সোনালি দিনের প্রতীক্ষায় - দুই by ড. গাজী মো: আহসানুল কবীর
সরকার
বিনামূল্যে পঠ্যপুস্তক বিতরণ করে থাকে। অবশ্যই ভালো উদ্যোগ; কিন্তু এ
উদ্যোগের সুফল শিক্ষার্থী বা অভিভাবকেরা কতটুকু পাচ্ছেন?
কারণ চার-পাঁচ শ’
টাকার বইয়ের সেট বিনামূল্যে পেলেও স্কুল থেকে দেয়া দীর্ঘ তালিকার অন্য
বইগুলো কিনতে নাকি অভিভাবকদের ঠিকই এর দু-তিন গুণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষে এটি খুবই অনৈতিক কাজ। একধরনের অসাধু বই ব্যবসায়ীর
যোগসাজশেই এসব করা হয়। স্কুলের সরবরাহ করা তালিকার অপ্রয়োজনীয় বই কেনার
প্রক্রিয়া বন্ধ করতে পারলে বরং বিনামূল্যে বই সরবরাহ না করলেও চলত। তাতেও
অভিভাবকদের অনেক অর্থে সাশ্রয় হতো। এ দিকে, বিনামূল্যে বইয়ের পেছনে ব্যয়
করা জাতীয় কোষাগারের শত শত কোটি টাকাও বেঁচে যেত। এ দেশের কর দাতাদের করের
বোঝাও কিছু কমতো। এ প্রোগ্রামের বিকল্প হিসেবে শুধু নিডি বা অভাবী
শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই সরবরাহ করা যায়। এ নিড প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষই
স্বচ্ছতার সাথে নির্ধারণ করতে পারে। আমাদের দেশে সম্প্রতি শিশুদের ওপর এক
বাড়তি নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা চাপানো হয়েছে। তা হলো শিশু বয়সেই পাবলিক
পরীক্ষার দৌরাত্ম্য। যে প্রাইমারি সমাপনী (পিইসি) এবং জুনিয়র সেকেন্ডারি
সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা দুটোর প্রবর্তন করা হয়েছে, অনেক বিশেষজ্ঞই
তার বিরোধিতা করছেন। সবার যুক্তি হলো- এ সার্টিফিকেট দুটো দিয়ে কী হবে?
ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণীতে ভর্তিই তো; এর অতিরিক্ত কিছু তো নয়। সেটি তো আগে
যেভাবে ছিল তাতেই বেশ ভালোভাবে চলছিল।
এ পরীক্ষা দুটোর কারণে শিক্ষার্থী ও
অভিভাবক উভয়েই তীব্র মানসিক চাপের শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে পঞ্চম শ্রেণীর
১১-১২ বছরের শিশুদের জন্য এ চাপ খুবই ক্ষতিকর। তা ছাড়া শুধু কোচিং
বাণিজ্যের সম্প্রসারণই নয়, চাকরিজীবী মা-বাবার জন্য সময় এবং অর্থ দুটোরই
বাড়তি চাপ সইতে হচ্ছে। এত অসুবিধা ও স্খলনের বিপরীতে এ পরীক্ষা দুটো থেকে
কোনোই প্রাপ্তি নেই। স্বাধীনতার পর আমাদের দেশে বিভিন্ন সময়ে অন্তত আটটি
শিক্ষা কমিশন হয়েছে। কয়েকটি কমিশনের সুপারিশ ছিল প্রাইমারি শিক্ষাস্তরকে
অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সম্প্রসারণ। শেষ পর্যন্ত এ সম্পর্কিত কোনো কমিশনের
প্রস্তাবই বাস্তবায়ন হয়নি। এর কারণ হলো- এটি একটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল বিশাল
কর্মযজ্ঞ, সাথে ব্যাপক অপচয়সংশ্লিষ্টতা তো আছেই। এটি বাস্তবায়ন হলে দেশের
হাজার হাজার হাইস্কুলের প্রতিটিতে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত তিনটি
শ্রেণিকক্ষ অব্যবহৃত পড়ে থাকবে, জড়িত শিক্ষকেরা হবেন অতিরিক্ত। সুতরাং হতে
হবে ছাঁটাই। আবার এক লাখ প্রাইমারি স্কুলের প্রতিটিতে কমপক্ষে তিনটি করে
শ্রেণিকক্ষ এবং সাথে আরো কিছু প্রয়োজনীয় কক্ষ ও অবকাঠামো নির্মাণ জরুরি হয়ে
পড়বে। লাগবে আসবাবপত্রসহ অন্যান্য উপকরণ। প্রয়োজন হবে বিপুলসংখ্যক (কয়েক
লাখ) শিক্ষক নিয়োগ। এসব কাজে লাগবে কয়েক লাখ কোটি টাকা, যা কয়েকটি জাতীয়
