জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পক্ষে সিইসি
আগামী
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পক্ষে মত দিয়েছেন প্রধান
নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা। গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক
গোলটেবিল আলোচনায় সিইসি বলেন, অতীতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, আগামী
নির্বাচনেও সেনা মোতায়েন হতে পারে। আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, জাতীয়
নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা উচিত। তবে স্থানীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন
আমরা একেবারেই চাই না। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। আরো কমিশনার রয়েছেন।
আমরা সবাই মিলেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। ‘বাংলাদেশে প্রবাসী ভোটাধিকার
প্রবর্তন: সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক ওই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে ইলেকশন
ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি)।
একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসি যে আইন সংশোধনের খসড়া করেছে সেখানেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে সেনাবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করেনি ইসি। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে আয়োজিত ইডব্লিউজির সেমিনারে উপস্থিত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা সেনা মোতায়েনের প্রসঙ্গ তুলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী সারা দুনিয়ায় শান্তিরক্ষায় কাজ করছে, বিভিন্ন দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনে ভূমিকা রাখছে। কিন্তু দেশের নির্বাচনে সেনাবাহিনী কাজ করতে পারবে না, এটা হয় না। সেনাবাহিনী থাকলে একটি পক্ষের অসুবিধা হতে পারে। নির্বাচন কমিশন তো তাদের পক্ষ নেয়া উচিত হবে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে কোনো আপত্তি জানায়নি। আমাদের সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করেছে। আমরা মনে করি, কমিশন এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সেনা মোতায়েন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার বক্তব্যের ব্যাপারে সিইসির বক্তব্য জানতে চান সাংবাদিকরা। তখন সিইসি সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে তার নিজের মত দেন। তবে এ ব্যাপারে এখনই চূড়ান্ত কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
প্রবাসীদের ভোটাধিকারের ব্যাপারে সিইসি বলেন, বর্তমানে নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচনী কাজে সংশ্লিষ্ট থাকায় ১২ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না। সে সঙ্গে কারাগারে কিংবা পুলিশ হেফাজতে থাকা আরো ৭৫ হাজার ভোটার ভোট দিতে পারেন না। এ ভোটাররা কিভাবে ভোট দিতে পারেন। সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবছি।
তিনি বলেন, আমাদের বিদ্যমান আইনে প্রক্সি ও পোস্টাল ভোট দেয়ার সুযোগ আছে। তফসিল ঘোষণার ১৫ দিনের ভেতর আবেদন করলে প্রবাসীরাও ভোট দিতে পারেন। তবে এটা অনেকেই জানে না। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে আগামী নির্বাচনের আগে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে। প্রচার চালাতে দূতাবাসগুলোকেও চিঠি দেয়া হবে। সবার ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কমিশন সচেষ্ট রয়েছে।
এ ছাড়াও বিপুলসংখ্যক প্রবাসীকে কীভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করে দেয়া যায় বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ভাবনায় আছে বলে জানান সিইসি। তিনি জানান, আগামী ১৯শে এপ্রিল এ ব্যাপারে কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমানে দেশের মধ্যে অবস্থান করা নাগরিকরাই ভোট দিতে পারছেন না। তাই সবার আগে দেশের মধ্যে অবস্থান করা নাগরিকদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৪ জন সংসদ সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এ ছাড়াও ইলেকশনের সময় ভোটের কাজে নিয়োজিত থাকা ১২ লাখ ভোটার এবং কারাগারে থাকায় আরো ৭৫ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না। তাই দেশে অবস্থান করা যেসব নাগরিক ভোট দিতে পারেন না। আগে তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ছিল। এ ব্যাপারে কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয়, সবাই যেন নির্বাচনে অংশ নিতে পারে সেটা আমরা চাই। এখানে সবার সহযোগিতা করতে হবে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভোট বাংলাদেশে বাধ্যতামূূলক নয়। এজন্য ভোট বর্জনের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। ব্যক্তিগত ভোটিংয়ের প্রধান অন্তরায় হলো আমাদের আইন। পোস্টাল ভোটিং এর জন্য সময় দরকার। সে সময় আমাদের হাতে নেই। এই সময় কিভাবে পাওয়া যায় সেটি আমাদের দেখা দরকার।
