ভারতে রোহিঙ্গা শিবিরের অবস্থা জানতে চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট by রঞ্জন বসু
দিল্লির কালিন্দী কুঞ্জের রোহিঙ্গা শিবির |
ভারতের
নানা প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যে ৪০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থী আছেন,
তাদের শিবিরগুলোতে কি পানীয় জল বা শৌচাগারের মতো ন্যূনতম মৌলিক সুবিধাটুকুও
আছে? কী ব্যবস্থা আছে তাদের শিক্ষা বা স্বাস্থ্যের জন্য?
ওই শিবিরগুলোর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে এ ব্যাপারে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন দেশের শীর্ষ আদালত। সোমবার (৯ এপ্রিল) এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দিল্লির কালিন্দী কুঞ্জে এবং হরিয়ানার ফরিদাবাদ ও মেওয়াটে অবস্থিত মোট তিনটি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরকেও চিহ্নিত করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট, সরেজমিনে যেগুলো খতিয়ে দেখে সরকারকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চের দেওয়া এই নির্দেশে আশার আলো দেখছে ভারতে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা।
ভারতে রোহিঙ্গা সমাজের নেতৃস্থানীয় মুখ ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আলি জোহর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট ও স্বয়ং প্রধান বিচারপতি যেখানে আমাদের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে বলেছেন, তাই আমরা আশাবাদী যে হয়তো শেষ পর্যন্ত ভারত থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের নির্দেশ দেবেন না।’
রোহিঙ্গারা ভারতে থাকতে পারবেন কিনা, সে ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এদিন কোনও চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেননি।
এই গুরুত্বপূর্ণ মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ৯ মে, অর্থাৎ শরণার্থী শিবিরগুলোর হাল নিয়ে সরকারের প্রতিবেদন জমা পড়ার পর।
এর আগে রোহিঙ্গারা ভারতের ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ এবং সে কারণেই তাদের দেশ থেকে চলে যেতে হবে, এই মর্মে শীর্ষ আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে সলিমুল্লাহ ও মহম্মদ শাকির নামে দুজন রোহিঙ্গা শরণার্থী সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে আবেদন জানিয়েছেন, ভারতের তামিলনাডুতে শ্রীলঙ্কা থেকে আসা তামিল শরণার্থীদের জন্য ভারতে যেভাবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে, একইভাবে রোহিঙ্গাদেরও সে সুবিধা দেওয়া উচিত।
ওই মামলারই শুনানি চলছে কয়েক মাস ধরে, আর এই রায়ের ওপরেই নির্ভর করছে ভারতে বসবাসকারী কয়েক হাজার রোহিঙ্গার ভবিষ্যৎ।
তবে রোহিঙ্গাদের শিবিরগুলোতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা করে গত ১৯ মার্চ কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিতে সুপ্রিম কোর্ট অস্বীকার করেছিলেন।
সে সময় ভারত সরকারের কৌঁসুলি আদালতকে বলেন, “রোহিঙ্গাদের অনুকূলে কোনও অন্তর্বর্তী রায় দিলে সেটা ‘মিডিয়ার শিরোনাম’ হবে এবং বিরূপ প্রভাব ফেলবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে।” সুপ্রিম কোর্ট সেই যুক্তি তখনকার মতো মেনে নেন।
তবে এখন যেভাবে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ রোহিঙ্গা শিবিরগুলোর অবস্থা খতিয়ে দেখে সরকারকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন, তাতে অনেকেই ধারণা করছেন ভারতে রোহিঙ্গারা যে আসলে একেবারেই মানবেতর অবস্থায় বাস করছে, দেশের শীর্ষ আদালতও সেটা উপলব্ধি করেছেন। বা অন্তত সেরকম সন্দেহ করছেন।
এই মামলায় চূড়ান্ত রায়ের ওপর ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কও অনেকটা নির্ভর করছে।
এর কারণ হলো সুপ্রিম কোর্ট যদি সত্যিই ভারত থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নে অনুমতি দেন তাহলে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিন্তু এই চল্লিশ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশেই পুশব্যাক করার চেষ্টা করবে। কারণ, তাদের যুক্তি হলো এরা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়েই ভারতে ঢুকেছে।
এর মধ্যেই অল্প কিছু রোহিঙ্গাকে ভারত বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়েছে বলে বিএসএফের মহাপরিচালক কে কে শর্মা মাস চারেক আগে প্রকাশ্যেই স্বীকার করেন।