বাজেটের সমপরিমাণ অর্থ। এ ছাড়া সময় আর বিরাট কর্মযজ্ঞের ব্যবস্থাপনার
দক্ষতার কথা না-ই বা বললাম। কিন্তু এতসবের পরও এবারের (২০১৩ এর) শিক্ষা
কমিশন রিপোর্ট অনুসারে প্রাইমারি শিক্ষা অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত উন্নীত করার
কাজকর্ম শুরু করে দেয়া হয়েছে। অবশ্য এখন পর্যন্ত প্রজ্ঞাপন জারি ছাড়া তেমন
কোনো বাস্তবায়ন দৃশ্যমান হয়নি। অনেকের মতে, এত বিপুল ব্যয়বহুল পরিবর্তনটির
মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মানে কি কোনো পরিবর্তন আসবে? নাকি সময় পেরোতে থাকবে,
আর আমরা সেই পুরনো আবর্তেই আটকে থাকব? তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে
শিক্ষাক্ষেত্রে প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে যে সমস্যাটি, তা হলো প্রশ্নপত্র
ফাঁস। গত কয়েক বছরে এটি রীতিমতো মহামারী আকারে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে
তছনছ করে দিচ্ছে। পাবলিক পরীক্ষা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সাময়িক পরীক্ষা অর্থাৎ এমন কোনো
পরীক্ষা নেই যার প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে না। অথচ কোনোভাবেই এ প্রবণতা রোধ
করা যাচ্ছে না। স্থানীয় থেকে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ সবাই যেন অসহায়। এর ফল
দাঁড়াচ্ছে, ধীরে ধীরে পড়ালেখার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। এ
প্রবণতা জাতীয় জীবনে কী ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে তা কাউকে বলে বোঝানোর
প্রয়োজন নেই। এ সঙ্কট থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের সবাইকে যার যার অবস্থান
থেকে একযোগে কাজ করে যাওয়া উচিত। এত প্রতিবন্ধকতার তোড়ে আমরা আসলে এগোতে
পারছি না। অর্জনের চেয়ে হারাচ্ছি বেশি। সময় হারাচ্ছি, হারাচ্ছি মেধা।
শিক্ষার গুণগত মান আমাদের বাড়ছে না। সেটি প্রাইমারি-সেকেন্ডারি হোক আর
কারিগরি বা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে হোক। যদি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেই বলি আর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটকে তার স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে নিই তবে স্বীকার না
করে কোনো উপায় নেই যে, পঞ্চাশ-ষাট বা সত্তর দশকে গুণগত মানের তুঙ্গে থাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান আজ প্রায় তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। যে
বিশ্ববিদ্যালয়ে একদিন দুনিয়া কাঁপানো জ্ঞান তাপস অধ্যাপক সত্যেন বোস, জ্ঞান
ঘোষ বা ড. শহীদুল্লাহ প্রমুখরা পড়াতেন সেখানে আজ কিছু শিক্ষক ক্লাসরুম
চর্চার চেয়ে রাজনীতি আর কনসালট্যান্সি নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকেন বলে শোনা
যায়। ক’জনার জন্য পুরো শিক্ষকসমাজ ইমেজ সঙ্কটে পড়েছে। তারা যদি শিক্ষার্থী
আর দেশের শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি একটু করুণা করে ফুলটাইম রাজনীতি বা
কনসালট্যান্সিতে মনোনিবেশ করতেন তাহলে দেশ ও দেশের শিক্ষাব্যবস্থা অনেক
উপকৃত হতো। একই কথা প্রযোজ্য স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও। শিক্ষক
সংগঠনের নামে অনেকেই রাজনীতির অঙ্গনে নিয়মিত বিচরণ করেন।
এর মধ্যে আবার
