বসনিয়াকে অস্থিতিশীল করতে গোপন আঞ্চলিক সার্ব বাহিনী গঠন
গত
শুক্রবার বসনিয়ার অনলাইন সংবাদমাধ্যম জুরনালের এক খবরে সার্বস্কি পোনস
(সার্বিয়ার মর্যাদা) নামে একটি আধা সামরিক বাহিনীর অস্তিত্বের কথা প্রকাশ
করা হয়েছে। পত্রিকাটি বলেছে, সার্বিয়ার নিস শহরে রাশিয়ার একটি কেন্দ্রে
প্রশিক্ষণ নিয়েছে এই বাহিনীর সদস্যরা। যার অর্থ হচ্ছে সার্বিয়া ও রাশিয়ার
পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠেছে এই বাহিনী। বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার সার্ব অধ্যুষিত
স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সার্বস্কা রিপাবলিকার প্রেসিডেন্ট ও বসনিয়ান সার্ব
ন্যাশনালিস্ট পার্টির নেতা মিলোরাড দোদিক এই বাহিনী তৈরি করেছেন বলে বলা
হচ্ছে। ১৯৯৫ সালে বসনিয়ার য্দ্ধুাবসানের ডেটন চুক্তির অধীনে সার্বস্কা
রিপাবলিকা অঞ্চলটিকে স্বায়ত্তশাসন দেয়া হয়। স্বাধীন রাষ্ট্র বসনিয়া ও
হার্জেগোভিনার দু’টি প্রধান অঞ্চল বসনিয়ান মুসলিম ও ক্রোয়েট অধ্যুষিত
অঞ্চলটির নাম বসনিয়া-হার্জেগোভিনা ফেডারেশন, আর সার্ব অধ্যুষিত অঞ্চল
সার্বস্কা রিপাবলিকা। সার্বস্কাকে সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা করে রাশিয়া ও
সার্বিয়া। শুক্রবারই বসনিয়ার নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী ড্রাগান মেকতিক ও
সার্বস্কা রিপাবলিকার আঞ্চলিক পার্লামেন্টের বিরোধী দলের নেতা
সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন, তাদের আঞ্চলিক সরকারের অধীনে একটি আধা সামরিক
বাহিনী গঠিত ও পরিচালিত হচ্ছে। জুরনাল নিউজের সাংবাদিক অ্যাডভো অ্যাডভিক
তার অনুসন্ধানে জানতে পেরেছেন, এই আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা রাশিয়া ও
সার্বিয়ায় প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এমনকি কিছু কিছু সদস্য ইউক্রেনের রুশপন্থী
বিদ্রোহীদের পক্ষে সরাসরি যুদ্ধও করেছে। এই গ্রুপটির সদস্যরা সার্বস্কা
রিপাবলিকার তথাকথিত রাষ্ট্রীয় দিবসে গত ৯ জানুয়ারি আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ
নিয়েছে। বসনিয়ার শীর্ষ আদালত কর্তৃক এমন আয়োজনকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা
করা হলেও আঞ্চলিক সরকার তা অগ্রাহ্য করেই দিবসটি উদযাপন করেছে। আধা সামরিক
বাহিনীর সদস্যদের অনেকেই অতীতে অপরাধের সাথে জড়িত ছিল।
রুশ সংযোগ
বলকান অঞ্চলের ন্যাটো সদস্য তালিকার দিকে তাকালে দেখা যাবে, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, গ্রিস, আলবেনিয়া, মন্টেনিগ্রো, ক্রোয়েশিয়া ও স্লোভেনিয়া সদস্য হয়েছে এই জোটের। মেসিডোনিয়া, বসনিয়া কসোভো ও সার্বিয়া আছে ন্যাটোর বাইরে। সার্বিয়া আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা ন্যাটোতে যোগ দিতে রাজি নয়। ১৯৯৫ ও ’৯৯ সালে তৎকালীন যুগোস্লাভিয়ায় ন্যাটোর বোমা বর্ষণের ঘটনা থেকেই দেশটি ন্যাটো বিমুখ হিসেবে পরিচিত। তবে অন্য তিনটি দেশ আগ্রহী ন্যাটোর সদস্য হতে। বসনিয়ার সাবেক একজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্রাসেলসে জুলাই মাসে পরবর্তী সম্মেলনে বসনিয়া ন্যাটোর ‘সদস্য কার্যক্রম পরিকল্পনা’ পেতে যাচ্ছে। যেটি হবে সদস্যপদ লাভের আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ। বসনিয়ার ন্যাটো জোটে যোগদানের বিরোধিতা করছে সার্বস্কা রিপাবলিকা, এ জন্য তারা রাষ্ট্রীয় সামরিক সম্পদের নিবন্ধনের বিরোধিতাও করে আসছে। মূলত বসনিয়ার এই অঞ্চলটি শুরু থেকেই রাশিয়া ও সার্বিয়াপন্থী হিসেবে পরিচিত। প্রেসিডেন্ট দোদিকসহ অঞ্চলটির অনেক নেতাই মস্কোপন্থী। ইতোমধ্যে তারা ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে গণভোট আয়োজনের ধারণা দিয়ে আসছে। বসনিয়ার ন্যাটোতে যোগদান নিয়ে স্বস্তিতে নেই রাশিয়াও। বলকান অঞ্চরে রাশিয়ার অনধিকার চর্চার এটিই প্রথম উদাহরণ নয়। ২০১৬ সালে অক্টোবরে মন্টেনিগ্রোতে বেশ কয়েকজন রুশ ও সার্বিয়ান নাগরিককে গ্রেফতার করা হয় সরকারবিরোধী অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের