আলোচনা- এ মাটির মায়ায় by ইকবাল হোসাইন চৌধুরী

৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে পয়লাবার পা রেখেছিলেন সদ্য জন্ম নেওয়া বাংলাদেশে। সেই বাংলাদেশের মায়া আর ছেড়ে যায়নি তাঁকে। ‘টেস্টিমনি অব সিক্সটি’ নামের ঐতিহাসিক দলিলের পেছনের মানুষ জুলিয়ান ফ্রান্সিস আপন ঠিকানা হিসেবে বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশকেই। ’৭১-এর সেই দিনগুলোতে সর্বস্ব-হারা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের জন্য কাজ করা শুরু করেছিলেন।
এখনো আছেন হতদরিদ্রদের পাশেই। কাজ করছেন চরাঞ্চলের মানুষের জন্য। তাঁকে নিয়ে প্রথম আলোর ছুটির দিনের মূল রচনার বিস্তারিত।
শনিবার দিনে এমনটা হয়। যানজটের উৎকণ্ঠা মাথায় নিয়ে তড়িঘড়ি বাসা থেকে বেরিয়েছি। কিন্তু প্রায় ফাঁকা রাস্তা পেয়ে ঠিকানা বরাবর পৌঁছে গেছি বেশ আগেভাগে। জুলিয়ান ফ্রান্সিসের কাছে আসার কথা দুপুর বারোটায়। বাজে মোটে সাড়ে এগারো। বাগানবিলাস ফুলের গাছ ছায়া ফেলে রেখেছে বাড়িটার সদর দরজায়। রিকশা, মোটর গাড়ির উৎপাত নেই। পথচলতি মানুষের হল্লা নেই। ঢাকার বনানীর এই দিকটা খানিকটা নির্জন। বাইরে খানিক হাঁটাহাঁটি করে মিনিট বিশেক পার করে দিলেই হয়। সেই উদ্দেশ্যেই পা বাড়াচ্ছিলাম। এর মধ্যেই ওপরতলা থেকে হাঁক। তিনতলা থেকে হাত উঁচিয়ে ডাকছেন কেউ একজন। হ্যাঁ জুলিয়ানই তো। কীভাবে যেন বুঝে গেছেন আমরাই তার সাক্ষাৎপ্রার্থী।
পরনে এক শ ভাগ বাংলাদেশি ঢঙের ফতুয়া। পায়ে চটি। চোখে সোনালি ফ্রেমের চশমা। বসার ঘরে বেতের চেয়ারটায় বসে অপেক্ষাতেই ছিলেন জুলিয়ান ফ্রান্সিস। হাত-টাত মেলানোর পর জুলিয়ানই শুরু করলেন প্রথম—‘আমার লেখাটা পড়েছেন? গতকালকের প্রথম আলোতে?’
‘কোনটা, ওই যে বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসের লেখা, ওটা তো? পড়েছি। আলবত পড়েছি।’
জুলিয়ানের চোখেমুখে একটু খুশির ছোঁয়া লাগল। প্রথম আলো অবশ্য আমার আরও কয়েকটা লেখা ছেপেছে...’ বলতে বলতে জুলিয়ান হাসলেন। বাংলাদেশের পত্রিকায় লেখালেখিটা তাহলে বেশ উপভোগ করেন বাংলাদেশের আজন্ম বন্ধু এই ইংরেজ ভদ্রলোক!
শিশুকাল থেকে শুরু। কেমন ছিল জুলিয়ান ফ্রান্সিসের ছেলেবেলার দিনগুলো?
