প্রধানমন্ত্রী আমার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন: খালেদা জিয়া
নিজের
প্রতি আনা দুর্নীতির সব অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা
জিয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা বিভিন্ন সময়
আমার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন। আর আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায়
যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তারাও অসত্য বলেছেন। মঙ্গলবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট
দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন দেয়া বক্তব্যে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
বেলা সাড়ে ১১টার কিছু সময় পর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার
৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য
দেয়া শুরু করেন বিএনপির প্রধান। এর আগে আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন
খালেদা জিয়া। এ সময় তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে তার জামিন
আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারক। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে দুটি আবেদন করা হয়।
এগুলো হল- যুক্তিতর্ক স্থগিত করে আত্মপক্ষে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ এবং
আত্মসমর্পণ করে জামিন।
খালেদা জিয়াকে জামিন দেয়ার পাশাপাশি যুক্তিতর্ক
শুরুর জন্য আদালতের দেয়া আগের আদেশ বাতিল করে আত্মপক্ষ সমর্থনের অনুমতি দেন
আদালত। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার এবং
দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল। এর আগে বেলা সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর
গুলশানের বাসভবন থেকে বকশীবাজারে ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের উদ্দেশে রওনা
দেন তিনি। গত ৩০ নভেম্বর দুর্নীতির এ দুই মামলায় খালেদা জিয়া হাজির না হলে
তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে দুই মামলার
শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন। এর আগে চলতি বছরের ১২ অক্টোবর বিদেশে
থাকাকালে খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
জারি করেছিলেন আদালত। ১৯ অক্টোবর দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে অস্থায়ী জামিন
পান। এর পর থেকে মামলার ধার্য তারিখে আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন তিনি। জিয়া
চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের
অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুদক।
আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ
৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর রমনা
থানায় অপর মামলা করা হয়।
No comments