জামায়াত নিষিদ্ধ এখনই সম্ভব নয়: প্রধানমন্ত্রী
উচ্চ আদালতে রিট মামলা থাকা অবস্থায়
জামায়াত নিষিদ্ধ এখনই সম্ভব নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বলেছেন, এ ব্যাপারে হাইকোর্টে একটি মামলা আছে। তাই বিচারাধীন বিষয়ে কিছু
বলতে পারি না। নির্বাহী আদেশেও কিছু করা যাচ্ছে না। আইন মেনেই সবকিছু করতে
হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা সনদের
সরকারি স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কওমি মাদ্রাসার
পাঠ্যসূচি ঠিক করার জন্য একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। কমিশনের প্রতিবেদন
পাওয়ার পর সরকারি স্বীকৃতি দেয়া হবে। গতকাল রাতে গণভবনে কওমি
মাদ্রাসাভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা
বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শতাধিক আলেম-ওলামার বৈঠকের নেতৃত্ব দেন মুফতি
রুহুল আমিন। কওমি মাদ্রাসার পাঠ্যসূচি প্রণয়নের জন্য গঠিত কমিশনের
চেয়ারম্যান হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি এবং মহাসচিব আল্লামা
মুফতি রুহুল আমিন। বৈঠকে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক আলেমদের পক্ষে দেয়া সাত দফা
দাবির মধ্যে আছে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি কটূক্তিকারী চিহ্নিত
অন্য ব্লগারদের গ্রেপ্তার, সংসদের আগামী অধিবেশনে মহানবীর মর্যাদা সংরক্ষণ
আইন পাস, কওমি মাদ্রাসার সনদের সরকারি স্বীকৃতি, জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা
মাওলানা মওদূদীর সব বই নিষিদ্ধ ও বাজেয়াপ্ত করা। আলেমদের উদ্দেশে দেয়া
বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাবেশ করার অধিকার প্রত্যেকের আছে। কিন্তু
আমার ভয় হয়, এ সুযোগে অপকর্মকারীরা ঢুকে কোন অঘটন ঘটায়। তাই সমাবেশকে ঘিরে
আপনারা সবাই সতর্ক থাকবেন।
আলেমদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দায়ী ব্লগারদের খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর প্রতি কটূক্তি বরদাশত করা হবে না। তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কেউ ইসলামবিরোধী কাজ করলে তার শাস্তির আইন ২০০৯ সালেই করা হয়েছে। এ আইনের ৫৬ থেকে ৬৬ ধারা পর্যন্ত এ ব্যাপারে বিস্তারিত আছে। কিন্তু এটার প্রচার নেই। তা ছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারা এবং দণ্ডবিধিতেও শাস্তির বিধান আছে। সুতরাং ইসলামবিরোধী কাজের শাস্তির জন্য আইনের অভাব নেই। ইসলামের কাজ আওয়ামী লীগই বেশি করে
শেখ হাসিনা বলেন, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, ইসলামের কাজ আমরাই সবচেয়ে বেশি করি। কিন্তু অপপ্রচার হয় আমাদের নামেই বেশি।
সভায় রুহুল আমিন বলেন, মহানবী (সা.) বিদায় হজেই অসামপ্রদায়িক চেতনার কথা বলে গেছেন। তাই যারা সামপ্রদায়িক উসকানি দেয়, তাদের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
এমদাদুল্লাহ কাসেমি বলেন, লক্ষ রাখতে হবে, লংমার্চে যাতে কোন দুষ্কৃতকারী ঢুকে আলেম সমাজকে সরকার ও জনগণের মুখোমুখি দাঁড় না করায়। মাওলানা শামসুল হক বলেন, কওমি মাদ্রাসা জঙ্গি, সন্ত্রাসী পয়দা করে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা জড়িত নন। মাওলানা আবুল কাসেম বলেন, ইসলামের বিকৃতকারী জামায়াত-শিবির। এদের নিষিদ্ধ করা হলে জনগণ বর্তমান সরকারের সঙ্গে থাকবে।
সভা চলাকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মঞ্চে ছিলেন। বৈঠকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ও আইন প্রতিমন্ত্রী এডাভোকেট কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
নিহত ৮ পুলিশ সদস্যের পরিবারকে অর্থসহায়তা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামপ্রতিক সহিংসতায় নিহত ৮ পুলিশ সদস্যের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে অনুদান দিয়েছেন। গাইবান্ধা, চট্টগ্রাম, ঝিনাইদহ, রংপুর ও খুলনায় বিগত ২৮শে ফেব্রুয়ারি এবং ৩রা ও ১০ই মার্চ সহিংসতার মাঝে কর্তব্যরত অবস্থায় ওই ৮ পুলিশ সদস্য নিহত হন। প্রধানমন্ত্রী গতকাল সকালে তার কার্যালয়ে নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের কাছে আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে একথা জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের কাছে চেক হস্তান্তরকালে নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন এবং তাদের সন্তান ও