নিজের জন্মদিন নিয়ে ছোট্ট একটা রসিকতা করতে ছাড়লেন না জুলিয়ান—‘আমার জন্মদিন মনে রাখাটা খুব সহজ। কারণ হিটলার যেদিন আত্মহত্যা করে (৩০ এপ্রিল, ১৯৪৫) তার আগের দিনেই আমার জন্ম।’
দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনে কেটেছে জুলিয়ানের শৈশব। সেটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়। তাঁরা চলতেন রেশনের ওপর। বলা চলে ওটা ছিল ‘রেশন’-এর সময়। চকোলেট এমনকি পেট্রোল পর্যন্ত রেশন করে নিতে হতো।
জুলিয়ান বলছিলেন, ‘নিজেদের কোনো গাড়ি ছিল না আমাদের। এমনকি সাধারণ চকোলেটও ছিল মহা দুষ্প্রাপ্য। কারও জন্মদিন বা বড়দিন না হলে চকোলেট হাতে পাওয়ার সৌভাগ্য হতো না। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের কিছু পারিবারিক বন্ধু-বান্ধব ছিল। সাত-আট বছর বয়স পর্যন্ত তারা ফুড পার্সেল পাঠাত আমাদের কাছে। সেখানে মিলত চকোলেট আর বিস্কুটের মতো মহামূল্যবান খাবারদাবার। ১৯৫৩ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অভিষেক হয়। এই সময়ে বন্ধ হয় রেশনিং।’
তাঁর ভাষায় খুব সাদাসিধে শৈশব কেটেছে জুলিয়ানের। মা-বাবা দুজনই ছিলেন উচ্চশিক্ষিত। বাবা উইলিয়াম ফ্রান্সিস। মা আরসিউলা ফ্রান্সিস। মা ছিলেন ভূগোলবিদ। দুনিয়া সম্পর্কে খুব পরিষ্কার ধারণা ছিল তাঁর। দুনিয়ার গরিব মানুষদের জন্য কিছু করার চিন্তা ছিল তাঁর। আরসিউলার দাদা-চাচারা অনেকে দেশের বাইরে ব্যবসা করতেন। রেঙ্গুনে ব্যবসা করতেন আরসিউলার এক চাচা। তিরিশের দশকে একবার চাচার কাছে বেড়াতে এসেছিলেন আরসিউলা। সুতরাং পৃথিবীর এই দিকটা তাঁদের পরিবারের কাছে একদম অচেনা ছিল না।
‘আমার মনে হয় আমার জীবনে আমার মায়ের বড় প্রভাব আছে। আমার মায়ের উৎসাহেই আমি সেই স্কুলে পড়ার বয়স থেকে অক্সফামের হয়ে তহবিল সংগ্রহের কাজ করতাম।’ জুলিয়ান বলছিলেন।
মাত্র ৫২ বছর বয়সে ক্যানসারে মারা যান আরসিউলা। জুলিয়ান তখন কৃষি বিষয়ে পড়ছেন সারে বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৬৮ সালে বড় ধরনের মোড় নিল জীবন। অক্সফামের হয়ে গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ নিয়ে জুলিয়ান এলেন ভারতের বিহারে। সেই প্রকল্পের চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর কী করবেন ভাবছিলেন জুলিয়ান। এর মধ্যেই এল ১৯৭১। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সীমান্তের ওপারে ছুটল পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ। সম্পন্ন গেরস্থ থেকে রাতারাতি অগণন মানুষের নাম লেখা হয়ে গেল শরণার্থীদের খাতায়। সক্রিয় হয়ে উঠল যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান অক্সফাম। শরণার্থী ত্রাণ কার্যক্রমের দায়িত্ব নিয়ে জুলিয়ান ফ্রান্সিস এলেন কলকাতায়। ব্রিটেনের অক্সফাম সদর দপ্তর থেকে জানতে চাওয়া হলো, শরণার্থীরা সংখ্যায় কত হতে পারে?