ফলে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনও ভারতের সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার গতিপ্রকৃতির দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে।
ওই শিবিরগুলোর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে এ ব্যাপারে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন দেশের শীর্ষ আদালত। সোমবার (৯ এপ্রিল) এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দিল্লির কালিন্দী কুঞ্জে এবং হরিয়ানার ফরিদাবাদ ও মেওয়াটে অবস্থিত মোট তিনটি রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরকেও চিহ্নিত করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট, সরেজমিনে যেগুলো খতিয়ে দেখে সরকারকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
ভারতের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চের দেওয়া এই নির্দেশে আশার আলো দেখছে ভারতে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা।
ভারতে রোহিঙ্গা সমাজের নেতৃস্থানীয় মুখ ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আলি জোহর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট ও স্বয়ং প্রধান বিচারপতি যেখানে আমাদের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে বলেছেন, তাই আমরা আশাবাদী যে হয়তো শেষ পর্যন্ত ভারত থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নের নির্দেশ দেবেন না।’
রোহিঙ্গারা ভারতে থাকতে পারবেন কিনা, সে ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এদিন কোনও চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেননি।
এই গুরুত্বপূর্ণ মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ৯ মে, অর্থাৎ শরণার্থী শিবিরগুলোর হাল নিয়ে সরকারের প্রতিবেদন জমা পড়ার পর।
এর আগে রোহিঙ্গারা ভারতের ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ এবং সে কারণেই তাদের দেশ থেকে চলে যেতে হবে, এই মর্মে শীর্ষ আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তবে সলিমুল্লাহ ও মহম্মদ শাকির নামে দুজন রোহিঙ্গা শরণার্থী সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে আবেদন জানিয়েছেন, ভারতের তামিলনাডুতে শ্রীলঙ্কা থেকে আসা তামিল শরণার্থীদের জন্য ভারতে যেভাবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে, একইভাবে রোহিঙ্গাদেরও সে সুবিধা দেওয়া উচিত।
ওই মামলারই শুনানি চলছে কয়েক মাস ধরে, আর এই রায়ের ওপরেই নির্ভর করছে ভারতে বসবাসকারী কয়েক হাজার রোহিঙ্গার ভবিষ্যৎ।
তবে রোহিঙ্গাদের শিবিরগুলোতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার ব্যবস্থা করে গত ১৯ মার্চ কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিতে সুপ্রিম কোর্ট অস্বীকার করেছিলেন।
সে সময় ভারত সরকারের কৌঁসুলি আদালতকে বলেন, “রোহিঙ্গাদের অনুকূলে কোনও অন্তর্বর্তী রায় দিলে সেটা ‘মিডিয়ার শিরোনাম’ হবে এবং বিরূপ প্রভাব ফেলবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে।” সুপ্রিম কোর্ট সেই যুক্তি তখনকার মতো মেনে নেন।
তবে এখন যেভাবে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ রোহিঙ্গা শিবিরগুলোর অবস্থা খতিয়ে দেখে সরকারকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন, তাতে অনেকেই ধারণা করছেন ভারতে রোহিঙ্গারা যে আসলে একেবারেই মানবেতর অবস্থায় বাস করছে, দেশের শীর্ষ আদালতও সেটা উপলব্ধি করেছেন। বা অন্তত সেরকম সন্দেহ করছেন।
এই মামলায় চূড়ান্ত রায়ের ওপর ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কও অনেকটা নির্ভর করছে।
এর কারণ হলো সুপ্রিম কোর্ট যদি সত্যিই ভারত থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়নে অনুমতি দেন তাহলে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিন্তু এই চল্লিশ হাজার রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশেই পুশব্যাক করার চেষ্টা করবে। কারণ, তাদের যুক্তি হলো এরা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়েই ভারতে ঢুকেছে।
এর মধ্যেই অল্প কিছু রোহিঙ্গাকে ভারত বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হয়েছে বলে বিএসএফের মহাপরিচালক কে কে শর্মা মাস চারেক আগে প্রকাশ্যেই স্বীকার করেন।
ফলে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনও ভারতের সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার গতিপ্রকৃতির দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে।
No comments