রাজনৈতিক আলোচনা- শহীদুল্লা কায়সারঃ রাজনৈতিক সৃষ্টিশীলতা by সৈয়দ আজিজুল হক

হীদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সার (১৯২৬-১৯৭১) পেশায় যদিও ছিলেন সাংবাদিক, কিন্তু তাঁর জীবনচেতনার মর্মমূলটি ছিল সামগ্রিকভাবে রাজনীতি দ্বারা পরিব্যাপ্ত। এই রাজনীতিরও মূল কথা ছিল ঔপনিবেশিকতার বিরুদ্ধে দেশ, সমাজ ও জীবনের মুক্তি সাধন। দুটি উপনিবেশবাদী শক্তির বিপক্ষে তাঁকে হতে হয়েছিল সংগ্রামশীল—একটি ব্রিটিশ, আরেকটি পাকিস্তানি। এর প্রথমটির শৃঙ্খল থেকে মুক্তির আস্বাদ তিনি পেয়েছিলেন ছাত্রজীবনেই; যদিও সেই আনন্দের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল দেশ বিভাগের যন্ত্রণা,
কিন্তু দ্বিতীয় শোষণজাল ছিন্ন হওয়ার চূড়ান্ত মুহূর্তে নিজ জীবনকেই তাঁর উৎসর্গ করতে হয়েছিল। পাকিস্তানি চেতনার বিরুদ্ধে তাঁর সংগ্রামের পথটি ছিল খুবই বন্ধুর। শুরুতেই শিক্ষাজীবন অসমাপ্ত রাখতে হয়েছিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কারণে। বেশ কয়েক বছরের আত্মগোপনতার মধ্যেই ভাষা আন্দোলনের পরপর গ্রেপ্তার হন তিনি। মাঝে বছর দুয়েকের মুক্তজীবন ছাড়া ১৯৬২ সাল পর্যন্ত চলে তাঁর দীর্ঘ কারাবাস। এই কারাজীবনেই স্ত্রীবিচ্ছেদের মর্মান্তিক যাতনা ভোগ করতে হয়েছে তাঁকে। আবার এই যন্ত্রণার মধ্যেই তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন সৃজনশীলতার অজস্র ফুল। কারাপ্রকোষ্ঠেই তিনি রচনা করেছেন বেশ কয়েকটি উপন্যাস। এর মধ্যে দুটি—সারেং বৌ (১৯৬২) ও সংশপ্তক (১৯৬৫)—তাঁকে এনে দিয়েছে ঔপন্যাসিক হিসেবে খ্যাতি। অর্জন করেছেন আদমজি ও বাংলা একাডেমী পুরস্কার।
এই মেধাবী রাজনীতিক, সাংবাদিক ও প্রতিভাবান ঔপন্যাসিকের জীবন তাই বর্ণাঢ্যতায় ভরা। শুধু উপন্যাস নয়, তিনি লিখেছেন কবিতা, গল্প ও নাটক। আর সাংবাদিক জীবনে নিয়মিতভাবেই তাঁকে লিখতে হয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষণমূলক রচনা এবং সমাজ, অর্থনীতি ও সংস্কৃতিবিষয়ক বিচিত্রমুখী পরিক্রমা। এভাবে সর্বাংশে রাজনীতিমনস্ক এবং রাজনৈতিক সংগ্রামে ব্যাপৃত ব্যক্তিটি শেষ পর্যন্ত প্রতিভাত হলেন লেখক হিসেবে। তাঁর লেখকসত্তার মধ্যেই ব্যাপ্ত হয়ে আছে তাঁর রাজনৈতিক চেতনা ও জীবনসংগ্রামের সমস্ত বীজ। তাঁর মননশীলতা ও সৃজনশীলতার প্রবল দুই ধারাই শেষ পর্যন্ত মিলিত হয়েছে সার্থকতার একটি বিন্দুতে।
শহীদুল্লা কায়সারের সর্বাধিক আলোচিত উপন্যাস দুটি সারেং বৌ ও সংশপ্তককে যদি আমরা বিশ্লেষণের কেন্দ্রে স্থাপন করি, তাহলেই স্বচ্ছ হয়ে উঠবে এই রাজনৈতিক চেতনার বিষয়টি। দুটি উপন্যাসেরই পটভূমিতে রয়েছে আমাদের গ্রামীণ বাস্তবতা। প্রথমটিতে চিরায়ত সমস্যারই ব্যাপ্তি, অস্পষ্ট সমকালের অভিঘাত-আলোড়ন। কিন্তু দ্বিতীয়টিতে সমকালীন রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজনীতিসৃষ্ট পরিবর্তন রেখাটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট; যদিও চিরকালীন মানবিক সত্যগুলোর উন্মোচনকেও লেখক গুরুত্ব সহকারেই বিবেচনায় নিয়েছেন।
