খবর, প্রথম আলোর- ৪০ বছর পড়ে থাকা লাশটার সৎকার করতে চাই ______যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রসঙ্গে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দ্রুত শেষ করার তাগাদা দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘৪০ বছর ধরে একটা লাশ পড়ে আছে, সেই লাশটার একটা সৎকার আমরা করতে চাই।’
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতি আয়োজিত এক সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতি আয়োজিত এক সিম্পোজিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান এ কথা বলেন।
রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে অনুষ্ঠিত এ সিম্পোজিয়ামে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘অনেক মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে ১৯৭১ সালে। তার নামকরণ নিয়েও অনেক কথা আছে—যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ইত্যাদি। এই বিচারটা নানা কারণে বিলম্বিত হচ্ছে। এখন শাস্তি দেওয়ার জন্য একেবারে দাঁতভাঙা প্রমাণ যতক্ষণ না হাতে পাব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা বিচার চালিয়ে যাব—এভাবে বিলম্ব করা ঠিক না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বিচার করি, তাতে যদি খালাস হয়, খালাস হয়ে যাবে। আমরা একটা সৎকার করলাম। ৪০ বছর ধরে একটা লাশ পড়ে আছে, সেই লাশটার একটা সৎকার আমরা করতে চাই। এ ক্ষেত্রে আমরা আক্রোশ-প্রতিহিংসাবশত কোনো কিছু করব না। তেমনই যাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে, স্নেহের পাত্র বলে তাদেরও আমরা অনুগ্রহ দেখাব না।’
সাবেক এই প্রধান বিচারপতির মতে, মানবাধিকার সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করার মতো ক্ষমতা, দক্ষতা ও প্রস্তুতি বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নেই। তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন হচ্ছে, মানবাধিকার কে সংরক্ষণ করবে? প্রথম করবে দেশের নির্বাহী বিভাগ। বিশেষ করে, আইনশৃঙ্খলা বিভাগ। তার পরে যদি পকেটে পয়সা থাকে, উৎসাহ থাকে, তাহলে আদালত। আদালতের বিলম্ব কাটিয়ে রিট ও রুল পেরিয়ে কখন মানবাধিকার হবে, তা ভগবান জানে। এমন অবস্থায় অসুবিধা হচ্ছে, যাদের প্রথম দায়িত্ব মানবাধিকার সংরক্ষণ করার, তাদের দক্ষতা ও ক্ষমতা যথেষ্ট নয়।’
বিচারপতি হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এনকাউন্টার, ক্রসফায়ার ও অপরাশেন ক্লিনহার্ট—কী সুন্দর সুন্দর নাম! সেই ক্লিনহার্টে একটার পর একটা লোক হার্টফেল করে মারা গেল। তা এতই অবিশ্বাস্য যে সংসদ বাধ্য হয়ে দায়মুক্ত আইন করল, যা খুবই দুঃখজনক। এখন এটা অনেক কমেছে। এটা ভালো।’ তিনি দেশে মানবাধিকার কমিশনের গঠনকে সুসংবাদ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
সিম্পোজিয়ামে সভাপতির বক্তৃতায় বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতির সহসভাপতি বিচারপতি কাজী এবাদুল হক বলেন, ‘অনেক চাপাচাপির পর মানবাধিকার কমিশন পেয়েছি। কিন্তু এ কমিশন ঠুঁটো জগন্নাথের মতো ভূমিকা পালন করছে। বড় বড় বক্তৃতা হচ্ছে, কিন্তু সরকারের কর্মকর্তারা যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, তার কিছুই হচ্ছে না। ঘর তছনছ করে দিচ্ছে, আইন-আদালত কিছুই করতে পারছে না।’
সিম্পোজিয়ামের সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ জাতিসংঘ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মোল্লা মকবুল হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (জাতিসংঘ ও মানবাধিকার ডেস্ক) ইশরাত জাহান আহমেদ।
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত হারুন-উর রশীদ। তিনি বলেন, মানুষ ক্ষুধার্ত থাকলে মানবাধিকারের তত্ত্ব কোনো কাজে আসবে না। একইভাবে দুর্নীতিও মানবাধিকারের বিষয়টিতে প্রভাব ফেলে।
