স্বনামধন্য ব্যাংকার লুৎফর রহমান সরকারকে সংবর্ধনা
স্বনামধন্য ব্যাংকার, উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর লুৎফর রহমান সরকারকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর র্যাডিসন হোটেলে গত বুধবার রাতে দি ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (আইবিবি) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
লুৎফর রহমান সরকার ১৯৯৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব নেন। এর আগে তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও বেসরকারি অর্ধডজন ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীর পদে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশে গণমুখী ব্যাংকিংয়ে তাঁকে পথিকৃৎ বিবেচনা করা হয়। ব্যাংকিং খাতে সাড়া জাগানো বিভিন্ন ঋণ ও সঞ্চয়-পণ্যের উদ্ভাবক তিনি।
লুৎফর রহমান সরকার ডিপোজিট পেনশন স্কিম (ডিপিএস) ও ভোক্তা ঋণ স্কিমের উদ্ভাবক। দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকদের জন্য তিনি আত্মকর্মসংস্থানমূলক প্রকল্প ‘বিকল্প’র স্রষ্টা। সৃজনশীল এই ব্যাংকার দীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশক সময় ধরে দেশের ব্যাংকিং খাতে অবদান রাখেন।
সাবেক এই গভর্নর একই সঙ্গে দক্ষ পেশাজীবী, লেখক, কলামিস্ট ও গবেষক। এল আর সরকার নামে সুশীল সমাজের কাছে সমাদৃত ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। ১৯৬৭ সালে তাঁর রম্য রচনার প্রথম বই দৈনন্দিন প্রকাশিত হয়। তাঁর লেখা চারটি রম্য রচনাগ্রন্থ ও তিনটি ছড়ার বই পাঠকসমাজে সমাদৃত। ছোটদের জন্য তাঁর তিনটি ছড়ার বইও রয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন এবং নজরুল একাডেমীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
লুৎফর রহমান সরকার দেশের ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ আদায়ে ও ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে বরাবরই সাহসী ভূমিকা রাখেন। গভর্নর থাকাকালে ব্যাংক পরিচালকদের নিজ ব্যাংক থেকে অতিমাত্রায় ঋণ নেওয়া বন্ধে কঠোর ভূমিকা নেন। তিনি প্রথম ঋণখেলাপিদের তালিকাও পত্রিকায় প্রকাশ করেন।
এই গুণী ব্যাংকারের সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, তিনি একজন ব্যতিক্রমী ও যোগ্য ব্যাংকার। তিনি সব সময় দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করতেন।
লুৎফর রহমান সরকার বলেন, ‘আমার সম্পর্কে যেসব কথা বলা হচ্ছে, আমি তার অত দাবিদার না।’ তবে তিনি বলেন, ‘৪৮ বছরের ব্যাংকিং সময়ের দিকে তাকালে দেখতে পাই, কিছু এলাকা আছে যার প্রশংসার দাবিদার হতে পারি। কিছু কাজ করেছি মাত্র।’
এল আর সরকার বলেন, তিনি সব সময় দেশের প্রতি, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে কাজ করেছেন।
এবিবির চেয়ারম্যান কে মাহমুদ সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান ও শিক্ষাবিদ মুস্তাফা নূরউল ইসলাম। এতে আরও বক্তব্য দেন কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইবিবির মহাসচিব মুহাম্মদ আবদুল মতীন।
আতিউর রহমান বলেন, ব্যাংকিং জগতের জীবন্ত কিংবদন্তি হচ্ছেন লুৎফর রহমান সরকার, যিনি দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নানা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশে কল্যাণমুখী ব্যাংকিংয়ের পুরোধা।
