কারাগারে যেমন কাটছে স্নিগ্ধার সময় by জাভেদ ইকবাল
স্বীকারোক্তিমূলক
জবানবন্দির পর নিহত আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনার স্ত্রী স্নিগ্ধা
ভৌমিককে বৃহস্পতিবার রাতে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে
তাকে প্রায় ১শ’ মহিলা বন্দির সঙ্গে একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। কারাগার সূত্রে
জানা যায়, স্নিগ্ধা বেশির ভাগ সময় উদাস মনে রবীন্দ্র সংগীত গাইছেন। আবার
কখনো দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন। মাঝে মধ্যে অপর বন্দি নারীর কাছে পান-সুপারি চেয়ে
খাচ্ছেন। তবে জেলখানার খাবার স্বাভাবিক ভাবেই গ্রহণ করছেন। যে কক্ষে তাকে
রাখা হয়েছে সেই কক্ষের অন্য বন্দিরাও তাকে কিছুটা বাঁকা দৃষ্টিতে দেখতে
শুরু করেছে। অনেক মহিলা বন্দিই তাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে। রংপুর
কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আমজাদ হোসেন জানান, স্নিগ্ধা কারাগারে মহিলা
ওয়ার্ডে ভালো আছেন। এদিকে গতকাল দিনভর রংপুর নগরীতে গুজব ছড়িয়ে পড়ে, পুলিশি
হেফাজতে কামরুল মারা গেছে। তবে বিষয়টি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা বাবুল মিয়া স্রেফ গুজব বলে জানান। তিনি বলেন, কামরুল আমাদের
হেফাজতে আছে। রিমান্ডে সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। পরে তা প্রকাশ
করা হবে। অপরদিকে শনিবার রথীশের বাবুপাড়াস্থ বাসভবনে তার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে
হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ, ক্ষত্রিয় সমিতি, পূজা উদযাপন পরিষদ,
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, আইনজীবী সমিতি, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও
সামাজিক নেতৃবৃন্দ তার আত্মার শান্তি কামনা করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক
শাস্তির দাবি জানান। শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে বাবু সোনার পুত্র ঢাকার একটি
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয়ের ছাত্র দীপ্ত ভৌমিক সাংবাদিকদের বলেন,
বাবার এমন পরিণতি হবে ভাবতেই পারি না। বাবা এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন তা
কোনোদিনও কল্পনা করিনি। বাবা চলে যাওয়ার দায়ে মাকেও হারাবো তাও ভাবতে
পারিনি। উল্লেখ্য, রংপুর নগরীর বাবুপাড়ার বাড়ি থেকে ৩০শে মার্চ নিখোঁজ হন
আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক।
দুই পুলিশ ক্লোজড: ওদিকে অ্যাড রথীশের মামলায় দায়িত্বে অবহেলা ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে দুই এসআইকে রংপুর পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এরা হলেন- এসআই তরিকুল ইসলাম তারেক, ধাপ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই দীবাকর।
দুই পুলিশ ক্লোজড: ওদিকে অ্যাড রথীশের মামলায় দায়িত্বে অবহেলা ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে দুই এসআইকে রংপুর পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এরা হলেন- এসআই তরিকুল ইসলাম তারেক, ধাপ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই দীবাকর।
No comments