বিশ্বে প্রতি চারজনে একজন ঘুষ দেন
বিশ্বে দুর্নীতি তিন বছর আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। ডেনমার্ক ছাড়া সারা বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই গত বছর প্রতি চারজনের একজন ঘুষ দিয়েছেন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের এক সমীক্ষায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্ব দুর্নীতি দমন দিবস উপলক্ষে বিশ্ব দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরতে গতকাল বৃহস্পতিবার এ ফল প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল।
বার্লিনভিত্তিক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ৮৬টি দেশের ৯১ হাজার মানুষের ওপর গবেষণা চালায়। এতে দেখা যায়, রাজনৈতিক দলগুলো সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত। গবেষণায় অংশ নেওয়া ৫০ শতাংশ মানুষ মনে করেন, তাঁদের দেশের সরকার এ সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ।
প্রতি চারজনে একজন জানিয়েছেন, তাঁরা পুলিশকে ঘুষ দিয়েছেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য, শিক্ষা, রাজস্ব বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ ঘুষ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত। ২৯ শতাংশ ঘুষ পেয়েছে পুলিশ, ২০ শতাংশ নিবন্ধন (রেজিস্ট্রি) ও পারমিট কর্মকর্তারা, এবং ১৪ শতাংশ পেয়েছেন বিচারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের প্রতি দুজনের একজন গত ১২ মাস এ ধরনের অনৈতিক লেনদেন করেছেন বলে জানা গেছে।
এরপর শীর্ষস্থানে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলো। এসব দেশের ৩৬ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা নানা কারণে ঘুষ দিয়েছেন।
দুর্নীতির শীর্ষ তালিকায় রয়েছে আফগানিস্তান; এরপর যথাক্রমে কম্বোডিয়া, ক্যামেরন, ভারত, ইরাক, লাইবেরিয়া, নাইজেরিয়া, ফিলিস্তিন, সেনেগাল, সিয়েরা লিওন ও উগান্ডা। এসব দেশের প্রতি দুজনের একজন ঘুষ লেনদেন করেছেন।
ডেনমার্কে ঘুষ লেনদেনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ঘুষ লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে কম (পাঁচ শতাংশ) ঘুষ দেওয়া হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ ও উত্তর আমেরিকায়।
গবেষণায় প্রশ্নোত্তরে অংশ নেওয়া ৫০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা সমস্যা এড়াতে ঘুষ দিয়েছেন। তাঁদের ২৫ শতাংশের দাবি, বিভিন্ন প্রক্রিয়ার গতি ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ দিয়েছেন তাঁরা।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, নিম্ন আয়ের মানুষই সবচেয়ে বেশি ঘুষ দিয়েছেন।
এদিকে বিবিসির এক জরিপে দেখা গেছে, সারা বিশ্বের মানুষ দুর্নীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি কথা বলেছেন। গতকাল ওই জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। এ জরিপে ২৬টি দেশের ১৩ হাজার মানুষ অংশ নেন। কোন বিষয়টিকে তাঁরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন—এ প্রশ্নের জবাবে বেশির ভাগ মানুষই দুর্নীতির কথা উল্লেখ করেন।
দুর্নীতি বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে ও দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে জাতিসংঘ ২০০৩ সালে বিশ্ব দুর্নীতি দমন দিবস ঘোষণা করে।
বার্লিনভিত্তিক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ৮৬টি দেশের ৯১ হাজার মানুষের ওপর গবেষণা চালায়। এতে দেখা যায়, রাজনৈতিক দলগুলো সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত। গবেষণায় অংশ নেওয়া ৫০ শতাংশ মানুষ মনে করেন, তাঁদের দেশের সরকার এ সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ।
প্রতি চারজনে একজন জানিয়েছেন, তাঁরা পুলিশকে ঘুষ দিয়েছেন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য, শিক্ষা, রাজস্ব বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ ঘুষ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত। ২৯ শতাংশ ঘুষ পেয়েছে পুলিশ, ২০ শতাংশ নিবন্ধন (রেজিস্ট্রি) ও পারমিট কর্মকর্তারা, এবং ১৪ শতাংশ পেয়েছেন বিচারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের প্রতি দুজনের একজন গত ১২ মাস এ ধরনের অনৈতিক লেনদেন করেছেন বলে জানা গেছে।
এরপর শীর্ষস্থানে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলো। এসব দেশের ৩৬ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা নানা কারণে ঘুষ দিয়েছেন।
দুর্নীতির শীর্ষ তালিকায় রয়েছে আফগানিস্তান; এরপর যথাক্রমে কম্বোডিয়া, ক্যামেরন, ভারত, ইরাক, লাইবেরিয়া, নাইজেরিয়া, ফিলিস্তিন, সেনেগাল, সিয়েরা লিওন ও উগান্ডা। এসব দেশের প্রতি দুজনের একজন ঘুষ লেনদেন করেছেন।
ডেনমার্কে ঘুষ লেনদেনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ঘুষ লেনদেনের দিক থেকে সবচেয়ে কম (পাঁচ শতাংশ) ঘুষ দেওয়া হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ ও উত্তর আমেরিকায়।
গবেষণায় প্রশ্নোত্তরে অংশ নেওয়া ৫০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা সমস্যা এড়াতে ঘুষ দিয়েছেন। তাঁদের ২৫ শতাংশের দাবি, বিভিন্ন প্রক্রিয়ার গতি ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ দিয়েছেন তাঁরা।
এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, নিম্ন আয়ের মানুষই সবচেয়ে বেশি ঘুষ দিয়েছেন।
এদিকে বিবিসির এক জরিপে দেখা গেছে, সারা বিশ্বের মানুষ দুর্নীতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি কথা বলেছেন। গতকাল ওই জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়। এ জরিপে ২৬টি দেশের ১৩ হাজার মানুষ অংশ নেন। কোন বিষয়টিকে তাঁরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেন—এ প্রশ্নের জবাবে বেশির ভাগ মানুষই দুর্নীতির কথা উল্লেখ করেন।
দুর্নীতি বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে ও দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে জাতিসংঘ ২০০৩ সালে বিশ্ব দুর্নীতি দমন দিবস ঘোষণা করে।
No comments