খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি শেষ : ১৯-২১ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন
জিয়া
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী
১৯ থেকে ২১ ডিসেম্বর মামলাগুলোর যুক্তিতর্কের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এ
পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া
মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করে
জামিনের আবেদন জানালে বিচারক ড. আখতারুজ্জামান তা মঞ্জুর করেন। সেই সাথে
আত্মপক্ষ সমর্থনে তার অসমাপ্ত বক্তব্য শেষ করতে বলেন। শুনানি শেষে বিচারক
মামলাগুলের যুক্তিতর্কের শুনানির দিন ধার্য করেন। এর আগে বিএনপি নেত্রী
সকাল সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন থেকে বের হয়ে ১১টার দিকে
তিনি আদালতে পৌঁছান। আত্মপক্ষ সমর্থন করতে সময়মতো আদালতে হাজির না হওয়ায় গত
৩০ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
জারি করেন রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর
বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালত। একই সঙ্গে আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য
দেওয়ার সুযোগ বাতিল করে ৫, ৬ ও ৭ ডিসেম্বর যুক্তিতর্কের জন্য দিন নির্ধারণ
করেন আদালত। খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জানান, ৩০ নভেম্বর
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম দলগুলোর ডাকা হরতালে নিরাপত্তার কারণে
খালেদা জিয়া সময় অনুযায়ী আদালতে হাজির হতে পারেননি। তাই আদালত তার
বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এর আগে গত ১২ অক্টোবর সাবেক
প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে থাকাবস্থায় একই আদালত তার
বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। দেশে ফিরেই তিনি আদালতে
আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। এর পর থেকে প্রতি সপ্তাহেই তিনি আদালতে হাজিরা
দিয়ে আসছিলেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা থেকে
জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে
অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে
কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির
মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার
টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল
ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের
নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন
কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুন-অর-রশিদ। এ মামলার অপর আসামিরা হলেন খালেদা
জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত
সচিব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ
নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং
ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
No comments