আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলেন খালেদা জিয়া
জিয়া
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করে
জামিন চাইতে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে পৌঁছেছেন বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৯ মিনিটে তিনি আদালতে পৌঁছান।
এর আগেই তার আইনজীবীরা আদালতে তিনটি আবেদন করেন। আবেদনগুলো হলো- জিয়া
অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন
আবেদন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যুক্তি উপস্থাপন
উত্তোলনপূর্বক আত্মপক্ষ সমর্থনের আবেদন এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট
দুর্নীতি মামলার সাফাই সাক্ষী থেকে উত্তোলনপূর্বক আত্মপক্ষ সমর্থনের আবেদন।
এরও আগে বেলা সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন থেকে বকশীবাজারে
আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের উদ্দেশে রওনা
দেন তিনি। খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া যুগান্তরকে বলেন, রাজধানীর
বকশীবাজারে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড.
আখতারুজ্জামানের আদালতে এ দুটি মামলা বিচারাধীন। সেই মামলায় আত্মসমর্পণ করে
জামিন চাইতে তিনি আদালত পৌঁছেছেন। চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর দুর্নীতির এ দুই
মামলায় খালেদা জিয়া হাজির না হলে তার বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
একই সঙ্গে দুই মামলার শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন। এরও আগে চলতি বছরের
১২ অক্টোবর বিদেশে থাকাকালে খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত। ১৯ অক্টোবর দুই মামলায় আত্মসমর্পণ
করে অস্থায়ী জামিন পান। এর পর থেকে মামলার ধার্য তারিখে আদালতে হাজিরা
দিচ্ছেন তিনি। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩
হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায়
একটি মামলা করেছে দুদক। আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এতিমদের জন্য বিদেশ
থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩
জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় অপর মামলা করা হয়।
No comments