তিন সন্দেহ সরকারের, প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন এরা কারা? by পাভেল হায়দার চৌধুরী
পুলিশের অ্যাকশনের পর আবারও পথে নেমে আসে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা |
কোটা
সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন নিয়ে তিন সন্দেহ বিরাজ করছে সরকারের ভেতরে।
সন্দেহগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রথমত বিএনপি-জামায়াতের ছাত্রসংগঠন ছাত্রদল ও
ছাত্রশিবির সাধারণ ছাত্রের বেশ ধরে এই আন্দোলনে মিলিত হয়ে উস্কানি
দিচ্ছে—যাতে বেকায়দায় ফেলা যায় সরকারকে। দ্বিতীয়ত, গত কয়েক বছরে ছাত্রলীগে
যাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে তারাও এই আন্দোলনে জড়িয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে।
তৃতীয়ত, ছাত্রলীগের আসন্ন সম্মেলন বানচাল করতে চায় এমন একটি অংশও চক্রান্তে
নেমেছে। এরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রলীগের মুষ্টিমেয় একটি অংশ বলে
মনে করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের দাবি, এ ধরনের
অস্থিরতা থাকলে ছাত্রলীগের একটি অংশ মনে করছে সম্মেলন ঠেকানো সম্ভব হবে।
ফলে তারাও কিছু শিক্ষার্থীকে মাঠে নামিয়েছে বলে মনে করে আওয়ামী লীগের শীর্ষ
নেতৃবৃন্দ।
সরকারের নীতিনির্ধারণী সূত্রগুলো কোটা সংস্কারের নামে ডাকা আন্দোলনকে এভাবেই দেখছেন। তারা এই তিন কারণ মাথায় নিয়ে এই আন্দোলন থামাতে কাজ শুরু করেছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কোটা সংস্কারের এই আন্দোলনকে ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখছেন। তিনি গত রবিবার রাতে দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দলের অপর নেতাদের কাছে জানতে চেয়েছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামা এরা কারা? এদের পারিবারিক পরিচয় কী? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহনকারী পরিবারের কোনও সন্তান এই আন্দোলনে জড়াতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিতে নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের।
জানা গেছে, গত রাতে গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উল্লিখিত এই তিন কারণ অবহিত করেছেন সেখানে উপস্থিত নেতারা।
ওই বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এই আন্দোলনকারীদের ব্যাপারে অনমনীয় অবস্থান থাকবে সরকারের। তবে আন্দোলনকারীদের 'কাউন্সিলিং' করে এখান থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। এজন্য দল ও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আন্দোলনকারীদের এ পথ থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন। এরই অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সকালে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার গভীর রাতে উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনার পর ফোন করে তার খোঁজ-খবর নেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারের নীতিনির্ধারণী সূত্রগুলো কোটা সংস্কারের নামে ডাকা আন্দোলনকে এভাবেই দেখছেন। তারা এই তিন কারণ মাথায় নিয়ে এই আন্দোলন থামাতে কাজ শুরু করেছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কোটা সংস্কারের এই আন্দোলনকে ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখছেন। তিনি গত রবিবার রাতে দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় দলের অপর নেতাদের কাছে জানতে চেয়েছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামা এরা কারা? এদের পারিবারিক পরিচয় কী? মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বহনকারী পরিবারের কোনও সন্তান এই আন্দোলনে জড়াতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিতে নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের।
জানা গেছে, গত রাতে গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উল্লিখিত এই তিন কারণ অবহিত করেছেন সেখানে উপস্থিত নেতারা।
ওই বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এই আন্দোলনকারীদের ব্যাপারে অনমনীয় অবস্থান থাকবে সরকারের। তবে আন্দোলনকারীদের 'কাউন্সিলিং' করে এখান থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। এজন্য দল ও সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। আন্দোলনকারীদের এ পথ থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন। এরই অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে সকালে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার গভীর রাতে উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনার পর ফোন করে তার খোঁজ-খবর নেন প্রধানমন্ত্রী।
No comments