ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ আরো তীব্র হবে
সাবেক
প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহকে হত্যার মধ্য দিয়ে ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ
নতুন মাত্রা পেয়েছে। এর ফলে সেখানকার পরিস্থিতি আরো অবনতি হবে বলে মনে
করছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশটির ভবিষ্যত কি হবে এ সম্পর্কে সন্দিহান সবাই। হুতি
বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোটের লড়াই আরো তীব্র হবে বলে
মনে করেন তারা। এমন পূর্বাভাস দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে বলা হয়, তিন
দশকের বেশি দেশ চালানো প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহকে সোমবার হত্যা করে
হুতি বিদ্রোহীরা।
এই হুতিরা এক সময় তার সঙ্গে জোট করেছিল। তাদেরকে প্রেসিডেন্ট সালেহ মিত্র হিসেবে দেখতেন। কিন্তু তারাই যখন সালেহকে হত্যা করে তখন তার নিজের বাহিনীর কাছে এটা একটি বড় আঘাত বলে মনে করছেন ইয়েমেন পোস্টের প্রধান সম্পাদক হাকিম আল মাসমারি। ইয়েমেনের রাজধানী সানা থেকে তিনি আল জাজিরাকে বলেন, সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে তার বাড়িতে দু’দিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিল হুতিরা। সোমবার তার বাড়িতে তারা হামলা চালায়। এ সময় সালেহ পালিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাস্তায় রাস্তায় বসানো ছিল হুতিদের চেকপোস্ট। তাতে তার গাড়ি ধরা পড়ে। এ সময় বেশ কিছু সিনিয়র সহযোগী সহ তাকে হত্যা করে হুতিরা। হাকিম আল মাসমারি বলেন, সালেহ’কে হত্যা করায় ইয়েমেনে সামরিক অভিযান তীব্র করতে পারে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোট। সম্প্রতি হুতিদের সঙ্গে সালেহ’র জোট ভেঙে যাওয়ার পর সৌদি আরবের এই জোট রাজধানী সানায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে বিমান হামলা জোরালো করেছে। টার্গেট করা হচ্ছে পরিত্যক্ত বিমানবন্দর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক কর্মসুচির পরিচালক জোস্ট হিলটারম্যান বলেছেন, হুতি ও সালেহ জোট ভেঙে যাওয়ার ফলে সঙ্কট বাড়বে। প্রতিশোধের মাত্রা বাড়বে। আলী আবদুল্লাহ সালেহকে হত্যার পর তার দল আরো ভেঙে যেতে পারে। তাদের অনেকেই যোগ দিতে পারে হুতি-বিরোধী যোদ্ধাদের সঙ্গে। এ অবস্থায় সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোটের জন্য বড় ধরনের একটি আঘাত হতে পারে। এই জোটে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা সালেহ’র মাধ্যমে তাদের প্রত্যাশা পূরণের আশা করছিলেন। কিন্তু সব কিছু দৃশ্যত আরো জটিল হয়ে যাচ্ছে। এ বছরের শুরুর দিকে বেশ কিছু ইমেইল ফাঁস হয়। তাতে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার সময় ইয়েমেন যুদ্ধের ইতি ঘটানোর খায়েশ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। উল্লেখ্য, দেশের চলমান গৃহযুদ্ধে বড় ধরনের ভূমিকা ছিল তিন দশকেরও বেশি সময় ইয়েমেন শাসন করা এই প্রেসিডেন্টের। তিনি শনিবার টেলিভিশনে একটি ভাষণ দেন। এ সময় ইয়েমেনের ওপর আরোপ করা সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান। ওদিকে হুতিদের সঙ্গে তার যে জোট হয়েছিল তা তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, সামরিক জোটের সঙ্গে আলোচনার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে দরজা। এই সামরিক জোট দু’বছরের বেশি সময় হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত। তার এমন বক্তব্যের প্রশংসা করেছে সৌদি আরব। কিন্তু হুতি বিদ্রোহীরা সালেহকে খতম করে দেয়াকে অভ্যুত্থান হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। অন্যান্য সুন্নি মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সৌদি আরব ২০১৫ সালে ইয়েমেনে সামরিক হস্তক্ষেপ করে। তারা এ সময় প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বু মানসুর হাদির সরকারকে ক্ষমতায় পুনঃস্থাপন করার জন্য এ কাজ করে। উল্লেখ্য প্রেসিডেন্ট মানসুর হাদিকে এর আগের বছর ক্ষমতাচ্যুত করেছিল হুতিরা। ওদিকে হুতি নেতাদের সঙ্গে দুর্বল হোট গড়ে তোলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট সালেহ। এই জোটের মধ্য দিয়ে তার জেনারেল পিপলস কংগ্রেস দল ও হুতি আনসার আল্লাহ অংশ একত্রিত হয়। তবে তাদের মধ্যে অতীতের অনেক বিষয়ে মতবিরোধ ছিল।
