বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ হতে পারে!
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি
কারণে গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে বলা ইঙ্গিত দিয়েছে লন্ডন থেকে প্রকাশিত
অনলাইন ক্রিশ্চিয়ান টুডে। গত বুধবার লন্ডন থেকে প্রকাশিত অনলাইন
ক্রিশ্চিয়ান টুডের একটি রিপোর্টে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি
কারণে গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে বলা হয়েছে।
রিপোর্টটির নাম,
‘ক্যাওয়াস থ্রেটেনস ইন বাংলাদেশ’। রিপোর্টে বলা হয়, দেশ স্বাধীনের পর
বেশিরভাগ সময় সরকারের ক্ষমতা আবর্তিত হচ্ছে ইসলামপন্থী বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও আওয়ামী লীগের মধ্যে। এতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ
দৃশ্যত ধর্মনিরপেক্ষ। কিন্তু আসলে তারা তা নয়।
বাংলাদেশে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ক্ষোভের প্রতিফলন ঘটে। এতে দেখা যায়, শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন ধর্মনিরপেক্ষ আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়। কতিপয় কট্টর ইসলামী দলের সমন্বয়ে জোট গঠন করা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি ক্ষমতায় আসে। এ জোটে বিএনপির মূল অংশীদার কট্টর ইসলামপন্থী জামায়াতে ইসলামী। তারা ২০০১-এর নির্বাচনে ১৭টি আসন পায়।
২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে ১৪ দলীয় মহাজোট হিসেবে ক্ষমতা ফিরে পায় আওয়ামী লীগ। তারা নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে তাদের বিচারে আদালত গঠন করবে। সে অনুযায়ী ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
এখন এ বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন দৃশ্যত সেই বিচারের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এ ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটছে যখন ইসলামীদের মধ্যে জাগরণ ঘটেছে এবং সুন্নিদের মধ্যে প্রবল শক্তি সঞ্চারিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচার শুরু হয়েছে এ বছরের জানুয়ারিতে। কিন্তু সন্দেহজনক ১ হাজার ৬০০ তালিকাভুক্ত অপরাধীর মধ্যে মাত্র ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
তারা সবাই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা। তাদের বেশির ভাগই জামায়াতে ইসলামীর। বিচারে ধীরগতি ও লঘু শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ তুলে ৫ ফেব্রুয়ারি ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসীরা আন্দোলন গড়ে তোলে। এতে নেতৃত্ব দেয় তরুণ ব্লগার ও শিক্ষার্থীরা। এর নাম দেওয়া হয় শাহবাগের আন্দোলন। তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফাঁসির দাবি তোলে। একই সঙ্গে দাবি তোলে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের।
জামায়াতে ইসলামীর পরবর্তী অভিযুক্ত ব্যক্তিকে যেন মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের ওপর সরকার হস্তক্ষেপ করে। এখন ইসলামপন্থীরা শাহবাগের আন্দোলনকে ইসলামবিরোধী আখ্যা দিয়ে ধর্মীয় কার্ড ছুড়ে দিয়েছে।
ব্লগার, সাংবাদিক ও পথচারীরা প্রহৃত হয়েছেন। তাদের কাউকে কাউকে হত্যা করা হয়। ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। তারপর থেকে প্রায় ১০০ মানুষ সহিংসতায় নিহত হন। এতে দাঙ্গা ক্রমাগত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। যারা ইসলামের অবমাননা করেছে তাদের শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দু’পক্ষই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সদস্যরা দাবি করছেন, ইসলাম অবমাননাকারী নাস্তিক ব্লগারদের গ্রেফতার করতে হবে। তারা ইসলাম অবমাননাকারীদের শাস্তির জন্য পার্লামেন্টে আইন করতে আন্দোলন করছেন। এ দাবি মেনে নেওয়া না হলে তারা ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় অবরোধের হুমকি দিয়েছে।
৩১ মার্চ রোববার বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অফিসে গুলি করা হয়েছে। তবে তিনি তাতে আহত হননি। আন্তর্জাতিক অপরাধবিষয়ক আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান সতর্ক করেছেন ‘সমাধান বের করতে ব্যর্থ হলে দেশ গৃহযুদ্ধে নিপতিত হবে’।
