ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সুপ্রিম কোর্টে অনুমোদন
ছয়টি
মুসলিম দেশের ওপর জারি করা ট্রাম্প প্রশাসনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকে
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট অনুমোদন দিতে সম্মত হয়েছে। তবে শর্ত হলো, এ
বিষয়ে নিম্ন আদালত থেকে আইনি বৈধতা আসতে হবে। ছয়টি মুসলিম দেশ হলো শাদ,
ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া এবং ইয়েমেন। আপিল বিভাগের নয়জন
বিচারকের মধ্যে সাতজন একমত হন যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ছয়টি
মুসলিম দেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে সর্বশেষ যে নিষেধাজ্ঞা জারি
করেছিলেন, তা বহাল থাকবে। তবে নিম্ন আদালতের দেয়া নির্দেশনার আইনি সুরাহা
হয়ে আসতে হবে। এই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়টির বৈধতা নিয়ে শুনানি হবে
সানফ্রানসিসকো, ক্যালিফোর্নিয়া, রিচমন্ড এবং ভার্জিনিয়ার ফেডারেল কোর্টে ।
অবশ্য উত্তর কোরিয়া এবং ভেনিজুয়েলার ওপর জারি করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
নিম্ন আদালত অনুমোদন দিয়েছে আগেই। ক্ষমতায় আসার পরপরই ট্রাম্প প্রশাসন
সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের ওপর ৯০ দিনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেই
সাথে শরণার্থীদের প্রবেশেও বাধা সৃষ্টি করে নির্বাহী আদেশ জারি করা হয়।
তাৎক্ষণিকভাবেই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয় এবং নিম্ন আদালত থেকে তা আইনি
বাধার মুখে পরে। এই নিষেধাজ্ঞায় সবচেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন যুক্তরাষ্ট্রে
আসা মুসলিম প্রধান দেশের শিক্ষার্থীরা। নির্বাহী আদেশটি দুই দফা
পরিবর্তনের পর সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়া ও ভেনিজুয়েলার ওপর একইরকম
নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় হোয়াইট হাউজ থেকে। সাম্প্রতিক সময়ে নানা বিষয়ে
মিস্টার ট্রাম্পের বিতর্কিত কার্যকলাপের মধ্যে আপিল বিভাগের এই রায়কে তার
জন্য একধরনের বিজয় বলেই মনে করা হচ্ছে। পশ্চিম উপকূলে
ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী ব্যবস্থা মোতায়েন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ঠেকাতে নতুন ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বসাতে
যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে জায়গা বাছাই করছেন পেন্টাগন। মার্কিন
কংগ্রেসের দুই সদস্য এ তথ্য জানিয়েছেন।
উত্তর কোরিয়ার ধারাবাহিক
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে উদ্বেগ বাড়ছে। ফলে আত্মরক্ষার
প্রস্তুতি আরো দৃঢ় করার দিকে এগোচ্ছে দেশটি। নতুন এ ক্ষেপণাস্ত্র
প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দক্ষিণ কোরিয়ায় স্থাপিত ব্যালিস্টিক
ক্ষেপণাস্ত্রবিধ্বংসী টার্মিনাল হাই অলটিট্যুড এরিয়া ডিফেন্সের (থাড) মতো
হবে বলে ধারণা করছেন পর্যবেক্ষকেরা; পিয়ংইয়ংয়ের সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র
হামলা এড়াতে ইতোমধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ায় ওই অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা
ব্যবস্থাপনা মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির
সাম্প্রতিক গতি এবং আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের মূল
ভূখণ্ডে পারমাণবিক বোমাযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর সক্ষমতা অর্জন
করতে পারে আশঙ্কায় মার্কিন সরকারের ওপর অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা
ব্যবস্থা বসানোর চাপ বাড়ছিল। শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, গত সপ্তাহে
পিয়ংইয়ং নতুন ধরনের একটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) পরীক্ষা
চালায়, যা ১৩ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনও নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় পড়বে বলে
জানিয়েছে তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা
সংস্থা (এমডিএ) পশ্চিম উপকূলে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা মোতায়েনের
পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানান মার্কিন কংগ্রেসের হাউজ আর্মড সার্ভিস কমিটির
সদস্য মাইক রজার্স। ২০১৮ সালের জন্য অনুমোদিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা
বাজেটে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ব্যয়ের উল্লেখ না থাকায় এখনই এর কাজ শুরু
করা যাবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। ‘এখন শুধু স্থান খোঁজা হচ্ছে। এমডিএ
দেখছে কোথায় এটি বসানো যায়, পরিবেশের ওপর প্রভাবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে’-
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় রেগান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের
ফাঁকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই বলেন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিক ফোর্স
সাব-কমিটির চেয়ারম্যান রজার্স। তবে এমডিএ কোন কোন এলাকাকে অগ্রাধিকার
দিচ্ছে তা বলতে রাজি হননি আলাবামার এ রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য। তিনি বলেন,
‘বেশ কয়েকটি স্থানের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে’। ওয়াশিংটনের নাইন্থ
ডিস্ট্রিক্টের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান অ্যাডাম স্মিথ জানান, মার্কিন
সরকার পশ্চিম উপকূলে লকহিড মার্টিন করপোরেশনের বানানো থাড ব্যবস্থাপনা
বসানোরই চিন্তা করছে; যদিও কতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন
করা হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি।- রয়টার্স
No comments