এ কেমন হাতুড়ে ডাক্তার? by ওয়েছ খছরু
এ
কেমন হাতুড়ে ডাক্তার? প্রেমে ব্যর্থ হয়ে বিষ খেয়েছিল তরুণ। গোটা শরীরে বিষ
ছড়িয়ে মৃত্যুর শঙ্কা তরুণের। তাৎক্ষণিক তাকে হাসপাতালে রেফার করার কথা।
কিন্তু হাতুড়ে ডাক্তার ওই রোগীকে রেখে দিলেন নিজের তত্ত্বাবধানে। দুই দিন
রেখে চিকিৎসা দেয়ার পর রোগী সুস্থ হওয়া তো দূরের কথা, এই দুই দিনে রোগীর
দেহে ছড়িয়ে পড়েছে বিষক্রিয়া। ততক্ষণে মৃত্যুর মুখে পতিত হওয়ার উপক্রম
রোগীর। ঘতিন দিন পর যখন রোগীকে সিলেটের ওয়েসিস হাসপাতালে নিয়ে আসা হলো তখন
মৃতপ্রায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৫ দিন আইসিইউ সাপোর্ট দিয়েও বাঁচাতে পারেননি
রোগীকে। এমন ঘটনায় ক্ষোভ বিরাজ করছে সিলেটে।
গোয়াইনঘাটের আগলসপুর গ্রামের তরুণ বিনন্দ দাস। বয়স ২০-এর কাছাকাছি। ওই গ্রামের উপানন্দ দাসের ছেলে। এরই মধ্যে চা-বাগানী এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে বিনন্দ দাসের। কয়েক মাস ধরে চলা এই প্রেম জানাজানি হয়ে যায় এলাকায়। তবে প্রেমের সম্পর্ক ভালোভাবে নেয়নি বিনন্দের পরিবার। তারা ঘটনাটিকে নিয়ে বিনন্দকে গালিগালাজ করেন।
এতেই ক্ষোভ বাড়ে বিনন্দের। কাউকে কিছু না বলে বাজার থেকে কিনে আনে চা-বাগানের ঘাষ নিধনের জন্য ব্যবহৃত ‘মরণঘাতি’ বিষ। গত ২৯শে এপ্রিল পান করে বিনন্দ। ভোররাতে পান করার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বিনন্দকে তাৎক্ষণিক নিয়ে যাওয়া হয় এলাকার হাতুড়ে ডাক্তার বিকাল দেবনাথের কাছে। বিনন্দের পরিবারের সদস্যরা মানবজমিনকে জানিয়েছেন, বিকাশের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে বিনন্দ বমি করে। কয়েক দফা বমি করার ফলে সে কাহিল হয়ে পড়ে। এ সময় ডাক্তার বিকাশ তাদের বলেন, যেহেতু বমি করেছে, সে কারণে ঝুঁকি নেই। এখন সুস্থ হয়ে যাবে। এ কথা বলে বিনন্দের শরীরে ইঞ্জেকশন পুশ করে এবং ওষুধ দিয়ে তাদের বিদায় করে দেয়। এদিকে হাতুড়ে ওই ডাক্তারের দুই দিনের চিকিৎসার পর আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে বিনন্দ। তার শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হচ্ছিল। দুই দিন চিকিৎসা গ্রহণের পর অবশেষে হাতুড়ে ডাক্তার বিকাশ দেবনাথ মৃত্যু পথযাত্রী অবস্থায় বিনন্দকে ওসমানী হাসপাতালে রেফার করেন। ১লা মে পরিবারের সদস্যরা বিনন্দ দাসকে নিয়ে আসেন সিলেটে।
প্রথমে তাকে সিলেটের আল রাইয়ান ক্লিনিকে ভর্তি করেন। এ সময় সেখানের কর্তব্যরত ডাক্তার বিনন্দকে দেখেন। তারা বলেন, বিনন্দের গোটা শরীরে বিষক্রিয়া হয়েছে। বিষ ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে। তাকে বাঁচানো সম্ভব নাও হতে পারে। এর কারণ হিসেবে ডাক্তাররা বলেন, কেউ বিষ পান করলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভেতর থেকে ওয়াশ করে বিষ বের করে নিতে হয়। নতুনবা সময় যত বাড়ে তার শরীরে তত বিষ ছড়িয়ে পড়ে। তেমনটি হয়েছিল বিনন্দের বেলায়। এ কারণে বিষ শ্বাসনালীতেও আঘাত হানে। এদিকে শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হওয়ার কারণে আইসিইউ সুবিধা নিতে গত ২রা মে সিলেটের সুবহানীঘাটের ওয়েসিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিনন্দকে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর বিনন্দকে আইসিইউ সুবিধা দেয়া হয়। পাশাপাশি তাকে অন্যান্য চিকিৎসাও দেয়া হয়। তবে হাতুড়ে ডাক্তার বিকাশ দেব চিকিৎসার নামে সময়ক্ষেপণ করার কারণে বাঁচানো গেল না বিনন্দকে। গত ৭ই মে মধ্যরাতের পর বিনন্দ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এদিকে গতকাল সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে বিনন্দের লাশ গ্রামের বাড়ি গোয়াইনঘাটে নিয়ে সৎকার করা হয়।
বিনন্দের পিতা উপানন্দ দাস গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন, তার ছেলে বিষ পানের পর আমরা হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসি এবং তিনি বলেন, সুস্থ হয়ে যাবে। তাকে ইঞ্জেকশন পুশ করার পাশাপাশি ওষুধও খাওয়ান। টানা দুই দিন চিকিৎসা গ্রহণ করেও কোনো উন্নতি হয়নি। এই দুই দিনের মধ্যে তার শরীরে বিষ ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বিনন্দের মৃত্যুর জন্য হাতুড়ে ডাক্তারের চিকিৎসাকে দায়ী করেন। হাতুড়ে ডাক্তার বিকাশ দেবনাথ অভিযোগের ব্যাপারে জানান, তিনি মাত্র একদিন চিকিৎসা দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে সে সুস্থ না হওয়ার কারণে তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেয়া হয়। সিলেটের গোয়াইনঘাট হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. রেহান উদ্দিন জানিয়েছেন, কেউ বিষপান করলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। তাকে ওয়াশ করতে হবে। এরপর চিকিৎসা দিতে হবে। হাতুড়ে ডাক্তার এসব ঘটনায় চিকিৎসা দিতে পারেন না বলে জানান তিনি।
গোয়াইনঘাটের আগলসপুর গ্রামের তরুণ বিনন্দ দাস। বয়স ২০-এর কাছাকাছি। ওই গ্রামের উপানন্দ দাসের ছেলে। এরই মধ্যে চা-বাগানী এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে বিনন্দ দাসের। কয়েক মাস ধরে চলা এই প্রেম জানাজানি হয়ে যায় এলাকায়। তবে প্রেমের সম্পর্ক ভালোভাবে নেয়নি বিনন্দের পরিবার। তারা ঘটনাটিকে নিয়ে বিনন্দকে গালিগালাজ করেন।
এতেই ক্ষোভ বাড়ে বিনন্দের। কাউকে কিছু না বলে বাজার থেকে কিনে আনে চা-বাগানের ঘাষ নিধনের জন্য ব্যবহৃত ‘মরণঘাতি’ বিষ। গত ২৯শে এপ্রিল পান করে বিনন্দ। ভোররাতে পান করার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে বিনন্দকে তাৎক্ষণিক নিয়ে যাওয়া হয় এলাকার হাতুড়ে ডাক্তার বিকাল দেবনাথের কাছে। বিনন্দের পরিবারের সদস্যরা মানবজমিনকে জানিয়েছেন, বিকাশের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে বিনন্দ বমি করে। কয়েক দফা বমি করার ফলে সে কাহিল হয়ে পড়ে। এ সময় ডাক্তার বিকাশ তাদের বলেন, যেহেতু বমি করেছে, সে কারণে ঝুঁকি নেই। এখন সুস্থ হয়ে যাবে। এ কথা বলে বিনন্দের শরীরে