জুলিয়ান হিসাব-নিকাশ করে জানালেন, প্রতিদিনে গড়ে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পাড়ি দিচ্ছে সীমান্ত। সংখ্যাটা ঠিক বিশ্বাসযোগ্য ঠেকল না অক্সফাম সদর দপ্তরের কাছে। তারা ভাবল, ভারতে খুব গরম পড়েছে। গরমে নিশ্চয়ই মাথা-টাথা একদম গেছে জুলিয়ানের। ভুল করে ও নির্ঘাত কটা শূন্য বেশি বসিয়ে দিয়েছে। কিন্তু জুলিয়ানের হিসাবটা মোটেও মিথ্যা ছিল না। দিনে দিনে ফুলে-ফেঁপে উঠছিল শরণার্থীদের স্রোত। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘার মতো শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, বনগাঁওয়ের মতো সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে শরণার্থী শিবিরে হানা দিল কলেরা আর ডায়রিয়া। মরতে শুরু করল মানুষ। জুলিয়ান ঝাঁপিয়ে পড়লেন কাজে। জলপাইগুড়ির একটা শরণার্থী শিবিরের কথা জুলিয়ানের পরিষ্কার মনে আছে এখনো। সেই শরণার্থী শিবিরে সে দিন জমা হয়েছে ২০টি লাশ। একসঙ্গে এত লাশ দেখে দিশেহারা ক্যাম্পের পরিচালক। লাশগুলো সৎকারের ব্যবস্থা করবে এমন একটা সোমত্ত লোকও আর অবশিষ্ট নেই ক্যাম্পে। সেনাবাহিনীর সাহায্য চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের লোকজন তখনো আসেনি। জুলিয়ান দেরি করলেন না। নিজেই নেমে গেলেন কবর খোঁড়ার কাজে।
১৯৭১ সালের জুন মাসের ঘটনা। শরণার্থীদের জন্য আসা ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ করতে জুলিয়ান গেছেন দমদম বিমানবন্দরে। কিন্তু দায়িত্বরত কাস্টমস কর্মকর্তা কিছুতেই শুল্ক ছাড়া এসব মালপত্র ছাড়তে রাজি নন। জুলিয়ান তাকে সোজা কথায় বোঝানোর চেষ্টা করলেন ত্রাণসামগ্রী সবসময় শুল্কমুক্ত হয়, এটাই নিয়ম। কিন্তু ওদের সাফ কথা—এই ত্রাণসামগ্রীর ব্যাপারে ওপর মহল থেকে কোনো নির্দেশনা পাননি তারা। পাক্কা ছয় ঘণ্টা দেন-দরবার করে হয়রান হলেন জুলিয়ান। চটেমটে আগুন হয়ে পায়চারি করছেন। এর মধ্যেই কেউ একজন এসে হাত ধরল তাঁর। এবার চমকে ওঠার পালা জুলিয়ানের। এ যে মাদার তেরেসা স্বয়ং। ‘জুলিয়ান আমাদের এখন প্রার্থনা করতে হবে। যেন উনাদেরকে ইশ্বর সুমতি দেন।’ বললেন মাদার। তারপর মাদার তেরেসা জুলিয়ানকে হাত ধরে নিয়ে গেলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কালেক্টর অব কাস্টমসের কাছে। মাদার তেরেসাকে চিনতে পেরে নড়েচড়ে বসলেন কাস্টমস কর্মকর্তা। ত্রাণসামগ্রী পেতে সেবার আর বিলম্ব হলো না মোটেই। সে সময়টায় জুলিয়ান আর মাদার কাজ করেছেন এক অর্থে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। ‘মাদার তেরেসা প্রতিদিন সকালে ফোন করতেন আমাকে। প্রতিদিন ঠিক সকাল সাতটা ১৫ মিনিটে। ফোন করে তিনি কখনো হ্যালো বা গুডমর্নিং বলতেন না। বলতেন, গড ব্লেস ইউ জুলিয়ান।’ জুলিয়ান বলছিলেন ফেলে আসা সেসব দিনের কথা।
এবং টেস্টিমনি অব সিক্সটি
ঘুরেফিরে ‘টেস্টিমনি অব সিক্সটি’র কথা উঠতেই জুলিয়ানের নীল চোখে আবার খুশির ঝিলিক ‘প্রথম আলো ওটা বাংলা অনুবাদ করে ছেপেছে। অসাধারণ সাড়া পেয়েছি সেটা ছাপা হওয়ার পর।’
