‘জঙ্গি’ শামীমার সঙ্গে বাংলাদেশকে জড়ানোয় যুক্তরাজ্যকে দুষলেন আইনজীবী by অদিতি খান্না
ব্রিটেন
থেকে পালিয়ে আইএস-এ যোগ দেওয়া শামীমা বেগমের আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জির দাবি
করেছেন, যুক্তরাজ্য সরকার তাকে উগ্রপন্থায় উদ্বুদ্ধ হওয়া থেকে ঠেকাতে
ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি এই দায় বাংলাদেশের ওপর চাপানোর জন্য ব্রিটিশ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সাজিদ জাভিদকে অভিযুক্ত করেছেন তিনি। যুক্তরাজ্যে
বসবাসরত শামীমা বেগমের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে কড়া
ভাষায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ১৬ পৃষ্ঠার একটি দীর্ঘ চিঠি লিখেছেন এই আইনজীবী।
এছাড়াও সিরিয়ার শরণার্থী শিবির থেকে শামীমাকে লন্ডনে ফিরতে দেওয়ার দাবিও
জানিয়েছেন তিনি।
আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জির-এর লেখা চিঠিতে বলা হয়, শামীমা বেগমের পরিবার বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে অভিবাসন নিলেও শামীমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ব্রিটেনে। বাংলাদেশে কখনোই যাওয়া হয়নি তার। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য কেবল তখনই কারও নাগরিকত্ব তখনই প্রত্যাহার করতে পারে, যখন ওই ব্যক্তির রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা না থাকবে। ব্রিটিশ নাগরিকত্ব প্রত্যাহার হলেও শামীমা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হতে পারেন- এমন বিবেচনা থেকে তার নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করা হয়। তবে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, শামীমা বেগম তাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য নন। এছাড়া বাংলাদেশে প্রবেশ করলে সন্ত্রাসবাদে সংশ্লিষ্টতার কারণে শামীমা মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারে।’
শামীমার এই পারিবারিক আইনজীবীর চিঠি থেকে আরও জানা যায়, ‘শামীমার বাবা-মা কখনোই বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় বসবাস করেননি। তারা বাংলাদেশের হাই কমিশনে শামীমার জন্ম নিবন্ধনও করাননি। শিশু হিসেবে তাকে কখনোই বাংলাদেশেও নিয়ে আসেননি তারা।’
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, শামীমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা এমনকি উগ্রপন্থায় জড়িয়ে পড়াও যুক্তরাজ্যে।
এদিকে শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের পেছনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দায়ী করে চিঠিতে বলা হয়, ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার। ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নিজের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারে সাজিদ জাভিদ শামীমার নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করেছেন। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের ওপর এমন একটি দায় চাপাচ্ছেন যার সঙ্গে দেশটির কোনও সম্পর্ক নেই।
১৬ পৃষ্ঠার এই চিঠিতে শামীমা বেগমের বোন রেনু বেগমের লেখা একটি চিঠি থেকেও উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। বোন রেনু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদকে লেখা চিঠিতে দাবি করেছেন, তাদের সঙ্গে শামীমার কোনও যোগাযোগ নেই। তবে পরিবারের সদস্য হিসেবে তার প্রতি দায়বদ্ধতা অনুভব করছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তার বোনের পুনর্বাসনের সুযোগ বাতিলের অভিযোগও করেন রেনু।
এদিকে তাসনিম আকুঞ্জির লেখা চিঠির বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বলা হয়, কোনও একটি ঘটনা সম্পর্কে নিয়মিত তারা কোনও মন্তব্য করেন না।
আর লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ধরনের মামলায় তারা সবসময়ই ট্রাজেডি রোধ করাতেই মনোনিবেশ করে থাকেন।
মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম কমান্ডের প্রধান ক্লার্ক জ্যারেট বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য কাউকে অপরাধী বানানো নয়। বরং আমরা ট্রাজেডি রোধ করতে চাই এবং ওই মেয়ে ও তার পরিবারকে সহায়তা দিতে চাই। ওই মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার মুহূর্ত থেকেই আমরা তার শুভকামনা প্রত্যাশা করে আসছি।’
