ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইউরোপের সমর্থন পেতে মরিয়া আমেরিকা
ইরানের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং ইরান বিরোধী ফ্রন্টকে আরো শক্তিশালী করার জন্য
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এখন ইউরোপ সফর করছেন। এ লক্ষ্যে
তিনি জার্মানি, সুইজারল্যান্ড ও হল্যান্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা
করবেন।
মাইক পম্পেও বার্লিনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে ইরানের সঙ্গে ইউরোপের আর্থিক লেনদেনের বিশেষ ব্যবস্থা ‘ইনসটেক্স’ চালুর কথা উল্লেখ করে বলেছেন, যেসব পণ্যের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে সেসব ছাড়া অন্য কোনো পন্যে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে ওয়াশিংটনের আপত্তি নেই। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন সময় ইউরোপে তিন দিনের সফর শুরু করেছেন যখন গত কয়েক সপ্তাহে মার্কিন কর্মকর্তারা একদিকে ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক হুমকি দিয়ে চলেছেন এবং যুদ্ধ বাধানোর পায়তারা করছেন অন্যদিকে ইরানের সঙ্গে সংলাপে বসারও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যা পরস্পর বিরোধী অবস্থান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ইরান ইস্যুতে ইউরোপের সঙ্গে আমেরিকার বিতর্ক চরমে উঠেছে। আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেলেও ইউরোপ এ চুক্তি টিকিয়ে রাখার পক্ষে অস্থান নিয়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলায় ইউরোপের কর্মকর্তারা ইরানের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য 'ইনসটেক্স' ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছে। কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা হুমকি দিয়েছেন, যেসব দেশ ইরান বিরোধী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে, আমেরিকা ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার যে কথা বলছে ইউরোপ তার সঙ্গে একমত হতে পারেনি। ইউরোপীয় কর্মকর্তারা পশ্চিম এশিয়ায় ট্রাম্পের যুদ্ধকামী তৎপরতারও বিরোধিতা করেছেন। জার্মানির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী নাইল্স অ্যানেন মার্কিন কর্মকর্তাদের ইরান বিরোধী যুদ্ধংদেহী মনোভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতি বেআইনী যা জাতিসংঘ নীতিমালার লঙ্ঘন।
তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইউরোপীয়রা যদিও গত কয়েক বছরে আমেরিকার ইরান বিরোধী নীতির প্রতি সমর্থন জানায়নি কিন্তু তারা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলায় ইরানের স্বার্থ রক্ষায়ও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় ইউরোপ এখনো ‘ইনসটেক্স’ ব্যবস্থা চালু করেনি। এ অবস্থায় মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানের বিরুদ্ধে সামরিকসহ আরো অন্যান্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনে ইউরোপের সমর্থন লাভের চেষ্টা করছেন। তবে ইউরোপ আমেরিকার এ আবদারকে নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক নীতিমালার লঙ্ঘন বলে মনে করে। তাদের মতে পরমাণু সমঝোতা ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য অনেক বড় কূটনৈতিক অর্জন যা ইউরোপের নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্রান্সের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক দফতরের প্রধান ডোমেনিক দাউই সব ক্ষেত্রে আমেরিকার দাবীদাওয়া ইউরোপ মেনে নেবে না উল্লেখ করে বলেছেন, ইউরোপের নিজস্ব স্বাধীন নীতি রয়েছে এবং ইউরোপের উচিত স্বাধীন কূটনৈতিক নীতি বজায় রাখা।
যাইহোক, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরানের বিরুদ্ধে আরো ব্যবস্থা নিতে ইউরোপকে রাজি করানোর জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালালেও ইরান ইস্যুতে খোদ মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকায় তিনি ইউরোপের সমর্থন পাবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
মাইক পম্পেও বার্লিনে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে ইরানের সঙ্গে ইউরোপের আর্থিক লেনদেনের বিশেষ ব্যবস্থা ‘ইনসটেক্স’ চালুর কথা উল্লেখ করে বলেছেন, যেসব পণ্যের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে সেসব ছাড়া অন্য কোনো পন্যে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে ওয়াশিংটনের আপত্তি নেই। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন সময় ইউরোপে তিন দিনের সফর শুরু করেছেন যখন গত কয়েক সপ্তাহে মার্কিন কর্মকর্তারা একদিকে ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক হুমকি দিয়ে চলেছেন এবং যুদ্ধ বাধানোর পায়তারা করছেন অন্যদিকে ইরানের সঙ্গে সংলাপে বসারও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যা পরস্পর বিরোধী অবস্থান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ইরান ইস্যুতে ইউরোপের সঙ্গে আমেরিকার বিতর্ক চরমে উঠেছে। আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেলেও ইউরোপ এ চুক্তি টিকিয়ে রাখার পক্ষে অস্থান নিয়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলায় ইউরোপের কর্মকর্তারা ইরানের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য 'ইনসটেক্স' ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছে। কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা হুমকি দিয়েছেন, যেসব দেশ ইরান বিরোধী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে, আমেরিকা ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার যে কথা বলছে ইউরোপ তার সঙ্গে একমত হতে পারেনি। ইউরোপীয় কর্মকর্তারা পশ্চিম এশিয়ায় ট্রাম্পের যুদ্ধকামী তৎপরতারও বিরোধিতা করেছেন। জার্মানির উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী নাইল্স অ্যানেন মার্কিন কর্মকর্তাদের ইরান বিরোধী যুদ্ধংদেহী মনোভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নীতি বেআইনী যা জাতিসংঘ নীতিমালার লঙ্ঘন।
তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইউরোপীয়রা যদিও গত কয়েক বছরে আমেরিকার ইরান বিরোধী নীতির প্রতি সমর্থন জানায়নি কিন্তু তারা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মোকাবেলায় ইরানের স্বার্থ রক্ষায়ও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় ইউরোপ এখনো ‘ইনসটেক্স’ ব্যবস্থা চালু করেনি। এ অবস্থায় মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানের বিরুদ্ধে সামরিকসহ আরো অন্যান্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনে ইউরোপের সমর্থন লাভের চেষ্টা করছেন। তবে ইউরোপ আমেরিকার এ আবদারকে নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক নীতিমালার লঙ্ঘন বলে মনে করে। তাদের মতে পরমাণু সমঝোতা ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য অনেক বড় কূটনৈতিক অর্জন যা ইউরোপের নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্রান্সের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক দফতরের প্রধান ডোমেনিক দাউই সব ক্ষেত্রে আমেরিকার দাবীদাওয়া ইউরোপ মেনে নেবে না উল্লেখ করে বলেছেন, ইউরোপের নিজস্ব স্বাধীন নীতি রয়েছে এবং ইউরোপের উচিত স্বাধীন কূটনৈতিক নীতি বজায় রাখা।
যাইহোক, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ইরানের বিরুদ্ধে আরো ব্যবস্থা নিতে ইউরোপকে রাজি করানোর জন্য ব্যাপক চেষ্টা চালালেও ইরান ইস্যুতে খোদ মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকায় তিনি ইউরোপের সমর্থন পাবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
No comments