শরণার্থী শিবিরে মানুষের দুর্দশা খুব কাছ থেকে দেখেছেন এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ মানুষের বয়ান নিয়ে অক্সফাম প্রকাশ করেছিল টেস্টিমনি অব সিক্সটি নামের ঐতিহাসিক দলিল। পূর্ব পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া বৃহৎ মানবিক সংকটের প্রতি বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই। মাদার তেরেসা ছাড়াও এই ৬০ জনের মধ্যে ছিলেন সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি। প্রথিতযশা সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলেন ডেইলি মিরর পত্রিকার জন পিলজার, মাইকেল ব্রানসন, ক্লেয়ার হেলিংওয়ার্থ, কেভিন র্যাফার্টির মতো মানুষ।
জুলিয়ান ফ্রান্সিসের দায়িত্ব ছিল লেখা সংগ্রহের। সেপ্টেম্বর থেকেই শুরু হয় তাঁর ছোটাছুটি। সংগৃহীত সাক্ষ্যগুলো আবার পাঠাতে হতো ব্রিটেনে। আজকালকার মতো ই-মেইল নেই। ভরসা ছিল টেলিগ্রাফ মেশিন। একেকটি বার্তা পাঠানো রীতিমতো একেকটা ছোটখাটো যুদ্ধ। জুলিয়ান সে যুদ্ধে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে আলোর মুখ দেখল টেস্টিমনি অব সিক্সটি। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন তখন আসন্ন। টেস্টিমনি অব সিক্সটি বিলি হলো সাধারণ অধিবেশনে। গোটা দুনিয়া জানল পূর্ব পাকিস্তানের নিপীড়িত মানুষের কথা। নাড়া খেয়ে জেগে উঠল বিশ্ব বিবেক।
৩৮ বছর পর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আর প্রথম আলোর দুই প্রকাশনার সুবাদে আবার পাদপ্রদীপের আলোয় আসে টেস্টিমনি অব সিক্সটি। অসামান্য এই কাজের স্বীকৃতি কিছুতেই একা নিতে রাজি নন জুলিয়ান। বিনয়ের সঙ্গেই বলছিলেন, ‘আমি একা তো নই। অনেকেই এর জন্য কাজ করেছে সে সময়। আমি শুধু ঠিক সময় ঠিক জায়গায় ছিলাম তাই...।’
প্রিয় বাংলাদেশ
সেই ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম পা রেখেছিলেন জুলিয়ান ফ্রান্সিস। তখন বিজয়ের আনন্দে ভাসছে সদ্য জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ নামের ভূখণ্ড। শুনুন জুলিয়ানের কাছ থেকেই ‘একটা ল্যান্ড রোভার গাড়িতে সড়ক পথে কলকাতা থেকে রওনা হয়েছিলাম আমরা। আসার পথে দেখছিলাম ঘরমুখী মানুষের ঢল। সেতু ভেঙে গেছে। ঘরবাড়ি সব পুড়ে ছাই। ৪৮ ঘণ্টা পর ঢাকায় এসে পৌঁছলাম গভীর রাতে। এক জায়গায় সেনাবাহিনীর লোকজন থামাল আমাদের। আমরা জানি না শহরে কারফিউ বলবৎ আছে তখনো। পরে অবশ্য পরিচয় জানার পর আমাদের এসকর্ট করে নিয়ে গেল হোটেল পূর্বাণী পর্যন্ত।’
ব্রিটিশ হাইকমিশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন জুলিয়ান। বঙ্গবন্ধু মুখের পাইপটা নামিয়ে তাঁর দিকে তাক করে ধরলেন। তারপর হাসিমুখে বললেন, আমি তো জেলে ছিলাম। জুলিয়ান তুমিই ভালো বলতে পারবে, আমার দেশের এখন কি প্রয়োজন।
সেই যে বাংলাদেশে পা রেখেছিলেন, বাংলাদেশের মায়া আর ছেড়ে যায়নি জুলিয়ানকে। যেখানেই গেছেন ঘুরেফিরে কাজের টানে, মায়ার টানে আবার ঠিক ফিরে এসেছেন এই বাংলাদেশেই। সর্বস্ব হারা নিঃস্ব শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের জন্য কাজ করা শুরু করেছিলেন। এখনো আছেন সেই হতদরিদ্রদের পাশেই। ডিএফআইডির অর্থায়নে পরিচালিত বাংলাদেশ সরকারের চরাঞ্চলের জীবিকা কর্মসূচির প্রকল্প এবং বাস্তবায়নবিষয়ক উপদেষ্টা তিনি।
