শুরু করেন খালেদা জিয়া। তার গুলশানের কার্যালয়ের জেলা নেতাদের সঙ্গে কথা বলে কমিটি পুনর্গঠন শুরু করেন। ওই সময়ে দুই সপ্তাহে ১৩টি জেলা কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কিন্তু অজানা কারণে হঠাৎ জেলা কমিটি পুনর্গঠনের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়। এদিকে ঘোষিত জেলা কমিটিগুলোকে সর্র্বোচ্চ দুই মাসের সময় বেঁধে দিয়ে থানা ও উপজেলায় কাউন্সিল করার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু আট মাস পেরিয়ে গেলেও একমাত্র নেত্রকোনা জেলা কমিটি ছাড়া এখনও সবগুলো কমিটি শেষ করতে পারেনি।
সূত্র জানায়, বেশ কয়েকবার রুদ্ধধার বৈঠক করে ১৪ অক্টোবর ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন খালেদা জিয়া। কিন্তু কমিটি ঘোষণার পর থেকে একটি গ্র“প এর বিরোধিতা করে আসছে। তারা নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা পর্যন্ত চালায়। ছাত্রদলের বিদ্রোহ দমনে দলের সিনিয়র নেতারা ব্যর্থ হন। সবশেষ খালেদা জিয়াকেই এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। বিদ্রোহ কিছুটা কমে আসলেও এখনও পুরোপুরি সামাল দেয়া যায়নি। কমিটি ঘোষণার পর নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হওয়ার পরিবর্তে কোন্দলের কারণে অনেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। যার প্রভাব আন্দোলনে পড়তে পারে। তাই শিগগিরই কোন্দল নিরসন করে ছাত্রদলকে ঐক্যবদ্ধ করার ওপর জোর দেন মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু যুগান্তরকে বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত। ইতিমধ্যে অনেকে এলাকায় দলের পুনর্গঠনও শেষ পর্যায়ে। কেন্দ্র আদৌও কতটা প্রস্তুত জানিনা।
তিনি বলেন, বিগত আন্দোলনে চরম ব্যর্থতার পরও ঢাকা মহানগরসহ অঙ্গ সংগঠনের কমিটিগুলো পুনর্গঠনে এত ধীরগতিতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। কমিটি পুনর্গঠন হলে বিদ্রোহ হতে পারে কিন্তু এ জন্য কি তা বন্ধ করে দিতে হবে?।
No comments