অপ্রত্যক্ষ রাজনীতি
তবে প্রশ্ন উঠতে পারে সারেং বৌ নিয়ে। এখানে রাজনীতি কোথায়? কদম সারেঙের দীর্ঘ প্রবাসকালে তার স্ত্রী নবিতুনের নিঃসঙ্গ জীবনসংগ্রামের কাহিনি নিয়েই উপন্যাসটি তাৎপর্যমণ্ডিত। স্বামীর অনুপস্থিতি, তার প্রেরিত অর্থ ও চিঠি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আত্মসাৎ প্রভৃতিই নবিতুনের অর্থনৈতিক ও মানসিক নিরাপত্তাকে করেছে বিঘ্নিত। যৌবনদীপ্ত দেহসৌন্দর্যের কারণেও প্রোষিতভর্তৃকা এই নারীর জন্য বৈরী হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। লুন্দর শেখ নামক গ্রামীণ বিত্তবানের লালসাতাড়িত সক্রিয়তা নবিতুনের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইকে আরও কঠিন করে তুলেছে। জীবন রক্ষা ও সম্ভ্রম রক্ষা—এই দ্বিবিধ সংগ্রামশীলতার মধ্যে নবিতুনের সংযম, পতিপরায়ণতা, সাহস ও প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব প্রশংসনীয়। কিন্তু কদম সারেঙের গ্রামে ফেরার পরও বন্ধ হয়নি লুন্দর শেখের ষড়যন্ত্রমূলক সক্রিয়তা। নবিতুনের চরিত্রে কলঙ্ক আরোপ করে কদম সারেঙের মনকে স্ত্রী সম্পর্কে বিষিয়ে তুলে সে তার ব্যর্থতার প্রতিশোধ নিতে তৎপর হয়েছে।
বিত্তবানদের নারীলালসা আমাদের গ্রামীণ বাস্তবতার এক চিরায়ত সমস্যা। লেখক এর সঙ্গে যুক্ত করেছেন প্রবাসে কর্মরত স্বামীর অনুপস্থিতি এবং ডাকঘরের মাধ্যমে তার অর্থ প্রেরণবিষয়ক জটিলতাকে। এখানেই উপনিবেশবাদের রাজনীতির সঙ্গে সমস্যাটিকে যুক্ত করে ফেলেছেন লেখক। এই যে একটি বিশেষ অঞ্চলের মানুষের সারেঙের চাকরি নিয়ে জাহাজে গমন, কৃষিজীবন থেকে উন্মূলিত হওয়া, কৃষিকাজে আগ্রহ হারিয়ে সমুদ্রযাত্রায় আকৃষ্ট হওয়া, বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ, বিভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয়, মাদক ব্যবসায় সংযুক্তিসহ পরনারী সম্ভোগে সংস্কারশূন্য হওয়া—এ সবকিছুই উপনিবেশবাদসৃষ্ট নতুন জীবনসংকট। উপনিবেশবাদ শুধু শহুরে শিক্ষিত মধ্যবিত্তই সৃষ্টি করেনি, তাদেরই শুধু নিজ সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করেনি, গ্রামীণ অশিক্ষিত জনমানসেও সৃষ্টি করেছে বহির্মুখী প্রবণতা, কেন্দ্রসম্পর্কিত আকর্ষণ। উপনিবেশবাদী শাসনের মধ্য দিয়ে এ দেশে যে যন্ত্রের আগমন ঘটেছে, তা নবিতুনের পুরোনো ধারার উপার্জনব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। এই একই সূত্রে সৃষ্ট ডাকঘর আমাদের যোগাযোগব্যবস্থাকে উন্নত করলেও সেখানকার দুর্নীতি এ পদ্ধতির সংকটকেও করেছে তীব্রতর।
