সৌদি প্রিন্সের ‘রক্তাক্ত তলোয়ার বাহিনী’ কারা?
সৌদি
আরবের বর্তমান প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান একটি বিশেষ ‘এলিট ফোর্স’ গঠন
করেছেন। দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামে রাজ পরিবারের বহু সদস্যসহ অন্যদের
গ্রেফতারে এই এলিট ফোর্সকেই কাজে লাগিয়েছেন তিনি। গত সপ্তাহে ১১ প্রিন্সকে
গ্রেফতারেও নেতৃত্ব দেয় বিশেষ এই এলিট ফোর্স। এরপর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে
যুবরাজের এ বিশেষ বাহিনী বিশেষ গুরুত্ব পায়। কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা যুবরাজের বিশেষ বাহিনী নিয়ে অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ
করেছে। সংবাদে বলা হয়েছে, নতুন গঠিত এ বিশেষ বাহিনীর নাম দেয়া হয়েছে ‘আল
আজরাব সোয়ার্ড’। যার বাংলা অর্থ- রক্তাক্ত তলোয়ার। যুবরাজের এই 'রক্তাক্ত
তলোয়ার বাহিনী' মূলত দেশটির সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী এবং রয়্যাল গার্ডেল
চৌকস কর্মকর্তা ও সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে। দ্বিতীয়বার সৌদি রাষ্ট্রের
প্রতিষ্ঠান ইমাম তুর্কি বিন আব্দুল্লাহ আল সৌদের তলোয়ারের নাম অনুসারে এ
বাহিনীর নামকরণ করা হয়েছে। ইমাম তুর্কি তার তলোয়ারের নাম রেখেছিলেন
'রক্তাক্ত তলোয়ার'। ওই তলোয়ারে সৌদি আরবের পতাকা আঁকা রয়েছে।
প্রায় ১৫০ বছর
আগে তলোয়ারটি বাহরাইনে ছিল। বাদশাহ হামিদ বিন ইশা আল খলিফা ২০১০ সেটি সৌদি
বাদশাহ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজকে উপহার দিয়েছিলেন। সালমান বিন আব্দুল
আজিজ সৌদি আরবের বাদশাহ হওয়ার পর ২০১৫ সালে আল আজরাব সোয়ার্ড ব্রিগেড গঠন
করা হয়। তবে এত দিন এই বাহিনী তেমন ভূমিকা রাখেনি। মোহাম্মদ বিন সালমান
ক্রাইন প্রিন্স হওয়ার পর এই বাহিনীকে নতুন করে ঢেলে সাজান। এ বাহিনীতে
বর্তমানে সেনাবাহিনীতে আগত সদস্য রয়েছে প্রায় ৫ হাজার। এর মধ্যে বিভিন্ন
পর্যায়ের কর্মকর্তার সংখ্যা বেশি। এছাড়া বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী ও রয়্যাল
গার্ডের সদস্যরা রয়েছে। বাহিনীতে যাদের সংযুক্ত করা হয়েছে তারা মূলত যুবরাজ
মোহাম্মদ বিন সালমানের পছন্দের এবং বাছাই করা। মোহাম্মদ বিন সালমান এ
বাহিনী ঢেলে সাজানোর পর নতুন করে আধুনিক সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এর
মধ্যে শারীরিক যুদ্ধকৌশল, প্যারাসুটিং, বিদ্রোহ দমন, স্নাইপিং, কম্ব্যাট
সুইমিং ও বিস্ফোরণ প্রশিক্ষণ অন্যতম। প্রশিক্ষণের পর এ বাহিনীকে রয়্যাল
গার্ডের সঙ্গেই রাখা হয়েছে। তবে যুবরাজ কেন এ বাহিনীকে নতুন করে সক্রিয়
করেছেন বা এই বাহিনীর উদ্দেশ্য কি, প্রকাশ করেনি দেশটি। তবে বাহিনী সরাসরি
যুবরাজ কর্তৃক পরিচালিত যা প্রকাশ পেয়েছে। জানুয়ারি মাসে রাজপরিবারের
সদস্যদের গ্রেফতারে এ বাহিনীকে কাজে লাগানো হয়।
No comments