পরিবারের সদস্যকে চাকরি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় আহত পুলিশ সদস্যদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশে তাদেরকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় এনে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ও অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। যাদের পরিবার চেক গ্রহণ করেন তারা হলেন, বগুড়ার মো. বাবুল মিয়া-৫৩৭, কুড়িগ্রামের হযরত আলী-৪৯২, রংপুরের মো. তোজাম্মেল হোসেন-৪৮৮, গাইবান্ধার খাজা নাজিমুদ্দিন আকন্দ-১৯৮ ও ফেনীর আবু তারেক-২০৩৩, সাতক্ষীরার জিএম ওমর ফারুক-১০৪২, দিনাজপুরের মো. মোজাহার আলী-৯১৭ এবং নড়াইলের মো. মফিজুর রহমান-৮৩২। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু ও আইজিপি হাসান মাহমুদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আলেমদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দায়ী ব্লগারদের খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার শুরু হয়েছে। মহানবী (সা.)-এর প্রতি কটূক্তি বরদাশত করা হবে না। তিনি বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কেউ ইসলামবিরোধী কাজ করলে তার শাস্তির আইন ২০০৯ সালেই করা হয়েছে। এ আইনের ৫৬ থেকে ৬৬ ধারা পর্যন্ত এ ব্যাপারে বিস্তারিত আছে। কিন্তু এটার প্রচার নেই। তা ছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারা এবং দণ্ডবিধিতেও শাস্তির বিধান আছে। সুতরাং ইসলামবিরোধী কাজের শাস্তির জন্য আইনের অভাব নেই। ইসলামের কাজ আওয়ামী লীগই বেশি করে
শেখ হাসিনা বলেন, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে, ইসলামের কাজ আমরাই সবচেয়ে বেশি করি। কিন্তু অপপ্রচার হয় আমাদের নামেই বেশি।
সভায় রুহুল আমিন বলেন, মহানবী (সা.) বিদায় হজেই অসামপ্রদায়িক চেতনার কথা বলে গেছেন। তাই যারা সামপ্রদায়িক উসকানি দেয়, তাদের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
এমদাদুল্লাহ কাসেমি বলেন, লক্ষ রাখতে হবে, লংমার্চে যাতে কোন দুষ্কৃতকারী ঢুকে আলেম সমাজকে সরকার ও জনগণের মুখোমুখি দাঁড় না করায়। মাওলানা শামসুল হক বলেন, কওমি মাদ্রাসা জঙ্গি, সন্ত্রাসী পয়দা করে না। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলায় কওমি মাদ্রাসার ছাত্ররা জড়িত নন। মাওলানা আবুল কাসেম বলেন, ইসলামের বিকৃতকারী জামায়াত-শিবির। এদের নিষিদ্ধ করা হলে জনগণ বর্তমান সরকারের সঙ্গে থাকবে।
সভা চলাকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মঞ্চে ছিলেন। বৈঠকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ও আইন প্রতিমন্ত্রী এডাভোকেট কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
নিহত ৮ পুলিশ সদস্যের পরিবারকে অর্থসহায়তা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামপ্রতিক সহিংসতায় নিহত ৮ পুলিশ সদস্যের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে অনুদান দিয়েছেন। গাইবান্ধা, চট্টগ্রাম, ঝিনাইদহ, রংপুর ও খুলনায় বিগত ২৮শে ফেব্রুয়ারি এবং ৩রা ও ১০ই মার্চ সহিংসতার মাঝে কর্তব্যরত অবস্থায় ওই ৮ পুলিশ সদস্য নিহত হন। প্রধানমন্ত্রী গতকাল সকালে তার কার্যালয়ে নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের কাছে আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে একথা জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের কাছে চেক হস্তান্তরকালে নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন এবং তাদের সন্তান ও পরিবারের সদস্যকে চাকরি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় আহত পুলিশ সদস্যদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশে তাদেরকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় এনে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ও অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। যাদের পরিবার চেক গ্রহণ করেন তারা হলেন, বগুড়ার মো. বাবুল মিয়া-৫৩৭, কুড়িগ্রামের হযরত আলী-৪৯২, রংপুরের মো. তোজাম্মেল হোসেন-৪৮৮, গাইবান্ধার খাজা নাজিমুদ্দিন আকন্দ-১৯৮ ও ফেনীর আবু তারেক-২০৩৩, সাতক্ষীরার জিএম ওমর ফারুক-১০৪২, দিনাজপুরের মো. মোজাহার আলী-৯১৭ এবং নড়াইলের মো. মফিজুর রহমান-৮৩২। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু ও আইজিপি হাসান মাহমুদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
No comments