বেনজেমা আর আর্সেনালের রাত
টাকার প্রশ্ন হোক কিংবা তারকাদ্যুতি অথবা পারফরম্যান্স—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো অনেকেরই ধরাছোঁয়ার বাইরে। এগুলোর যেকোনো দিক দিয়েই করিম বেনজেমার রোনালদোকে ছাড়িয়ে যাওয়া কষ্টকল্পনা। কিন্তু পরশু দারুণ এক হ্যাটট্রিক করে রোনালদোকে ছাপিয়ে গেলেন বেনজেমা।
এই ফরাসি স্ট্রাইকারের হ্যাটট্রিকেই চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে অজেরিকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল। তবে রোনালদো একেবারেই অন্তরালে থাকার পাত্র নন! রিয়ালের বাকি গোলটি পর্তুগিজ উইঙ্গারেরই। বেনজেমার হ্যাটট্রিকেও তিনি অবদান রেখেছেন তাঁর প্রথম গোলের জোগানদাতা হয়ে।
নকআউট পর্ব আগেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় অযথা ঝুঁকি এড়াতে নিয়মিত প্রথম একাদশের অনেককেই বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ হোসে মরিনহো। এ মৌসুমে তাই সপ্তমবারের মতো প্রথম একাদশে নামার সুযোগ মেলে বেনজেমার। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে এ মৌসুমে ২০ ম্যাচ খেলা বেনজেমা নিজের গোলসংখ্যা নিয়ে গেছেন ছয়ে।
১২ মিনিটে করা বেনজেমার প্রথম গোলটি একটি মাইলফলকও। চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের ৩০০তম গোল এটি। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে ইউরোপিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়নস লিগ নাম নেওয়ার পর এই কীর্তি প্রথম গড়ল রিয়াল। ম্যাচে আগাগোড়াই অজেরিকে কোণঠাসা করে রেখেও প্রথমার্ধে রিয়াল গোল পায় এই একটিই।
দারুণ এক চিপ করে ৪৯ মিনিটে রোনালদো করেন দলের দ্বিতীয় গোল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২১ ম্যাচে এটি তাঁর ২০তম গোল। ৭২ মিনিটে দ্বিতীয় এবং শেষ বাঁশির মিনিট দুই আগে হ্যাটট্রিক পেয়ে যান বেনজেমা। এত দিন পর নিজেকে ফিরে পেয়ে দারুণ খুশি ফরাসি স্ট্রাইকার, ‘তিন গোল করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। প্রতিদিনই আমি আগের দিনের চেয়ে ভালো বোধ করছি। আর এটা মাঠেই প্রতিফলিত হচ্ছে।’
রোনালদো-হিগুয়েইনরা ফর্মেই আছেন, বেনজেমাও ফিরলেন ফর্মে। এল ক্লাসিকোর হতাশা মুছে রিয়াল মাদ্রিদ আবার যেন সুখী সংসার। গত ছয়টি মৌসুম কোয়ার্টার ফাইনালেই উঠতে না পারা রিয়াল দশম শিরোপার আশায় আবার বুক বাঁধতে শুরু করেছে।
বেনজেমা আর রিয়ালের রাতে আর্সেনাল শিবিরও উল্লসিত। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নিজেদের মাঠে পার্টিজানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে তারা। থিও ওয়ালকট, সামির নাসরি ও রবিন ফন পার্সির গোলই ‘গানার’দের নিয়ে গেছে নকআউট পর্বে। তবে এখনই শিরোপার স্বপ্ন দেখছেন না কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার। বার্সেলোনাকেই শিরোপার সবচেয়ে বড় দাবিদার বলছেন তিনি, ‘আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। বার্সেলোনার মতো সুপার ফেবারিট দল আছে এখানে।’
ওদিকে আয়াক্সের কাছে ২-০ গোলে হেরেও সাতবারের চ্যাম্পিয়ন মিলানের কোচ মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির ভাবনা অন্যরকম, ‘নকআউট পর্বে তো উঠেই গেছি আমরা। একটি পরাজয়েই সব শেষ হয়ে যায়নি।’ এএফপি, রয়টার্স, ওয়েবসাইট।
এ ক ন জ রে