৭ মার্চ এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন এক রিপোর্টে বলেছে, সহিংসতা ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। কট্টরপন্থীরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও তাদের সহায় সম্পত্তি টার্গেট করেছে। এই সংখ্যালঘুদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হচ্ছে। এতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে-সরকারের নিয়ন্ত্রণে কিছুই নেই।
বাংলাদেশে ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের ক্ষোভের প্রতিফলন ঘটে। এতে দেখা যায়, শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন ধর্মনিরপেক্ষ আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়। কতিপয় কট্টর ইসলামী দলের সমন্বয়ে জোট গঠন করা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি ক্ষমতায় আসে। এ জোটে বিএনপির মূল অংশীদার কট্টর ইসলামপন্থী জামায়াতে ইসলামী। তারা ২০০১-এর নির্বাচনে ১৭টি আসন পায়।
২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে ১৪ দলীয় মহাজোট হিসেবে ক্ষমতা ফিরে পায় আওয়ামী লীগ। তারা নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে তাদের বিচারে আদালত গঠন করবে। সে অনুযায়ী ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
এখন এ বছরের ডিসেম্বরের শেষের দিকে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন দৃশ্যত সেই বিচারের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এ ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটছে যখন ইসলামীদের মধ্যে জাগরণ ঘটেছে এবং সুন্নিদের মধ্যে প্রবল শক্তি সঞ্চারিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচার শুরু হয়েছে এ বছরের জানুয়ারিতে। কিন্তু সন্দেহজনক ১ হাজার ৬০০ তালিকাভুক্ত অপরাধীর মধ্যে মাত্র ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
তারা সবাই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা। তাদের বেশির ভাগই জামায়াতে ইসলামীর। বিচারে ধীরগতি ও লঘু শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ তুলে ৫ ফেব্রুয়ারি ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসীরা আন্দোলন গড়ে তোলে। এতে নেতৃত্ব দেয় তরুণ ব্লগার ও শিক্ষার্থীরা। এর নাম দেওয়া হয় শাহবাগের আন্দোলন। তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফাঁসির দাবি তোলে। একই সঙ্গে দাবি তোলে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধের।
জামায়াতে ইসলামীর পরবর্তী অভিযুক্ত ব্যক্তিকে যেন মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের ওপর সরকার হস্তক্ষেপ করে। এখন ইসলামপন্থীরা শাহবাগের আন্দোলনকে ইসলামবিরোধী আখ্যা দিয়ে ধর্মীয় কার্ড ছুড়ে দিয়েছে।
ব্লগার, সাংবাদিক ও পথচারীরা প্রহৃত হয়েছেন। তাদের কাউকে কাউকে হত্যা করা হয়। ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। তারপর থেকে প্রায় ১০০ মানুষ সহিংসতায় নিহত হন। এতে দাঙ্গা ক্রমাগত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। যারা ইসলামের অবমাননা করেছে তাদের শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দু’পক্ষই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সদস্যরা দাবি করছেন, ইসলাম অবমাননাকারী নাস্তিক ব্লগারদের গ্রেফতার করতে হবে। তারা ইসলাম অবমাননাকারীদের শাস্তির জন্য পার্লামেন্টে আইন করতে আন্দোলন করছেন। এ দাবি মেনে নেওয়া না হলে তারা ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় অবরোধের হুমকি দিয়েছে।
৩১ মার্চ রোববার বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অফিসে গুলি করা হয়েছে। তবে তিনি তাতে আহত হননি। আন্তর্জাতিক অপরাধবিষয়ক আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান সতর্ক করেছেন ‘সমাধান বের করতে ব্যর্থ হলে দেশ গৃহযুদ্ধে নিপতিত হবে’।
৭ মার্চ এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন এক রিপোর্টে বলেছে, সহিংসতা ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে। কট্টরপন্থীরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও তাদের সহায় সম্পত্তি টার্গেট করেছে। এই সংখ্যালঘুদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হচ্ছে। এতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে-সরকারের নিয়ন্ত্রণে কিছুই নেই।
No comments