তবে এই উপন্যাসে লেখক রাজনীতির এই সংকটকে রাজনীতির মাধ্যমে মীমাংসা করার পথে অগ্রসর হননি। তিনি দাম্পত্যজীবনে সৃষ্ট মানবীয় ঝড়কে প্রাকৃতিক ঝড়ের মাধ্যমে শান্ত করার একটি নান্দনিক কৌশল অবলম্বন করেছেন। এ ক্ষেত্রে লেখকের শৈল্পিক নিষ্ঠা ও কল্পনার ঐশ্বর্য আমরা প্রত্যক্ষ করি। উপন্যাসের আরও অন্তত দুটি ক্ষেত্রে লেখকের শৈল্পিক উদ্ভাবনার মৌলিকত্ব লক্ষ করে আমরা অভিভূত হই। পাটখেতে লুন্দর শেখের আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষাকল্পে নবিতুনের প্রত্যাক্রমণমূলক কৌশলটির পাশাপাশি উপন্যাসের শেষ পর্যায়ে স্বামীর জীবনরক্ষাকল্পে নবিতুনের মধ্যে সংস্কারশূন্য জননীসত্তার জাগরণ—এই উভয় ক্ষেত্রের অভিনবত্ব পাঠককে চমৎকৃত করে।
অপরোক্ষ রাজনীতি
গ্রামীণ পটভূমিতে নারীর আত্মরক্ষার এরূপ বুদ্ধিদীপ্ত কৌশলের ব্যবহার সংশপ্তক উপন্যাসেও ঘটেছে। হুরমতি কর্তৃক রমজানের কান কাটার ঘটনা এর প্রমাণ। এ উপন্যাসেও বিত্তবানদের লালসার বিপরীতে নারীর অসহায়ত্ব পরস্ফুিটিত। এই নিরুপায়ত্বকে আরও প্রতিকারহীন করে তুলেছে ধর্মতন্ত্রসৃষ্ট সমাজের রক্ষণশীলতা ও পুরুষতন্ত্রের আধিপত্য; হুরমতির অবৈধ সন্তানধারণের বিচারকার্যের মধ্যে যার প্রকাশ ঘটেছে। এ ছাড়া ১৪ বছরের রাবুকে ৬০ বছরের পীরের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার ঘটনায়ও স্পষ্ট এর পরিচয়। তবে এ উপন্যাসের তাৎপর্যের দিক হলো, এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ধ্বনিত হয়েছে এবং খোঁজা হয়েছে প্রতিকারের পথ।
এ উপন্যাসে সমকালের রাজনৈতিক ঘটনাবলি ও তৎসৃষ্ট পরিবর্তন প্রক্রিয়ার অভিঘাতটি স্পষ্ট। ১৯৩৭ সাল থেকে ১৯৪৭-পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যে বিস্তৃত এর ঘটনাকাল। এ সময় সংঘটিত পাকিস্তান আন্দোলন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, পাকিস্তান সৃষ্টি ও বাংলাভাগের ঐতিহাসিক ঘটনাবলি উপন্যাসের কাহিনিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। এসব ঘটনার নেপথ্য নায়ক উপনিবেশবাদ। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণই এ দেশের প্রধান দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদের বীজ বপন করেছে, যা এই শাসনের শেষ পর্যায়ে মহীরুহে পরিণত হয়ে তার বিষবাষ্প দিয়ে এখানকার রাজনীতির আকাশকে করেছে সম্পূর্ণ আচ্ছন্ন। এ ঘটনাধারায়ই রাজনীতিতে সক্রিয় জাহেদ পাকিস্তান আন্দোলনে যুক্ত হয়ে মনুষ্যত্বের চেয়ে মুসলমানিত্বকে বড় করে দেখেছে, কিন্তু পাকিস্তান সৃষ্টির পর এর অন্তঃসারশূন্যতা উপলব্ধির মাধ্যমে সামগ্রিক সমাজমুক্তির সংগ্রামে করেছে আত্মনিবেদন।