ইঞ্জেকশন পুশ করে এবং ওষুধ দিয়ে তাদের বিদায় করে দেয়। এদিকে হাতুড়ে ওই ডাক্তারের দুই দিনের চিকিৎসার পর আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে বিনন্দ। তার শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হচ্ছিল। দুই দিন চিকিৎসা গ্রহণের পর অবশেষে হাতুড়ে ডাক্তার বিকাশ দেবনাথ মৃত্যু পথযাত্রী অবস্থায় বিনন্দকে ওসমানী হাসপাতালে রেফার করেন। ১লা মে পরিবারের সদস্যরা বিনন্দ দাসকে নিয়ে আসেন সিলেটে।
প্রথমে তাকে সিলেটের আল রাইয়ান ক্লিনিকে ভর্তি করেন। এ সময় সেখানের কর্তব্যরত ডাক্তার বিনন্দকে দেখেন। তারা বলেন, বিনন্দের গোটা শরীরে বিষক্রিয়া হয়েছে। বিষ ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে। তাকে বাঁচানো সম্ভব নাও হতে পারে। এর কারণ হিসেবে ডাক্তাররা বলেন, কেউ বিষ পান করলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভেতর থেকে ওয়াশ করে বিষ বের করে নিতে হয়। নতুনবা সময় যত বাড়ে তার শরীরে তত বিষ ছড়িয়ে পড়ে। তেমনটি হয়েছিল বিনন্দের বেলায়। এ কারণে বিষ শ্বাসনালীতেও আঘাত হানে। এদিকে শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হওয়ার কারণে আইসিইউ সুবিধা নিতে গত ২রা মে সিলেটের সুবহানীঘাটের ওয়েসিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিনন্দকে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর বিনন্দকে আইসিইউ সুবিধা দেয়া হয়। পাশাপাশি তাকে অন্যান্য চিকিৎসাও দেয়া হয়। তবে হাতুড়ে ডাক্তার বিকাশ দেব চিকিৎসার নামে সময়ক্ষেপণ করার কারণে বাঁচানো গেল না বিনন্দকে। গত ৭ই মে মধ্যরাতের পর বিনন্দ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এদিকে গতকাল সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে বিনন্দের লাশ গ্রামের বাড়ি গোয়াইনঘাটে নিয়ে সৎকার করা হয়।
বিনন্দের পিতা উপানন্দ দাস গতকাল বিকালে মানবজমিনকে জানিয়েছেন, তার ছেলে বিষ পানের পর আমরা হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসি এবং তিনি বলেন, সুস্থ হয়ে যাবে। তাকে ইঞ্জেকশন পুশ করার পাশাপাশি ওষুধও খাওয়ান। টানা দুই দিন চিকিৎসা গ্রহণ করেও কোনো উন্নতি হয়নি। এই দুই দিনের মধ্যে তার শরীরে বিষ ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বিনন্দের মৃত্যুর জন্য হাতুড়ে ডাক্তারের চিকিৎসাকে দায়ী করেন। হাতুড়ে ডাক্তার বিকাশ দেবনাথ অভিযোগের ব্যাপারে জানান, তিনি মাত্র একদিন চিকিৎসা দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে সে সুস্থ না হওয়ার কারণে তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেয়া হয়। সিলেটের গোয়াইনঘাট হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. রেহান উদ্দিন জানিয়েছেন, কেউ বিষপান করলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। তাকে ওয়াশ করতে হবে। এরপর চিকিৎসা দিতে হবে। হাতুড়ে ডাক্তার এসব ঘটনায় চিকিৎসা দিতে পারেন না বলে জানান তিনি।
No comments