মুস্তাফা নূরউল ইসলাম বলেন, মুদ্রার এপিঠ ব্যাংকার হলে ওপিঠ লুৎফর রহমান সরকার।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, জনাব সরকার গণমুখী ব্যাংকিং বিষয়ে সর্বদা পদক্ষেপ নিতেন। বিকল্প প্রকল্পের কারণে তাঁকে সনাতনী ব্যাংকিং প্রথা ভাঙার দায়ে জেল খাটতে হয়েছে।
লুৎফর রহমান সরকার ১৯৯৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্ব নেন। এর আগে তিনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও বেসরকারি অর্ধডজন ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীর পদে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশে গণমুখী ব্যাংকিংয়ে তাঁকে পথিকৃৎ বিবেচনা করা হয়। ব্যাংকিং খাতে সাড়া জাগানো বিভিন্ন ঋণ ও সঞ্চয়-পণ্যের উদ্ভাবক তিনি।
লুৎফর রহমান সরকার ডিপোজিট পেনশন স্কিম (ডিপিএস) ও ভোক্তা ঋণ স্কিমের উদ্ভাবক। দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকদের জন্য তিনি আত্মকর্মসংস্থানমূলক প্রকল্প ‘বিকল্প’র স্রষ্টা। সৃজনশীল এই ব্যাংকার দীর্ঘ প্রায় পাঁচ দশক সময় ধরে দেশের ব্যাংকিং খাতে অবদান রাখেন।
সাবেক এই গভর্নর একই সঙ্গে দক্ষ পেশাজীবী, লেখক, কলামিস্ট ও গবেষক। এল আর সরকার নামে সুশীল সমাজের কাছে সমাদৃত ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। ১৯৬৭ সালে তাঁর রম্য রচনার প্রথম বই দৈনন্দিন প্রকাশিত হয়। তাঁর লেখা চারটি রম্য রচনাগ্রন্থ ও তিনটি ছড়ার বই পাঠকসমাজে সমাদৃত। ছোটদের জন্য তাঁর তিনটি ছড়ার বইও রয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন এবং নজরুল একাডেমীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
লুৎফর রহমান সরকার দেশের ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ আদায়ে ও ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে বরাবরই সাহসী ভূমিকা রাখেন। গভর্নর থাকাকালে ব্যাংক পরিচালকদের নিজ ব্যাংক থেকে অতিমাত্রায় ঋণ নেওয়া বন্ধে কঠোর ভূমিকা নেন। তিনি প্রথম ঋণখেলাপিদের তালিকাও পত্রিকায় প্রকাশ করেন।
এই গুণী ব্যাংকারের সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, তিনি একজন ব্যতিক্রমী ও যোগ্য ব্যাংকার। তিনি সব সময় দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করতেন।
লুৎফর রহমান সরকার বলেন, ‘আমার সম্পর্কে যেসব কথা বলা হচ্ছে, আমি তার অত দাবিদার না।’ তবে তিনি বলেন, ‘৪৮ বছরের ব্যাংকিং সময়ের দিকে তাকালে দেখতে পাই, কিছু এলাকা আছে যার প্রশংসার দাবিদার হতে পারি। কিছু কাজ করেছি মাত্র।’
এল আর সরকার বলেন, তিনি সব সময় দেশের প্রতি, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে কাজ করেছেন।
এবিবির চেয়ারম্যান কে মাহমুদ সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান ও শিক্ষাবিদ মুস্তাফা নূরউল ইসলাম। এতে আরও বক্তব্য দেন কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইবিবির মহাসচিব মুহাম্মদ আবদুল মতীন।
আতিউর রহমান বলেন, ব্যাংকিং জগতের জীবন্ত কিংবদন্তি হচ্ছেন লুৎফর রহমান সরকার, যিনি দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নানা ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশে কল্যাণমুখী ব্যাংকিংয়ের পুরোধা।
মুস্তাফা নূরউল ইসলাম বলেন, মুদ্রার এপিঠ ব্যাংকার হলে ওপিঠ লুৎফর রহমান সরকার।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, জনাব সরকার গণমুখী ব্যাংকিং বিষয়ে সর্বদা পদক্ষেপ নিতেন। বিকল্প প্রকল্পের কারণে তাঁকে সনাতনী ব্যাংকিং প্রথা ভাঙার দায়ে জেল খাটতে হয়েছে।
No comments