দায়ে। গ্রেফতারদের মধ্যে ছিলেন সার্বিয়ার সাবেক এক উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাও। মন্টেনিগ্রোর ন্যাটোতে যোগ দেয়া ঠেকাতেই ওই অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তবে তা সত্ত্বেও গত বছর জুনে ন্যাটোর সদস্যপদ লাভ করেছে দেশটি। সেই সাথে মরে গেছে সেখানে নৌঘাঁটি স্থাপনের রুশ স্বপ্ন। গত বছর মেসিডোনিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়েও হস্তক্ষেপ করেছে রাশিয়া। রুশ গুপ্তচর ও কূটনীতিকেরা দেশটিতে অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা করছিল। একই সাথে তারা রাশিয়াপন্থীদেরও সমর্থন করে। মিলোরাড দোদিক ও তার অনুসারীদের সমর্থন দিচ্ছে রাশিয়া। এই সম্পর্ক কতটা গভীর তা অচিরেই জানা যাবে। আগামী অক্টোবরে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ নির্বাচন। বসনিয়ানদের মধ্যে ক্ষোভ আছে ক্রিমিয়া ও দক্ষিণ অসেটিয়ায় রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন নিয়ে। বিদেশী হস্তক্ষেপ দেশটিকে আবারো অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। সূত্র : আলজাজিরা
রুশ সংযোগ
বলকান অঞ্চলের ন্যাটো সদস্য তালিকার দিকে তাকালে দেখা যাবে, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, গ্রিস, আলবেনিয়া, মন্টেনিগ্রো, ক্রোয়েশিয়া ও স্লোভেনিয়া সদস্য হয়েছে এই জোটের। মেসিডোনিয়া, বসনিয়া কসোভো ও সার্বিয়া আছে ন্যাটোর বাইরে। সার্বিয়া আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা ন্যাটোতে যোগ দিতে রাজি নয়। ১৯৯৫ ও ’৯৯ সালে তৎকালীন যুগোস্লাভিয়ায় ন্যাটোর বোমা বর্ষণের ঘটনা থেকেই দেশটি ন্যাটো বিমুখ হিসেবে পরিচিত। তবে অন্য তিনটি দেশ আগ্রহী ন্যাটোর সদস্য হতে। বসনিয়ার সাবেক একজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্রাসেলসে জুলাই মাসে পরবর্তী সম্মেলনে বসনিয়া ন্যাটোর ‘সদস্য কার্যক্রম পরিকল্পনা’ পেতে যাচ্ছে। যেটি হবে সদস্যপদ লাভের আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ। বসনিয়ার ন্যাটো জোটে যোগদানের বিরোধিতা করছে সার্বস্কা রিপাবলিকা, এ জন্য তারা রাষ্ট্রীয় সামরিক সম্পদের নিবন্ধনের বিরোধিতাও করে আসছে। মূলত বসনিয়ার এই অঞ্চলটি শুরু থেকেই রাশিয়া ও সার্বিয়াপন্থী হিসেবে পরিচিত। প্রেসিডেন্ট দোদিকসহ অঞ্চলটির অনেক নেতাই মস্কোপন্থী। ইতোমধ্যে তারা ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে গণভোট আয়োজনের ধারণা দিয়ে আসছে। বসনিয়ার ন্যাটোতে যোগদান নিয়ে স্বস্তিতে নেই রাশিয়াও। বলকান অঞ্চরে রাশিয়ার অনধিকার চর্চার এটিই প্রথম উদাহরণ নয়। ২০১৬ সালে অক্টোবরে মন্টেনিগ্রোতে বেশ কয়েকজন রুশ ও সার্বিয়ান নাগরিককে গ্রেফতার করা হয় সরকারবিরোধী অভ্যুত্থান ষড়যন্ত্রের দায়ে। গ্রেফতারদের মধ্যে ছিলেন সার্বিয়ার সাবেক এক উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাও। মন্টেনিগ্রোর ন্যাটোতে যোগ দেয়া ঠেকাতেই ওই অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তবে তা সত্ত্বেও গত বছর জুনে ন্যাটোর সদস্যপদ লাভ করেছে দেশটি। সেই সাথে মরে গেছে সেখানে নৌঘাঁটি স্থাপনের রুশ স্বপ্ন। গত বছর মেসিডোনিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়েও হস্তক্ষেপ করেছে রাশিয়া। রুশ গুপ্তচর ও কূটনীতিকেরা দেশটিতে অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা করছিল। একই সাথে তারা রাশিয়াপন্থীদেরও সমর্থন করে। মিলোরাড দোদিক ও তার অনুসারীদের সমর্থন দিচ্ছে রাশিয়া। এই সম্পর্ক কতটা গভীর তা অচিরেই জানা যাবে। আগামী অক্টোবরে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনায় অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ নির্বাচন। বসনিয়ানদের মধ্যে ক্ষোভ আছে ক্রিমিয়া ও দক্ষিণ অসেটিয়ায় রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন নিয়ে। বিদেশী হস্তক্ষেপ দেশটিকে আবারো অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। সূত্র : আলজাজিরা
No comments