পত্রিকার পাতায় আর্থিক অনিয়ম ও চারিত্রিক স্খলনের কিছু সংবাদও দেখা যায়।
শিক্ষকতা পেশাটি তো অন্য পেশা থেকে ভিন্ন। এটি পেশা নয়- নেশা, একটি
দায়িত্ব, স্রষ্টার এক বিরাট অর্পণ। ষাটের দশকে আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন
কুমিল্লার চাঁদপুরে মতলব হাইস্কুলের অনেক নাম-ডাক ছিল। এ স্কুল থেকে
ম্যাট্রিক পরীক্ষায় প্রায়ই সমগ্র ইস্ট পাকিস্তান বোর্ডে প্রথম স্থানসহ মেধা
তালিকায় অনেকেই থাকত। প্রাইমারি ও এমই স্কলারশিপেরও বেশির ভাগ স্থান এ
স্কুলের ছাত্রদেরই দখলে থাকত। এর পেছনে বড় ভূমিকা ছিল সে স্কুলের
হেডমাস্টার শ্রদ্ধেয় ওয়ালিউল্লাহ পাটোয়ারীর। তিনি সারা দিন স্কুলে পড়িয়ে,
মনিটর করে আবার সন্ধ্যায় হারিকেন হাতে বেরোতেন গ্রামের অন্ধকার পথ ধরে।
ছাত্রদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখতেন কে কে পড়ছে, কী পড়ছে। কী নিষ্ঠাবান, নিজের
সব কিছু উজাড় করে দেয়া এক কিংবদন্তি শিক্ষক। একইভাবে ফেনী পাইলট হাইস্কুলের
হেডমাস্টার জালাল উদ্দীনসহ অনেকের নাম আমরা শুনতাম। দেশের শিক্ষাব্যবস্থার
অগ্রসরতার জন্য এমন আত্মনিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকেরই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। কবি
গোলাম মোস্তফার মতো জ্ঞানী স্কুলশিক্ষক, অর্থনীতির ড. এ আর মল্লিক, প্রফেসর
মাহমুদ হোসেন, বাংলার অধ্যাপক আবুল ফজল, আবু হেনা মোস্তফা কামাল,
পদার্থবিদ্যার প্রফেসর ইন্নাস আলী, ড. মতিন চৌধুরী, রসায়নের প্রফেসর মোকারম
হোসেন খোন্দকার ও প্রফেসর মফিজ উদ্দিন আহম্মদ, গণিত বা পরিসংখ্যানের
অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেন, বুয়েটের চিরভাস্বর উপাচার্য প্রফেসর এম এ রশিদ
বা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসর মুহাম্মদ ইব্রাহীম, নুরুল ইসলাম এবং জি
এম চৌধুরীসহ আরো অনেকে ছিলেন এ দেশের শিক্ষাজগতের কিংবদন্তি গুরু বা
আলোকবর্তিকা। এসব মহাপুরুষের কয়েক দশকের দাপুটে বিচরণের পর আমাদের দেশের
শিক্ষাজগৎ যেন এখন সব হারিয়ে রীতিমতো খাঁখাঁ করেছে, অসম্ভব খরায় ভুগছে। যে
কারণে আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য পাড়ি জমাচ্ছে
বিদেশে শুধু নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য। এতে তারা উপকৃত হচ্ছে। উপকৃত হচ্ছে
সেসব দেশগুলোও; কিন্তু আমরা হারাচ্ছি মেধা। কী হারে মেধা হারাচ্ছি তার
হিসাব নিয়ে কেউ যদি বসতেন তাহলে চোখ কপালে উঠে যেত। এ লেখাটি যখন শেষ করছি
তখনই চোখ কপালে ওঠার মতো একটি খবর দেখলাম সকালের পত্রিকার শিরোনামে। একাধিক
পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী ডিআইএ’র অফিসারদের এক অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রী নাকি বলেছেন ‘ঘুষ খান। তবে সহনীয় পর্যায়ে খাবেন। খাবেন না, এ কথা
বলছি না, কারণ এ কথা বলার সাহস আমার নেই।’
কত অধৈর্য হয়ে একজন মন্ত্রী তার
অধস্তন কর্মকর্তাদের এ ধরনের উপদেশ দিতে পারেন! আবার অন্য এক অফিসার
সম্পর্কে তিনি বলেছেন ওই অফিসার পরিদর্শনে যাওয়ার আগে পাঁচটি স্কুলে খবর
পাঠিয়েছেন যে, ওই পাঁচ স্কুলের পিয়ন থেকে শুরু করে হেডমাস্টার পর্যন্ত সবার
এক মাসের নেট বেতনের সমপরিমাণ অর্থ যেন তার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়। এ