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘নারী-পুরুষ বৈষম্যের নিরোধ করার যে কনভেনশন রয়েছে, সেটি রেটিফাই করতে যা গড়িমসি পাশ্চাত্য পৃথিবীতে হয়েছে, তাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যদের বড় মুখ করে মানবাধিকার সম্পর্কে বলার কিছু নেই। তারা পরের খোঁজ নিতে চায়, প্রতিবেদন চায়। কিন্তু তোমাদের প্রতিবেদন কে নেবে?’ তিনি বলেন, ‘পাশ্চাত্যের লোকদের ধারণা, প্রাচ্যের লোকদের পক্ষে মানবাধিকার পালন কঠিন কাজ। অথচ মানবাধিকার সম্পর্কে আমি যেটুকু জেনেছি, তা পশ্চিম থেকে শিখিনি। আমাদের যেসব প্রবাদ-প্রবচন আছে, সেগুলো খুঁঁজলেই দেখবেন, আমরা মানুষকে কী মর্যাদা দিচ্ছি। লালনের গান বা কবি নজরুল ইসলাম মানবাধিকারের বিষয়টি যেভাবে শিখিয়েছে, সেভাবে কেউ শেখায়নি।’
=====================
এই কি আমাদের মানবাধিকার? ঐতিহ্যের মধ্যে সমকাল কেমন দেখতে চাইঃ ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলা দ্রীপ প্রতিভার দ্যুতিময় স্মারক গল্প- বৃষ্টি শহীদুল্লা কায়সারঃ রাজনৈতিক সৃষ্টিশীলতা আনোয়ার পাশাঃ জাতিরাষ্ট্রের অংশ ও প্রেরণা মুনীর চৌধুরীঃ তাঁর নাটক জেগে ওঠার গল্প এখন শুনবেন বিশ্ব-সংবাদ বাঘ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০১০ তাঁরা সমালোচিত, আমরা বিব্রত মুজিবকে নিয়ে সিরাজের একমাত্র লেখা ঢাকা সিটি করপোরেশন বিভক্তির উদ্যোগ মহাস্থানগড়ের ধ্বংস-পরিস্থিতিঃ পর্যবেক্ষণ ওয়ান-ইলেভেনের চেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ আসছে! ডিসেম্বরঃ গৌরব ও গর্বের মাস উইকিলিকস বনাম যুক্তরাষ্ট্র দুর্নীতি বেড়েছে দুনিয়াজুড়ে উইকিলিকসঃ বাঘের ঘরে ঘোগ আইন অপূর্ণাঙ্গঃ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার কঠিন ১০০ কোটি ডলারে ঋণঃ ভারতের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত ট্রেন দুর্ঘটনাঃ চালকের ভুল নাশকতারও গন্ধ! ‘যুদ্ধ’ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা উইকিলিকস সমর্থকদের কানকুনঃ মুমূর্ষু পৃথিবীর নিষ্ঠুর মানুষ নারীর হার-নারীর জিত, বেগম রোকেয়া প্রাসঙ্গিক সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে দুর্নীতির বীজ লুক্কায়িত বরুণ রায়—কিংবদন্তিতুল্য এক ব্যক্তিত্ব মুক্তির গান এক-এগারোর জুজুটাকে হিমাগারে পাঠান জব্দকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে জাগরণ সৃষ্টি করুন সংসদীয় গণতন্ত্রের গল্পসল্প রাষ্ট্রীয় সমাজে চিন্তা করার স্বাধীনতার প্রয়োজন বাঙালের জলবায়ু দর্শন: ইঁদুরই কি শ্রেষ্ঠ জীব
দৈনিক প্রথম আলো এর সৌজন্যে
এই খবর'টি পড়া হয়েছে...
এই কি আমাদের মানবাধিকার? ঐতিহ্যের মধ্যে সমকাল কেমন দেখতে চাইঃ ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলা দ্রীপ প্রতিভার দ্যুতিময় স্মারক গল্প- বৃষ্টি শহীদুল্লা কায়সারঃ রাজনৈতিক সৃষ্টিশীলতা আনোয়ার পাশাঃ জাতিরাষ্ট্রের অংশ ও প্রেরণা মুনীর চৌধুরীঃ তাঁর নাটক জেগে ওঠার গল্প এখন শুনবেন বিশ্ব-সংবাদ বাঘ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০১০ তাঁরা সমালোচিত, আমরা বিব্রত মুজিবকে নিয়ে সিরাজের একমাত্র লেখা ঢাকা সিটি করপোরেশন বিভক্তির উদ্যোগ মহাস্থানগড়ের ধ্বংস-পরিস্থিতিঃ পর্যবেক্ষণ ওয়ান-ইলেভেনের চেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ আসছে! ডিসেম্বরঃ গৌরব ও গর্বের মাস উইকিলিকস বনাম যুক্তরাষ্ট্র দুর্নীতি বেড়েছে দুনিয়াজুড়ে উইকিলিকসঃ বাঘের ঘরে ঘোগ আইন অপূর্ণাঙ্গঃ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার কঠিন ১০০ কোটি ডলারে ঋণঃ ভারতের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত ট্রেন দুর্ঘটনাঃ চালকের ভুল নাশকতারও গন্ধ! ‘যুদ্ধ’ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা উইকিলিকস সমর্থকদের কানকুনঃ মুমূর্ষু পৃথিবীর নিষ্ঠুর মানুষ নারীর হার-নারীর জিত, বেগম রোকেয়া প্রাসঙ্গিক সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে দুর্নীতির বীজ লুক্কায়িত বরুণ রায়—কিংবদন্তিতুল্য এক ব্যক্তিত্ব মুক্তির গান এক-এগারোর জুজুটাকে হিমাগারে পাঠান জব্দকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে জাগরণ সৃষ্টি করুন সংসদীয় গণতন্ত্রের গল্পসল্প রাষ্ট্রীয় সমাজে চিন্তা করার স্বাধীনতার প্রয়োজন বাঙালের জলবায়ু দর্শন: ইঁদুরই কি শ্রেষ্ঠ জীব
দৈনিক প্রথম আলো এর সৌজন্যে
এই খবর'টি পড়া হয়েছে...
No comments