রাষ্ট্রীয়-রাজনৈতিক পরিবর্তন অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রকে যেমন বদলে দেয়, তেমনি মানবমনেরও রূপান্তর সাধন করে। জাহেদের রাজনৈতিক চিন্তাধারার রূপান্তরশীলতার পাশাপাশি রাবুর মনোজাগতিক পরিবর্তনসূত্রটিও এ উপন্যাসে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ১৪ বছরের যে রাবু ৬০ বছরের বরের সঙ্গে বিয়ের ব্যাপারে পিতার সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করতে পারেনি, বরং পিতাকে সমর্থনই করেছে; সেই রাবুই এ ঘটনার নয় বছর পর শিক্ষাদীক্ষা লাভের মধ্য দিয়ে নতুন চেতনায় জাগ্রত হয়ে নিজ স্বামীকে সরাসরি ও সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে। মনোজাগতিক এ রূপান্তর প্রক্রিয়ায় অংশীভূত হয়েছে এ উপন্যাসের সেকান্দর মাস্টার, হালিমা, লেকু, হুরমতি, মালুসহ অনেকেই।
রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামের অভিঘাতে রাষ্ট্রব্যবস্থাসহ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে কী বিপুল পরিবর্তনের সূচনা ঘটে, তারও এক অমূল্য দলিল হয়ে উঠেছে এ উপন্যাস। গ্রামীণ পটভূমিতে আমরা দেখি, এই কালপর্বে সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান ঘটছে এবং তার স্থলে গড়ে উঠছে নব্য পুঁজিতন্ত্র। সামন্ততান্ত্রিক মূল্যবোধে আচ্ছন্ন ফেলু মিঞা তালুকদারি রক্ষা ও তার বৃদ্ধির মধ্যে জীবনের সার্থকতা খুঁজলেও কালের অভিঘাতে ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণুতার দিকে ধাবিত হয়। আর তারই কর্মচারী রমজান বিশ্বযুদ্ধ ও দুর্ভিক্ষের মধ্যে কালোবাজারি ও নারী ব্যবসার মাধ্যমে হয়ে ওঠে বিপুল পুঁজির মালিক। একই ঘটনা ঘটে ব্যবসায়ী রামদয়ালের ক্ষেত্রেও। ১৯৪৭-এর দেশভাগের ঘটনায় রামদয়ালেরা এ দেশ ত্যাগ করলে নীতি-আদর্শহীন রমজানের পক্ষে আরও বেশি বিত্ত অর্জনের সুযোগ সম্প্রসারিত হয়। পাকিস্তান সৃষ্টির এই রাষ্ট্রীয় পরিবর্তনে নব্য পুঁজিতন্ত্রের প্রতিভূ রমজানরাই সমাজে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ পায়। অন্যদিকে ফেলু মিঞাদের সামন্ততান্ত্রিক অর্থনীতি ও মূল্যবোধ—দুয়েরই পতন ঘটে। অর্থনৈতিক শক্তি অর্জনের ফলে বংশপরিচয়হীন রমজান কাজী রমজানে পরিণত হয়েই তুষ্ট থাকে না, নিজ নামানুসারে স্কুলের নতুন নামকরণেও কার্যকর চাপ প্রয়োগ করে।
লেখক এ উপন্যাসে সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির এই পরিবর্তন প্রক্রিয়াটিকে একটি চলমান ধারা হিসেবেই চিহ্নিত করেছেন। ফেলু মিঞা থেকে রমজান—এখানেই শেষ নয়। নতুন দেশে আরেকটি ধারাও সৃষ্টি হচ্ছে, যার মূলে রয়েছে প্রকৃত মানবমুক্তির আকাঙ্ক্ষা। রাবু, জাহেদ, সেকান্দর মাস্টার, লেকু, মালু, হুরমতি প্রমুখ এই ধারাকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর। এই ধারারই চেতনায় গড়ে উঠছে নতুন স্কুল, যেখানে সেকান্দর মাস্টার শিক্ষকতা করার সিদ্ধান্ত ব্যক্ত করে। রাজনীতির এই নতুন ধারার অন্তর্ময় বাণীই পরস্ফুিটিত হয় জাহেদের মুখ থেকে, ‘এক ধারায় নয়, বহু ধারায় প্রবাহিত মানুষের জীবন। যদি শুকিয়ে যায়, যদি রুদ্ধ হয় একটি ধারা, আর এক ধারায় জীবন বয়ে চলে সার্থকতার পানে। এটাই জীবনের ধর্ম। সহস্র ধারায় জীবনের বিকাশ, অজস্র পথে তার পূর্ণতা।’
