ঈদের তারিখ নিয়ে কেন এত বিতর্ক? by তারিক চয়ন
হতে
পারে রমজান মাস মুসলিমদের জন্য কষ্টকর। কিন্তু ঈদ আনন্দের কথা ভেবে তাদের
সেই কষ্ট নিমিষেই মিলেয়ে যায়। বিশ্বজুড়ে মুসলানরা আগ্রহভরে ক্ষণ গণনা
করছেন, ঈদের দিনটির জন্য। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার দিনটিতে তারা মজার
মজার খাবার খাবেন এবং পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করবেন। কিন্তু প্রতি
বছরের মতো এবারও তারা একই দিনে ঈদ উদযাপনে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন না।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা বিভিন্ন দিনে ঈদ উদযাপন করবেন। কেবল বিভিন্ন দেশই নয়, বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন পরিবারের মধ্যেও ঈদের তারিখ নিয়ে রয়েছে বিভক্তি। এমনকি মসজিদের ভেতরে এ নিয়ে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে।
এটা খুব উদ্ভট যে, একটি ধর্মীয় উৎসবের আনন্দ এ ধরনের বিতর্কের কারণে ফিকে হয়ে যায়। কেন মুসলমানরা একটি নির্দিষ্ট তারিখে একমত হতে পারেন না?
সম্ভবত মুসলমানদের কোনো কেন্দ্রীয় ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নেই বলে। মুসলিম দেশগুলোতে ঈদের তারিখ সরকার, আদালত বা সংশ্লিষ্ট সংস্থা দ্বারা নির্ধারিত হয়। অন্যদিকে অমুসলিম দেশগুলোতে এ সিদ্ধান্ত পৃথক পৃথক মসজিদ দ্বারা গৃহীত হয়। মুসলমানরা ‘চন্দ্র ক্যালেন্ডার’ ব্যবহার করে এবং একটি নতুন চাঁদের সঙ্গে নতুন মাস নির্ধারণের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু এভাবে দিন-তারিখ নির্ধারণ করা খুব সহজ কাজ নয়।
বিতর্কের আরেকটি ক্ষেত্র হলো- ইসলামের পুরনো নাকি আধুনিক ব্যাখ্যা গ্রহণ করা হবে তা নিয়ে। অনেক পণ্ডিত বিশ্বাস করেন, নতুন চাঁদ জন্মের সঙ্গে নতুন মাস শুরু হয় না, বরং যখন খোলা চোখে ‘ক্রিসেন্ট’ বা একটি অর্ধচন্দ্র দেখা যায় তখনই একটি নতুন মাসের জন্ম হয়। যে রাতে চাঁদ দৃশ্যমান হওয়ার আশা করা হচ্ছে, আবহাওয়া কমিটি এবং সাধারণ মানুষ আকাশের দিকে সে সময় সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন। কিন্তু এভাবে ‘চন্দ্র দর্শন’ এ নির্ভরতা মানে- একটি মেঘলা রাতের মতো সাধারণ ঘটনাও ঈদের তারিখ একদিন পিছিয়ে দিতে পারে।
আরেক গোষ্ঠী যারা কুরআনের আক্ষরিক পড়াশোনা দ্বারা কম অনুপ্রাণিত মনে করেন, মুসলমানদের আধুনিক বিজ্ঞান ব্যবহার করা উচিত। এ বিষয়ে মুসলিম পণ্ডিতদের দুটি সংগঠন ‘দ্য ফিকাহ কাউন্সিল অফ নর্থ আমেরিকা’ এবং ‘ইউরোপীয়ান কাউন্সিল ফর ফতোয়া অ্যান্ড রিসার্চ’ এর বক্তব্য- এক্ষেত্রে জ্যোতির্বিদ্যা হলো গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি, যার দ্বারা তারিখগুলো অগ্রিম অনেক আগে থেকেই জানা যাবে।
তারা একটি ‘সার্বজনীন ইসলামী ক্যালেন্ডার’ তৈরি করার চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি।
(দ্য ইকোনমিস্ট অবলম্বনে)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা বিভিন্ন দিনে ঈদ উদযাপন করবেন। কেবল বিভিন্ন দেশই নয়, বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন পরিবারের মধ্যেও ঈদের তারিখ নিয়ে রয়েছে বিভক্তি। এমনকি মসজিদের ভেতরে এ নিয়ে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে।
এটা খুব উদ্ভট যে, একটি ধর্মীয় উৎসবের আনন্দ এ ধরনের বিতর্কের কারণে ফিকে হয়ে যায়। কেন মুসলমানরা একটি নির্দিষ্ট তারিখে একমত হতে পারেন না?
সম্ভবত মুসলমানদের কোনো কেন্দ্রীয় ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নেই বলে। মুসলিম দেশগুলোতে ঈদের তারিখ সরকার, আদালত বা সংশ্লিষ্ট সংস্থা দ্বারা নির্ধারিত হয়। অন্যদিকে অমুসলিম দেশগুলোতে এ সিদ্ধান্ত পৃথক পৃথক মসজিদ দ্বারা গৃহীত হয়। মুসলমানরা ‘চন্দ্র ক্যালেন্ডার’ ব্যবহার করে এবং একটি নতুন চাঁদের সঙ্গে নতুন মাস নির্ধারণের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু এভাবে দিন-তারিখ নির্ধারণ করা খুব সহজ কাজ নয়।
বিতর্কের আরেকটি ক্ষেত্র হলো- ইসলামের পুরনো নাকি আধুনিক ব্যাখ্যা গ্রহণ করা হবে তা নিয়ে। অনেক পণ্ডিত বিশ্বাস করেন, নতুন চাঁদ জন্মের সঙ্গে নতুন মাস শুরু হয় না, বরং যখন খোলা চোখে ‘ক্রিসেন্ট’ বা একটি অর্ধচন্দ্র দেখা যায় তখনই একটি নতুন মাসের জন্ম হয়। যে রাতে চাঁদ দৃশ্যমান হওয়ার আশা করা হচ্ছে, আবহাওয়া কমিটি এবং সাধারণ মানুষ আকাশের দিকে সে সময় সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন। কিন্তু এভাবে ‘চন্দ্র দর্শন’ এ নির্ভরতা মানে- একটি মেঘলা রাতের মতো সাধারণ ঘটনাও ঈদের তারিখ একদিন পিছিয়ে দিতে পারে।
আরেক গোষ্ঠী যারা কুরআনের আক্ষরিক পড়াশোনা দ্বারা কম অনুপ্রাণিত মনে করেন, মুসলমানদের আধুনিক বিজ্ঞান ব্যবহার করা উচিত। এ বিষয়ে মুসলিম পণ্ডিতদের দুটি সংগঠন ‘দ্য ফিকাহ কাউন্সিল অফ নর্থ আমেরিকা’ এবং ‘ইউরোপীয়ান কাউন্সিল ফর ফতোয়া অ্যান্ড রিসার্চ’ এর বক্তব্য- এক্ষেত্রে জ্যোতির্বিদ্যা হলো গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি, যার দ্বারা তারিখগুলো অগ্রিম অনেক আগে থেকেই জানা যাবে।
তারা একটি ‘সার্বজনীন ইসলামী ক্যালেন্ডার’ তৈরি করার চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু তাতে খুব একটা লাভ হয়নি।
(দ্য ইকোনমিস্ট অবলম্বনে)
No comments