মিয়ানমার গোপন পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে
উত্তর কোরিয়ার সহযোগিতায় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশ মিয়ানমার গোপন পরমাণু কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। দেশটি পিয়ংইয়ংয়ের সহযোগিতায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিও হাতে নিয়েছে। নজরদারি ওয়েবসাইট উইকিলিকস প্রকাশিত নতুন বার্তা থেকে এই তথ্য জানা গেছে। ব্রিটেনের পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান গতকাল শুক্রবার এই বার্তা প্রকাশ করে।
২০০৪ সালের আগস্টে ইয়াঙ্গুনে মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো বার্তায় এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের প্রত্যন্ত এলাকায় একটি বাংকারে তিনি প্রায় ৩০০ জন উত্তর কোরীয় কর্মীকে কাজ করতে দেখেছেন। মিয়ানমারের শ্রমিকদের সহযোগিতায় উত্তর কোরীয় কর্মীরা একটি পাকা বাংকার তৈরি করছেন। ইয়াঙ্গুন থেকে ৪৮০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে একটি পাহাড়ের পাদদেশে এই বাংকার তৈরি করা হচ্ছে। মাটির নিচ থেকে এই বাংকারের চূড়ার উচ্চতা প্রায় ৫০০ ফুট।
২০০৪ সালের অপর এক বার্তায় মিয়ানমার সফর করা একজন বিদেশি ব্যবসায়ীর বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের পশ্চিম-মধ্য অঞ্চল ম্যাগওয়ের মিনবু শহরে ইস্পাতের একটি বড় চালান খালাস হতে দেখেছেন তিনি। একটি জাহাজ থেকে বিপুল পরিমাণ ইস্পাত নামানো হয়। সাধারণত কোনো একটি কারখানার জন্য প্রয়োজনীয় ইস্পাতের চেয়ে এর পরিমাণ ছিল অনেক বেশি।
ওই বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ইয়াঙ্গুনে মার্কিন দূতাবাসের একজন কর্মকর্তাকে ওই ব্যবসায়ী বলেছেন, মিনবু শহরের কাছে একটি পরমাণু চুল্লি তৈরি করা হচ্ছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে পিয়ংইয়ং ও মিয়ানমারের মধ্যে এই কর্মসূচি নিয়ে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ব্যাপারে প্রত্যক্ষ কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু মিয়ানমারের অভ্যন্তরে উত্তর কোরীয় প্রকৌশলীদের উপস্থিতির ব্যাপারে জোরালো খবর রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মিয়ানমারে আসা উত্তর কোরীয় প্রকৌশলীদের সংখ্যা তিন শতাধিকেরও বেশি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন গত বছরের জুলাইয়ে মিয়ানমার ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্ভাব্য পরামাণু কর্মসূচি নিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
তবে মিয়ানমারের জান্তা সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির কোনো ইচ্ছে তাদের নেই। এ ছাড়া উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়টিও উড়িয়ে দিয়েছে জান্তা সরকার।
গত মাসেই জাতিসংঘ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের কাছে নিষিদ্ধ পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সরঞ্জাম সরবরাহ করছে উত্তর কোরিয়া। স্বপক্ষ ত্যাগী মিয়ানমারের সেনাবাহিনী একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নরওয়ে-ভিত্তিক গণমাধ্যম ডেমোক্র্যাটিক ভয়েজ অব বার্মা (ডিভিবি) গত জুনে বলেছে, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে মিয়ানমার। এ লক্ষ্যে বছরের পর বছর ধরে তারা গোপনে সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। ডিভিবির সংগ্রহে মিয়ানমারের গোপন বাংকার ও সুড়ঙ্গসংশ্লিষ্ট ছবি এবং সাক্ষ্যপ্রমাণও রয়েছে। ডিভিবি বলেছে, উত্তর কোরিয়ার বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় এসব বাংকার ও সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সাবেক পরিচালক রবার্ট কেলি অক্টোবরে বলেছেন, প্রাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ থেকে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে মিয়ানমারের পরমাণু কর্মসূচি প্রক্রিয়াধীন। এই কর্মসূচি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছে।