জাহেদের মধ্য দিয়ে শহীদুল্লা কায়সারের রাজনৈতিক চেতনা ও জীবনাদর্শই ব্যক্ত হয়। যে আদর্শের মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যাত হয় উপনিবেশবাদী মানসিকতা ও তার রাজনীতি। এতে ধ্বনিত হয় নতুন কালের স্পন্দনসহ মানবসমাজের শোষণমুক্তির লক্ষ্যে আশাবাদের সুর। এভাবে রাজনীতি ও কালই হয়ে ওঠে এ উপন্যাসের প্রকৃত নায়ক। মানবের প্রকৃত কল্যাণ সাধনই যে রাজনীতির লক্ষ্য।
===============================
আনোয়ার পাশাঃ জাতিরাষ্ট্রের অংশ ও প্রেরণা  মুনীর চৌধুরীঃ তাঁর নাটক  জেগে ওঠার গল্প  এখন শুনবেন বিশ্ব-সংবাদ  বাঘ  বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০১০  তাঁরা সমালোচিত, আমরা বিব্রত  মুজিবকে নিয়ে সিরাজের একমাত্র লেখা  ঢাকা সিটি করপোরেশন বিভক্তির উদ্যোগ  মহাস্থানগড়ের ধ্বংস-পরিস্থিতিঃ পর্যবেক্ষণ  ওয়ান-ইলেভেনের চেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ আসছে!  ডিসেম্বরঃ গৌরব ও গর্বের মাস  উইকিলিকস বনাম যুক্তরাষ্ট্র  দুর্নীতি বেড়েছে দুনিয়াজুড়ে  উইকিলিকসঃ বাঘের ঘরে ঘোগ  আইন অপূর্ণাঙ্গঃ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার কঠিন  ১০০ কোটি ডলারে ঋণঃ ভারতের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত  ট্রেন দুর্ঘটনাঃ চালকের ভুল নাশকতারও গন্ধ!  ‘যুদ্ধ’ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা উইকিলিকস সমর্থকদের  কানকুনঃ মুমূর্ষু পৃথিবীর নিষ্ঠুর মানুষ  নারীর হার-নারীর জিত, বেগম রোকেয়া প্রাসঙ্গিক  সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে দুর্নীতির বীজ লুক্কায়িত  বরুণ রায়—কিংবদন্তিতুল্য এক ব্যক্তিত্ব  মুক্তির গান  এক-এগারোর জুজুটাকে হিমাগারে পাঠান  জব্দকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে জাগরণ সৃষ্টি করুন  সংসদীয় গণতন্ত্রের গল্পসল্প  রাষ্ট্রীয় সমাজে চিন্তা করার স্বাধীনতার প্রয়োজন  বাঙালের জলবায়ু দর্শন: ইঁদুরই কি শ্রেষ্ঠ জীব  প্রকৃতি- পাহাড়টির সঙ্গে ধ্বংস হবে ঐতিহ্যও  স্মরণ- আজও প্রাসঙ্গিক বেগম রোকেয়া  আলোচনা- উইকিলিকসঃ জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ত্রিমুখী সংগ্রাম  মুক্তিযুদ্ধ- মুজিব বললেনঃ তোমাদের এখনই ঢাকা ত্যাগ করা উচিত  আলোচনা- ডিজিটাল-প্র্রযুক্তিই মানুষকে আরও বেশি মানবিক করে!  খবর- সংরক্ষিত বনে শুঁটকিপল্লি


দৈনিক প্রথম আলো এর সৌজন্যে
লেখকঃ সৈয়দ আজিজুল হক


এই সাহিত্যালোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.