বায়ার্ন ৩ : ০ বাসেল
ক্লুজ ১ : ১ রোমা
জিলিনা ১ : ২ স্পার্তাক
মার্শেই ১ : ০ চেলসি
মিলান ০ : ২ আয়াক্স
রিয়াল ৪ : ০ অজেরি
আর্সেনাল ৩ : ০ পার্টিজান
শাখতার ২ : ০ ব্রাগা
প্রথমে স্বাগতিক দল
এই ফরাসি স্ট্রাইকারের হ্যাটট্রিকেই চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে অজেরিকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল। তবে রোনালদো একেবারেই অন্তরালে থাকার পাত্র নন! রিয়ালের বাকি গোলটি পর্তুগিজ উইঙ্গারেরই। বেনজেমার হ্যাটট্রিকেও তিনি অবদান রেখেছেন তাঁর প্রথম গোলের জোগানদাতা হয়ে।
নকআউট পর্ব আগেই নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় অযথা ঝুঁকি এড়াতে নিয়মিত প্রথম একাদশের অনেককেই বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ হোসে মরিনহো। এ মৌসুমে তাই সপ্তমবারের মতো প্রথম একাদশে নামার সুযোগ মেলে বেনজেমার। সুযোগটা কাজে লাগিয়ে এ মৌসুমে ২০ ম্যাচ খেলা বেনজেমা নিজের গোলসংখ্যা নিয়ে গেছেন ছয়ে।
১২ মিনিটে করা বেনজেমার প্রথম গোলটি একটি মাইলফলকও। চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের ৩০০তম গোল এটি। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে ইউরোপিয়ান কাপ চ্যাম্পিয়নস লিগ নাম নেওয়ার পর এই কীর্তি প্রথম গড়ল রিয়াল। ম্যাচে আগাগোড়াই অজেরিকে কোণঠাসা করে রেখেও প্রথমার্ধে রিয়াল গোল পায় এই একটিই।
দারুণ এক চিপ করে ৪৯ মিনিটে রোনালদো করেন দলের দ্বিতীয় গোল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২১ ম্যাচে এটি তাঁর ২০তম গোল। ৭২ মিনিটে দ্বিতীয় এবং শেষ বাঁশির মিনিট দুই আগে হ্যাটট্রিক পেয়ে যান বেনজেমা। এত দিন পর নিজেকে ফিরে পেয়ে দারুণ খুশি ফরাসি স্ট্রাইকার, ‘তিন গোল করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। প্রতিদিনই আমি আগের দিনের চেয়ে ভালো বোধ করছি। আর এটা মাঠেই প্রতিফলিত হচ্ছে।’
রোনালদো-হিগুয়েইনরা ফর্মেই আছেন, বেনজেমাও ফিরলেন ফর্মে। এল ক্লাসিকোর হতাশা মুছে রিয়াল মাদ্রিদ আবার যেন সুখী সংসার। গত ছয়টি মৌসুম কোয়ার্টার ফাইনালেই উঠতে না পারা রিয়াল দশম শিরোপার আশায় আবার বুক বাঁধতে শুরু করেছে।
বেনজেমা আর রিয়ালের রাতে আর্সেনাল শিবিরও উল্লসিত। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নিজেদের মাঠে পার্টিজানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে তারা। থিও ওয়ালকট, সামির নাসরি ও রবিন ফন পার্সির গোলই ‘গানার’দের নিয়ে গেছে নকআউট পর্বে। তবে এখনই শিরোপার স্বপ্ন দেখছেন না কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার। বার্সেলোনাকেই শিরোপার সবচেয়ে বড় দাবিদার বলছেন তিনি, ‘আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। বার্সেলোনার মতো সুপার ফেবারিট দল আছে এখানে।’
ওদিকে আয়াক্সের কাছে ২-০ গোলে হেরেও সাতবারের চ্যাম্পিয়ন মিলানের কোচ মাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির ভাবনা অন্যরকম, ‘নকআউট পর্বে তো উঠেই গেছি আমরা। একটি পরাজয়েই সব শেষ হয়ে যায়নি।’ এএফপি, রয়টার্স, ওয়েবসাইট।
এ ক ন জ রে
বায়ার্ন ৩ : ০ বাসেল
ক্লুজ ১ : ১ রোমা
জিলিনা ১ : ২ স্পার্তাক
মার্শেই ১ : ০ চেলসি
মিলান ০ : ২ আয়াক্স
রিয়াল ৪ : ০ অজেরি
আর্সেনাল ৩ : ০ পার্টিজান
শাখতার ২ : ০ ব্রাগা
প্রথমে স্বাগতিক দল
No comments