ভোটের কাজে যারা নিয়োজিত থাকে তারাও ভোট দিতে পারে না। এই ভোটগুলো কিভাবে নেয়া যায় সেটিই আমাদের আগে নিশ্চিত করতে হবে। ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য আবদুল আউয়ালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রদূত আবদুল মুমিন চৌধুরী, নাসিম ফেরদৌস, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মুবিন চৌধুরী, এশিয়া ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সারাহ টেইলর। অনুষ্ঠানের কি-নোট উপস্থাপন করেন ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পরিচালক আবদুল আলিম।
একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসি যে আইন সংশোধনের খসড়া করেছে সেখানেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে সেনাবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করেনি ইসি। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে আয়োজিত ইডব্লিউজির সেমিনারে উপস্থিত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারা সেনা মোতায়েনের প্রসঙ্গ তুলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী সারা দুনিয়ায় শান্তিরক্ষায় কাজ করছে, বিভিন্ন দেশের সুষ্ঠু নির্বাচনে ভূমিকা রাখছে। কিন্তু দেশের নির্বাচনে সেনাবাহিনী কাজ করতে পারবে না, এটা হয় না। সেনাবাহিনী থাকলে একটি পক্ষের অসুবিধা হতে পারে। নির্বাচন কমিশন তো তাদের পক্ষ নেয়া উচিত হবে না। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছে। নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে কোনো আপত্তি জানায়নি। আমাদের সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করেছে। আমরা মনে করি, কমিশন এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সেনা মোতায়েন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার বক্তব্যের ব্যাপারে সিইসির বক্তব্য জানতে চান সাংবাদিকরা। তখন সিইসি সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে তার নিজের মত দেন। তবে এ ব্যাপারে এখনই চূড়ান্ত কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
প্রবাসীদের ভোটাধিকারের ব্যাপারে সিইসি বলেন, বর্তমানে নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচনী কাজে সংশ্লিষ্ট থাকায় ১২ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না। সে সঙ্গে কারাগারে কিংবা পুলিশ হেফাজতে থাকা আরো ৭৫ হাজার ভোটার ভোট দিতে পারেন না। এ ভোটাররা কিভাবে ভোট দিতে পারেন। সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবছি।
তিনি বলেন, আমাদের বিদ্যমান আইনে প্রক্সি ও পোস্টাল ভোট দেয়ার সুযোগ আছে। তফসিল ঘোষণার ১৫ দিনের ভেতর আবেদন করলে প্রবাসীরাও ভোট দিতে পারেন। তবে এটা অনেকেই জানে না। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে আগামী নির্বাচনের আগে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে। প্রচার চালাতে দূতাবাসগুলোকেও চিঠি দেয়া হবে। সবার ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কমিশন সচেষ্ট রয়েছে।
এ ছাড়াও বিপুলসংখ্যক প্রবাসীকে কীভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যবস্থা করে দেয়া যায় বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ভাবনায় আছে বলে জানান সিইসি। তিনি জানান, আগামী ১৯শে এপ্রিল এ ব্যাপারে কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বর্তমানে দেশের মধ্যে অবস্থান করা নাগরিকরাই ভোট দিতে পারছেন না। তাই সবার আগে দেশের মধ্যে অবস্থান করা নাগরিকদের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৪ জন সংসদ সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এ ছাড়াও ইলেকশনের সময় ভোটের কাজে নিয়োজিত থাকা ১২ লাখ ভোটার এবং কারাগারে থাকায় আরো ৭৫ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না। তাই দেশে অবস্থান করা যেসব নাগরিক ভোট দিতে পারেন না। আগে তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ছিল। এ ব্যাপারে কমিশনকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয়, সবাই যেন নির্বাচনে অংশ নিতে পারে সেটা আমরা চাই। এখানে সবার সহযোগিতা করতে হবে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভোট বাংলাদেশে বাধ্যতামূূলক নয়। এজন্য ভোট বর্জনের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। ব্যক্তিগত ভোটিংয়ের প্রধান অন্তরায় হলো আমাদের আইন। পোস্টাল ভোটিং এর জন্য সময় দরকার। সে সময় আমাদের হাতে নেই। এই সময় কিভাবে পাওয়া যায় সেটি আমাদের দেখা দরকার।
ভোটের কাজে যারা নিয়োজিত থাকে তারাও ভোট দিতে পারে না। এই ভোটগুলো কিভাবে নেয়া যায় সেটিই আমাদের আগে নিশ্চিত করতে হবে। ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য আবদুল আউয়ালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রদূত আবদুল মুমিন চৌধুরী, নাসিম ফেরদৌস, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মুবিন চৌধুরী, এশিয়া ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সারাহ টেইলর। অনুষ্ঠানের কি-নোট উপস্থাপন করেন ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পরিচালক আবদুল আলিম।
No comments