জানা যায়, লন্ডনের বেথনেল গ্রিন অ্যাকাডেমি স্কুলের শিক্ষার্থী ছিল শামীমা। ২০১৫ সালে আমিরা আবাসে ও খাদিজা সুলতানা নামের আরও দুই কিশোরীকে সঙ্গে নিয়ে আইএসে যোগ দিয়েছিল সে। পরিবারকে একদিনের জন্য বাইরে যাওয়া কথা বলে প্রথমে তুরস্ক যায় তারা। সেখান থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় প্রবেশ করে। এরপর নেদারল্যান্ডস থেকে সিরিয়ায় যাওয়া এক আইএস জঙ্গিকে বিয়ে করেছিল শামীমা। দুইবার গর্ভপাতের পর সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় সে। পরে সেই শিশুরও মৃত্যু হয়। উদ্ধারের পর শামীমা আবারও যুক্তরাজ্যে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ।
আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জির-এর লেখা চিঠিতে বলা হয়, শামীমা বেগমের পরিবার বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে অভিবাসন নিলেও শামীমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ব্রিটেনে। বাংলাদেশে কখনোই যাওয়া হয়নি তার। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য কেবল তখনই কারও নাগরিকত্ব তখনই প্রত্যাহার করতে পারে, যখন ওই ব্যক্তির রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা না থাকবে। ব্রিটিশ নাগরিকত্ব প্রত্যাহার হলেও শামীমা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য হতে পারেন- এমন বিবেচনা থেকে তার নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করা হয়। তবে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, শামীমা বেগম তাদের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য নন। এছাড়া বাংলাদেশে প্রবেশ করলে সন্ত্রাসবাদে সংশ্লিষ্টতার কারণে শামীমা মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারে।’
শামীমার এই পারিবারিক আইনজীবীর চিঠি থেকে আরও জানা যায়, ‘শামীমার বাবা-মা কখনোই বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় বসবাস করেননি। তারা বাংলাদেশের হাই কমিশনে শামীমার জন্ম নিবন্ধনও করাননি। শিশু হিসেবে তাকে কখনোই বাংলাদেশেও নিয়ে আসেননি তারা।’
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, শামীমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা এমনকি উগ্রপন্থায় জড়িয়ে পড়াও যুক্তরাজ্যে।
এদিকে শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের পেছনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দায়ী করে চিঠিতে বলা হয়, ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার। ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নিজের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারে সাজিদ জাভিদ শামীমার নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করেছেন। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের ওপর এমন একটি দায় চাপাচ্ছেন যার সঙ্গে দেশটির কোনও সম্পর্ক নেই।
১৬ পৃষ্ঠার এই চিঠিতে শামীমা বেগমের বোন রেনু বেগমের লেখা একটি চিঠি থেকেও উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। বোন রেনু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদকে লেখা চিঠিতে দাবি করেছেন, তাদের সঙ্গে শামীমার কোনও যোগাযোগ নেই। তবে পরিবারের সদস্য হিসেবে তার প্রতি দায়বদ্ধতা অনুভব করছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তার বোনের পুনর্বাসনের সুযোগ বাতিলের অভিযোগও করেন রেনু।
এদিকে তাসনিম আকুঞ্জির লেখা চিঠির বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে বলা হয়, কোনও একটি ঘটনা সম্পর্কে নিয়মিত তারা কোনও মন্তব্য করেন না।
আর লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ধরনের মামলায় তারা সবসময়ই ট্রাজেডি রোধ করাতেই মনোনিবেশ করে থাকেন।
মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম কমান্ডের প্রধান ক্লার্ক জ্যারেট বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য কাউকে অপরাধী বানানো নয়। বরং আমরা ট্রাজেডি রোধ করতে চাই এবং ওই মেয়ে ও তার পরিবারকে সহায়তা দিতে চাই। ওই মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার মুহূর্ত থেকেই আমরা তার শুভকামনা প্রত্যাশা করে আসছি।’
জানা যায়, লন্ডনের বেথনেল গ্রিন অ্যাকাডেমি স্কুলের শিক্ষার্থী ছিল শামীমা। ২০১৫ সালে আমিরা আবাসে ও খাদিজা সুলতানা নামের আরও দুই কিশোরীকে সঙ্গে নিয়ে আইএসে যোগ দিয়েছিল সে। পরিবারকে একদিনের জন্য বাইরে যাওয়া কথা বলে প্রথমে তুরস্ক যায় তারা। সেখান থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় প্রবেশ করে। এরপর নেদারল্যান্ডস থেকে সিরিয়ায় যাওয়া এক আইএস জঙ্গিকে বিয়ে করেছিল শামীমা। দুইবার গর্ভপাতের পর সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় সে। পরে সেই শিশুরও মৃত্যু হয়। উদ্ধারের পর শামীমা আবারও যুক্তরাজ্যে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ।
No comments