অফিসারকে তিনি শেষ পর্যন্ত দুদকে সমর্পণ করে দিয়েছেন। ডিআইএ’র আরেক অফিসার
সম্পর্কে বলতে গিয়ে মন্ত্রী জানিয়েছেন- তিনি নাকি চাকরিজীবনের এ অল্প সময়ের
মধ্যেই ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ১৩টি বাড়ির মালিক বনে গেছেন। মন্ত্রীর এসব
কথাতেই বোঝা যায় শিক্ষা বিভাগে দুর্নীতি কোন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। এ
পরিপ্রেক্ষিতে শুধু এটুকুই বলা যায়, ‘আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।’ তবে সব
কিছুকে ছাড়িয়ে চমকের শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে যে খবরটি তা হলো ‘চলন্ত
সিড়ি’। হ্যাঁ, শিক্ষাঙ্গন সম্পর্কিত এ খবরটি শতাব্দীর সেরা কৌতুকে পরিণত
হয়েছে। খবরে প্রকাশ, দেশের ২৬৩টি বিদ্যালয়ে এক হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে
‘এসক্যালেটর’ অর্থাৎ চলন্ত সিড়ি নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। যেখানে অনেক
বিদ্যালয়ে দেয়ালের পলেস্তারা নেই, দরজা-জানালা ঠিক নেই, এমনকি নেই ন্যূনতম
স্যানিটেশন ব্যবস্থা বা শৌচাগার, পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেই, শিশুদের
পরনে ঠিকমতো কাপড় নেই সেখানে নিচতলা থেকে দোতলা বা তিনতলায় উঠতে এসক্যালেটর
স্থাপনের প্রস্তাব কোন যুক্তিতে করা হলো বা একনেকে পাস পর্যন্ত হয়ে গেল,
তা বোধগম্য নয়। কেউ কেউ ঠাট্টা করে বলেছেন- এটি হলো লুঙ্গির সাথে টাই পরে
ছবি তোলার মতো হাস্যোদ্দীপক বিষয়; কিন্তু কথা হলো, জাতির কষ্টার্জিত
ট্যাক্সের টাকা অপচয় করার অধিকার যেমন কারো নেই, তেমনি এ নিয়ে হাস্যকৌতুকও
মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সময়মতো বোধোদয় হবে, এটিই
সবার কাম্য। এত বাধাবিপত্তি-নীতিহীনতা-উদ্যোগ আর পরিকল্পনার বিশাল অভাব
কাটিয়ে কবে আবার এ দেশের শিক্ষাক্ষেত্র প্রোজ্জ্বল আলোকবর্তিকার আলোকিত
সোপান বেয়ে অগ্রসর হবে, সে শুধু ভবিতব্যই জানে। তবে এটি নিশ্চিত, জাতি
হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার একটিই পথ তা হলো মজবুত শিক্ষা। ভুলে গেলে চলবে না,
আমাদের দেশটির ভূখণ্ড খুবই ছোট অথচ জনসংখ্যা বিপুল। নেই কোনো প্রাকৃতিক
সম্পদও। সম্বল হলো প্রত্যেকের দুটো করে হাত আর অর্জনের পথ শিক্ষা। তাই
শিক্ষাই হওয়া উচিত আমাদের প্রথম মনোযোগ। চলার পথ হতে হবে পরিকল্পিত, নিখাদ ও
স্বচ্ছ। আর থাকতে হবে ঝাঁপিয়ে পড়ার মনোভাব। কারণ, আমরা হাল ছাড়ছি না।
হতাশও হবো না। রক্তঝরা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যে জাতি স্বাধীনতা ছিনিয়ে
এনেছে, স্বাধীনতার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে সে জাতি কি আবারো একইভাবে জেগে
উঠতে পারে না? পারে না উজ্জীবিত হয়ে আলোকিত জ্ঞানের পথ ধরে চলতে? যেন
বিশ্বদরবারে সবাই একই সুরে বলে ওঠে- এই তো চাই। ছোট্ট অথচ প্রবল
ইচ্ছাশক্তির অধিকারী বাংলাদেশের মতো আমরা সেই সোনালি দিনের প্রতীক্ষায়। তবে
বসে থেকে নয়, এগিয়ে যেতে হবে সচেষ্ট উদ্যোগ নিয়ে, দৃপ্ত পদক্ষেপে চার দিকে
তোলপাড় করে এবং রীতিমতো প্রলয় ঘটিয়ে।
লেখক : অধ্যাপক, রসায়ন ও সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড
লেখক : অধ্যাপক, রসায়ন ও সাবেক চেয়ারম্যান, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড
No comments