এই হুতিরা এক সময় তার সঙ্গে জোট করেছিল। তাদেরকে প্রেসিডেন্ট সালেহ মিত্র হিসেবে দেখতেন। কিন্তু তারাই যখন সালেহকে হত্যা করে তখন তার নিজের বাহিনীর কাছে এটা একটি বড় আঘাত বলে মনে করছেন ইয়েমেন পোস্টের প্রধান সম্পাদক হাকিম আল মাসমারি। ইয়েমেনের রাজধানী সানা থেকে তিনি আল জাজিরাকে বলেন, সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে তার বাড়িতে দু’দিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিল হুতিরা। সোমবার তার বাড়িতে তারা হামলা চালায়। এ সময় সালেহ পালিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাস্তায় রাস্তায় বসানো ছিল হুতিদের চেকপোস্ট। তাতে তার গাড়ি ধরা পড়ে। এ সময় বেশ কিছু সিনিয়র সহযোগী সহ তাকে হত্যা করে হুতিরা। হাকিম আল মাসমারি বলেন, সালেহ’কে হত্যা করায় ইয়েমেনে সামরিক অভিযান তীব্র করতে পারে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোট। সম্প্রতি হুতিদের সঙ্গে সালেহ’র জোট ভেঙে যাওয়ার পর সৌদি আরবের এই জোট রাজধানী সানায় হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে বিমান হামলা জোরালো করেছে। টার্গেট করা হচ্ছে পরিত্যক্ত বিমানবন্দর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক কর্মসুচির পরিচালক জোস্ট হিলটারম্যান বলেছেন, হুতি ও সালেহ জোট ভেঙে যাওয়ার ফলে সঙ্কট বাড়বে। প্রতিশোধের মাত্রা বাড়বে। আলী আবদুল্লাহ সালেহকে হত্যার পর তার দল আরো ভেঙে যেতে পারে। তাদের অনেকেই যোগ দিতে পারে হুতি-বিরোধী যোদ্ধাদের সঙ্গে। এ অবস্থায় সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোটের জন্য বড় ধরনের একটি আঘাত হতে পারে। এই জোটে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা সালেহ’র মাধ্যমে তাদের প্রত্যাশা পূরণের আশা করছিলেন। কিন্তু সব কিছু দৃশ্যত আরো জটিল হয়ে যাচ্ছে। এ বছরের শুরুর দিকে বেশ কিছু ইমেইল ফাঁস হয়। তাতে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার সময় ইয়েমেন যুদ্ধের ইতি ঘটানোর খায়েশ প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। উল্লেখ্য, দেশের চলমান গৃহযুদ্ধে বড় ধরনের ভূমিকা ছিল তিন দশকেরও বেশি সময় ইয়েমেন শাসন করা এই প্রেসিডেন্টের। তিনি শনিবার টেলিভিশনে একটি ভাষণ দেন। এ সময় ইয়েমেনের ওপর আরোপ করা সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোটের অবরোধ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানান। ওদিকে হুতিদের সঙ্গে তার যে জোট হয়েছিল তা তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে দেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, সামরিক জোটের সঙ্গে আলোচনার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে দরজা। এই সামরিক জোট দু’বছরের বেশি সময় হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত। তার এমন বক্তব্যের প্রশংসা করেছে সৌদি আরব। কিন্তু হুতি বিদ্রোহীরা সালেহকে খতম করে দেয়াকে অভ্যুত্থান হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। অন্যান্য সুন্নি মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সৌদি আরব ২০১৫ সালে ইয়েমেনে সামরিক হস্তক্ষেপ করে। তারা এ সময় প্রেসিডেন্ট আবদ রাব্বু মানসুর হাদির সরকারকে ক্ষমতায় পুনঃস্থাপন করার জন্য এ কাজ করে। উল্লেখ্য প্রেসিডেন্ট মানসুর হাদিকে এর আগের বছর ক্ষমতাচ্যুত করেছিল হুতিরা। ওদিকে হুতি নেতাদের সঙ্গে দুর্বল হোট গড়ে তোলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট সালেহ। এই জোটের মধ্য দিয়ে তার জেনারেল পিপলস কংগ্রেস দল ও হুতি আনসার আল্লাহ অংশ একত্রিত হয়। তবে তাদের মধ্যে অতীতের অনেক বিষয়ে মতবিরোধ ছিল।
No comments