জেরুজালেম কার- ফিলিস্তিন নাকি ইসরাইলের!
জেরুজালেম
কার? ইসরাইলের নাকি ফিলিস্তিনের! এ প্রশ্ন সেই ১৯৬৭ সাল থেকে ঝুলে আছে। ওই
বছর ফিলিস্তিনের কাছ থেকে জেরুজালেম কেড়ে নেয় ইসরাইল। তারা একে ঘোষণা দেয়
ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে। ফিলিস্তিনও নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে
জেরুজালেমকে। কিন্তু এ সমস্যার সমাধান আর হয় নি। অনেকেই চেষ্টা করেছেন,
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক শক্তিধর প্রেসিডেন্ট জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী
হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কিন্তু তারা তা রক্ষা করতে পারেন নি। সেই ধারায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নির্বাচনী প্রচারণার সময় জেরুজালেমকে রাজধানীর স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার ক্ষমতা গ্রহণ প্রায় এক বছর হতে চলেছে। কিন্তু এখনও তিনি প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেন নি। তবে শোনা যাচ্ছে এ সপ্তাহেই তিনি জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দিতে পারেন। তবে তাকে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় দুটি মিত্র সতর্ক করেছে। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যদি জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী স্বীকৃতি দেয়া হয় তাহলে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে পারে। ঠিক এই ভয়েই এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট এ বিষয়টিতে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন নি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে যে দুটি মিত্র সতর্ক করেছেন তারা বলেছেন, জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনও নিজেদের দাবি করে এই বিষয়টিতে কিভাবে ভারসাম্য আনা যাবে তা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হবে। পরিস্থিতি সম্পর্কে জানেন এমন সূত্র বলেছেন, এ জন্যই ট্রাম্প তার ঘোষণা বিলম্বিত করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন সালমান একটি বিবৃতি দিয়েছেন সিএনএনের কাছে। এতে তিনি বলেছেন, চূড়ান্ত মীমাংসার আগে যেকোনো ঘোষণা দেয়া হলে তাতে শান্তি প্রক্রিয়ার ওপর নেতিবাচক প্রছাব ফেলবে। দেখা দেবে আঞ্চলিক উত্তেজনা। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সোমবার ফোন করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রন। তিনিও একই রকম চিন্তাভাবনার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে স্বীকৃতি দিতে পারে বলে তিনি ওই বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি এতে আরো জোর দিয়ে বলেছেন, জেরুজালেমের মর্যাদা কি হবে তা ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি আলোচনায় সমঝোতার ভিত্তিতে হতে হবে। তা হতে হবে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে। শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে সবাইকে বসবাস করতে হবে। ওদিকে হোয়াইট হাউজের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হোগান ওল্ডলে সোমবার এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, বর্তমানে ইসরাইলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিবে অবস্থিত। এই দূতাবাস কি জেরুজালেমে স্থানান্তর হবে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলেও এ বিষয়ে তিনি কোনো উত্তর দেন নি।
কিন্তু তারা তা রক্ষা করতে পারেন নি। সেই ধারায় এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নির্বাচনী প্রচারণার সময় জেরুজালেমকে রাজধানীর স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার ক্ষমতা গ্রহণ প্রায় এক বছর হতে চলেছে। কিন্তু এখনও তিনি প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেন নি। তবে শোনা যাচ্ছে এ সপ্তাহেই তিনি জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দিতে পারেন। তবে তাকে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় দুটি মিত্র সতর্ক করেছে। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যদি জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী স্বীকৃতি দেয়া হয় তাহলে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে পারে। ঠিক এই ভয়েই এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট এ বিষয়টিতে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন নি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে যে দুটি মিত্র সতর্ক করেছেন তারা বলেছেন, জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনও নিজেদের দাবি করে এই বিষয়টিতে কিভাবে ভারসাম্য আনা যাবে তা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হবে। পরিস্থিতি সম্পর্কে জানেন এমন সূত্র বলেছেন, এ জন্যই ট্রাম্প তার ঘোষণা বিলম্বিত করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন সালমান একটি বিবৃতি দিয়েছেন সিএনএনের কাছে। এতে তিনি বলেছেন, চূড়ান্ত মীমাংসার আগে যেকোনো ঘোষণা দেয়া হলে তাতে শান্তি প্রক্রিয়ার ওপর নেতিবাচক প্রছাব ফেলবে। দেখা দেবে আঞ্চলিক উত্তেজনা। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সোমবার ফোন করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রন। তিনিও একই রকম চিন্তাভাবনার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে স্বীকৃতি দিতে পারে বলে তিনি ওই বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি এতে আরো জোর দিয়ে বলেছেন, জেরুজালেমের মর্যাদা কি হবে তা ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি আলোচনায় সমঝোতার ভিত্তিতে হতে হবে। তা হতে হবে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে। শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে সবাইকে বসবাস করতে হবে। ওদিকে হোয়াইট হাউজের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হোগান ওল্ডলে সোমবার এয়ারফোর্স ওয়ান বিমানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, বর্তমানে ইসরাইলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিবে অবস্থিত। এই দূতাবাস কি জেরুজালেমে স্থানান্তর হবে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলেও এ বিষয়ে তিনি কোনো উত্তর দেন নি।
No comments