২০০৪ সালের আগস্টে ইয়াঙ্গুনে মার্কিন দূতাবাস থেকে ওয়াশিংটনে পাঠানো বার্তায় এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের প্রত্যন্ত এলাকায় একটি বাংকারে তিনি প্রায় ৩০০ জন উত্তর কোরীয় কর্মীকে কাজ করতে দেখেছেন। মিয়ানমারের শ্রমিকদের সহযোগিতায় উত্তর কোরীয় কর্মীরা একটি পাকা বাংকার তৈরি করছেন। ইয়াঙ্গুন থেকে ৪৮০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে একটি পাহাড়ের পাদদেশে এই বাংকার তৈরি করা হচ্ছে। মাটির নিচ থেকে এই বাংকারের চূড়ার উচ্চতা প্রায় ৫০০ ফুট।
২০০৪ সালের অপর এক বার্তায় মিয়ানমার সফর করা একজন বিদেশি ব্যবসায়ীর বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের পশ্চিম-মধ্য অঞ্চল ম্যাগওয়ের মিনবু শহরে ইস্পাতের একটি বড় চালান খালাস হতে দেখেছেন তিনি। একটি জাহাজ থেকে বিপুল পরিমাণ ইস্পাত নামানো হয়। সাধারণত কোনো একটি কারখানার জন্য প্রয়োজনীয় ইস্পাতের চেয়ে এর পরিমাণ ছিল অনেক বেশি।
ওই বার্তায় আরও বলা হয়েছে, ইয়াঙ্গুনে মার্কিন দূতাবাসের একজন কর্মকর্তাকে ওই ব্যবসায়ী বলেছেন, মিনবু শহরের কাছে একটি পরমাণু চুল্লি তৈরি করা হচ্ছে বলে তিনি শুনেছেন। তবে পিয়ংইয়ং ও মিয়ানমারের মধ্যে এই কর্মসূচি নিয়ে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার ব্যাপারে প্রত্যক্ষ কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু মিয়ানমারের অভ্যন্তরে উত্তর কোরীয় প্রকৌশলীদের উপস্থিতির ব্যাপারে জোরালো খবর রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মিয়ানমারে আসা উত্তর কোরীয় প্রকৌশলীদের সংখ্যা তিন শতাধিকেরও বেশি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন গত বছরের জুলাইয়ে মিয়ানমার ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্ভাব্য পরামাণু কর্মসূচি নিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছিলেন।
তবে মিয়ানমারের জান্তা সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির কোনো ইচ্ছে তাদের নেই। এ ছাড়া উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য সহযোগিতার বিষয়টিও উড়িয়ে দিয়েছে জান্তা সরকার।
গত মাসেই জাতিসংঘ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের কাছে নিষিদ্ধ পরমাণু ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সরঞ্জাম সরবরাহ করছে উত্তর কোরিয়া। স্বপক্ষ ত্যাগী মিয়ানমারের সেনাবাহিনী একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে নরওয়ে-ভিত্তিক গণমাধ্যম ডেমোক্র্যাটিক ভয়েজ অব বার্মা (ডিভিবি) গত জুনে বলেছে, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে মিয়ানমার। এ লক্ষ্যে বছরের পর বছর ধরে তারা গোপনে সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। ডিভিবির সংগ্রহে মিয়ানমারের গোপন বাংকার ও সুড়ঙ্গসংশ্লিষ্ট ছবি এবং সাক্ষ্যপ্রমাণও রয়েছে। ডিভিবি বলেছে, উত্তর কোরিয়ার বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় এসব বাংকার ও সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সাবেক পরিচালক রবার্ট কেলি অক্টোবরে বলেছেন, প্রাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ থেকে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে মিয়ানমারের পরমাণু কর্মসূচি প্রক্রিয়াধীন। এই কর্মসূচি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছে।
No comments