কিন্তু এই দূর দেশে বসে কি জন্মভূমির জন্য একটু হলেও মন পোড়ে না তাঁর? কেনই বা ভালোবাসার বাঁধনে বাঁধলেন তৃতীয় বিশ্বের এই দেশটাকে? উত্তরটা দিতে একটুও সময় নেন না জুলিয়ান ‘ইউকেতে আমার নিজের কোনো বাড়িঘর তো নেই। এই দেশে কেউ আমাকে বাবা ডাকে। কেউ ডাকে দাদুু। বাংলাদেশই আমার সবকিছু।’
স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে অনেক দিন। পরিবার বলতে দুই ছেলে নীল ফ্রান্সিস আর রহিন ফ্রান্সিস। নীল শিখন প্রতিবন্ধী। রহিন একজন কার্ডিওলজিস্ট। বউ পুরোদস্তুর বাঙালি। জুলিয়ানের বনানীর বাসাটা ভাড়া বাসা। ঢাকায় এলেই কাশিটা ভোগায়। গাজীপুরের দিকে কালীগঞ্জে এক টুকরো জায়গা আছে তাঁর। ছুটির দিনগুলোতে হুট-হাট চলে যান সেখানে। দারুণ নির্জন আর চুপচাপ সে জায়গাটা। আমগাছের ছায়ায় চেয়ার পেতে বসেন। যা মন চায়, লেখালেখি করেন টুকটাক। পুরোনো দিনের কথা ভাবেন। দিন কেটে যায়...
============================
মধ্যবিত্তের উত্থান, না ভোক্তাশ্রেণীর উদ্ভব  হিমালয়ের পায়ের কাছেঃ গোধূলির ছায়াপথে  পতিত স্বৈরাচারের আস্ফালন ও আওয়ামী লীগের নীরবতা  ৪০ বছর পড়ে থাকা লাশটার সৎকার করতে চাই  এই কি আমাদের মানবাধিকার?  ঐতিহ্যের মধ্যে সমকাল  কেমন দেখতে চাইঃ ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলা  দ্রীপ প্রতিভার দ্যুতিময় স্মারক  গল্প- বৃষ্টি  শহীদুল্লা কায়সারঃ রাজনৈতিক সৃষ্টিশীলতা  আনোয়ার পাশাঃ জাতিরাষ্ট্রের অংশ ও প্রেরণা  মুনীর চৌধুরীঃ তাঁর নাটক  জেগে ওঠার গল্প  এখন শুনবেন বিশ্ব-সংবাদ  বাঘ  বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০১০  তাঁরা সমালোচিত, আমরা বিব্রত  মুজিবকে নিয়ে সিরাজের একমাত্র লেখা  ঢাকা সিটি করপোরেশন বিভক্তির উদ্যোগ  মহাস্থানগড়ের ধ্বংস-পরিস্থিতিঃ পর্যবেক্ষণ  ওয়ান-ইলেভেনের চেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ আসছে!  ডিসেম্বরঃ গৌরব ও গর্বের মাস  উইকিলিকস বনাম যুক্তরাষ্ট্র  দুর্নীতি বেড়েছে দুনিয়াজুড়ে  উইকিলিকসঃ বাঘের ঘরে ঘোগ  আইন অপূর্ণাঙ্গঃ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার কঠিন  ১০০ কোটি ডলারে ঋণঃ ভারতের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত  ট্রেন দুর্ঘটনাঃ চালকের ভুল নাশকতারও গন্ধ!  ‘যুদ্ধ’ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা উইকিলিকস সমর্থকদের  কানকুনঃ মুমূর্ষু পৃথিবীর নিষ্ঠুর মানুষ  নারীর হার-নারীর জিত, বেগম রোকেয়া প্রাসঙ্গিক  সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে দুর্নীতির বীজ লুক্কায়িত  বরুণ রায়—কিংবদন্তিতুল্য এক ব্যক্তিত্ব  মুক্তির গান  এক-এগারোর জুজুটাকে হিমাগারে পাঠান


দৈনিক প্রথম আলো এর সৌজন্যে
লেখকঃ ইকবাল হোসাইন চৌধুরী।
প্রথম আলোর ছুটির দিনের মূল রচনা


এই আলোচনা'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.