হেফাজতের কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হলে জবাব দিতে হবে by কাজী সুমন
বিরোধী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন,
বর্তমান সরকার মানুষ খুন করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে। এই সরকার খুনী
সরকার। তাদের হাত থেকে দেশ বাঁচাতে হবে। দুপুরে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক শোক
সমাবেশে এসব কথা বলেন।
পুলিশের গুলিতে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে সাতক্ষীরা সফরে রয়েছেন বিরোধী নেত্রী।
বিকালে সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত শোক সভায় তিনি হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেন, শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হলে সরকারকে জবাব দিতে হবে। এ কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, সরকার এই কর্মসূচি বানচালের চেষ্টা করছে।
উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া বলেন, এখন আর চোখের পানি ফেলার সময় নয়। শোককে শক্তিতে পরিণত করে রাজপথে নেমে আসুন। খুনি সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। এর আগে সকালে যশোর থেকে খালেদা জিয়া দুপুরে সাতক্ষীরায় এসে পৌঁছান। বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, এখানে এসেছি কোন বক্তব্য দেয়ার জন্য নয়। সরকারের পেটোয়া বাহিনী নিরীহ মানুষগুলোকে গুলি করে হত্যা করেছে। তাই সহমর্মিতা জানাতে এসেছি। এরা সব আপনজনদের হারিয়েছে। তাদেরকে আর কোনদিন ফিরে পাবে না।
খালেদা জিয়া বলেন, এই সরকার এখন উম্মাদ হয়ে গেছে। হিতাহিত জ্ঞান নেই। পাগলের মতো যা ইচ্ছা তাই করছে। এখন একমাত্র পথ বেছে নিয়েছে দেশের মানুষকে গুম, খুন ও হত্যা করা। যশোরে আমাদের যুবক ছেলে নামজুলকে কিভাবে গুম করলো, পরে তার লাশ পাওয়া গেল। ইলিয়াস আলীকে গুম করলো, তাকে পাওয়া গেল না। আরও অনেক নাম আছে যা বলে শেষ করা যাবে না। কারো লাশ পাওয়া যাচ্ছে। কারো লাশ পাওয়া যাচ্ছে না। এ খুনি সরকার নিরাপত্তা দিতে পারে না। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে না। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, খাবার দিতে পারে না। শুধু মানুষ হত্যা-খুন করতে পারে। বিশ্বজিৎকে কিভাবে খুন করা হলো - আপনারা দেখেছেন। তাকে ঠিকমতো চিকিৎসা দেয়া হয় নাই। সময়মতো চিকিৎসা দিলে তাকে বাঁচানো যেত।
তিনি বলেন, এই সরকার প্রতিনিয়ত মানুুষ গুম করছে, এই সরকার খুনি সরকারে পরিণত হয়েছে। মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। তাই হরতালের ডাক দিলে সব কিছ অচল করে দেয়। এদেরকে জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। কেন জানেন? কারণ নির্বাচনের সময় তারা যে ওয়াদা দিয়েছিল তা পূরণ করেনি। এ সরকার মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারে না, পড়ালেখার সুযোগ, দুবেলা পেটপুড়ে খেতে দিতে পারে না, কেবল পারে মানুষ হত্যা করতে, খুন করতে। তাই হরতাল ডাক দিলে দেশের জনগণ তা সফল করে দেয়। সাধারণ মানুষ নিজেদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে হরতাল স্বতস্ফুর্ত পালন করে। এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। কারণ এই সরকার নির্বাচনের সময় যেসব ওয়াদা করেছিল, কোন ওয়াদা রাখেনি। ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর কথা বলেছিল, তা পারেনি। এখন তা অস্বীকার করে। কারণ তারা হলো মিথ্যাবাদী। কৃষক ভাইদের বিনামূল্যে সার দেয়ার কথা বলেছিল। তা দিয়েছে? ‘না’।
বিকালে সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত শোক সভায় তিনি হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেন, শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হলে সরকারকে জবাব দিতে হবে। এ কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, সরকার এই কর্মসূচি বানচালের চেষ্টা করছে।
উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া বলেন, এখন আর চোখের পানি ফেলার সময় নয়। শোককে শক্তিতে পরিণত করে রাজপথে নেমে আসুন। খুনি সরকারের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। এর আগে সকালে যশোর থেকে খালেদা জিয়া দুপুরে সাতক্ষীরায় এসে পৌঁছান। বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, এখানে এসেছি কোন বক্তব্য দেয়ার জন্য নয়। সরকারের পেটোয়া বাহিনী নিরীহ মানুষগুলোকে গুলি করে হত্যা করেছে। তাই সহমর্মিতা জানাতে এসেছি। এরা সব আপনজনদের হারিয়েছে। তাদেরকে আর কোনদিন ফিরে পাবে না।
খালেদা জিয়া বলেন, এই সরকার এখন উম্মাদ হয়ে গেছে। হিতাহিত জ্ঞান নেই। পাগলের মতো যা ইচ্ছা তাই করছে। এখন একমাত্র পথ বেছে নিয়েছে দেশের মানুষকে গুম, খুন ও হত্যা করা। যশোরে আমাদের যুবক ছেলে নামজুলকে কিভাবে গুম করলো, পরে তার লাশ পাওয়া গেল। ইলিয়াস আলীকে গুম করলো, তাকে পাওয়া গেল না। আরও অনেক নাম আছে যা বলে শেষ করা যাবে না। কারো লাশ পাওয়া যাচ্ছে। কারো লাশ পাওয়া যাচ্ছে না। এ খুনি সরকার নিরাপত্তা দিতে পারে না। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে না। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, খাবার দিতে পারে না। শুধু মানুষ হত্যা-খুন করতে পারে। বিশ্বজিৎকে কিভাবে খুন করা হলো - আপনারা দেখেছেন। তাকে ঠিকমতো চিকিৎসা দেয়া হয় নাই। সময়মতো চিকিৎসা দিলে তাকে বাঁচানো যেত।
তিনি বলেন, এই সরকার প্রতিনিয়ত মানুুষ গুম করছে, এই সরকার খুনি সরকারে পরিণত হয়েছে। মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। তাই হরতালের ডাক দিলে সব কিছ অচল করে দেয়। এদেরকে জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। কেন জানেন? কারণ নির্বাচনের সময় তারা যে ওয়াদা দিয়েছিল তা পূরণ করেনি। এ সরকার মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারে না, পড়ালেখার সুযোগ, দুবেলা পেটপুড়ে খেতে দিতে পারে না, কেবল পারে মানুষ হত্যা করতে, খুন করতে। তাই হরতাল ডাক দিলে দেশের জনগণ তা সফল করে দেয়। সাধারণ মানুষ নিজেদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে হরতাল স্বতস্ফুর্ত পালন করে। এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। কারণ এই সরকার নির্বাচনের সময় যেসব ওয়াদা করেছিল, কোন ওয়াদা রাখেনি। ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর কথা বলেছিল, তা পারেনি। এখন তা অস্বীকার করে। কারণ তারা হলো মিথ্যাবাদী। কৃষক ভাইদের বিনামূল্যে সার দেয়ার কথা বলেছিল। তা দিয়েছে? ‘না’।
No comments