যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা সিদ্ধান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা বাধাগ্রস্ত হওয়ার শংকা
জেরুজালেমকে
ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পথে এগোনোর চেষ্টা করছে
যুক্তরাষ্ট্র। দখলকৃত ওই এলাকাকে একতরফাভাবে ইসরাইলিদের এলাকা বলে স্বীকৃতি
দিলে নতুন করে সংকট দেখা দেবে বলে বিষয়টি নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা
জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো। তিনি বলেন, বিষয়টি
নিয়ে আমি ‘উদ্বিগ্ন’। কারণ একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্র এমন সিদ্ধান্ত নিলে তা
ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নতুন সংকট সৃষ্টি করবে। এর আগে একই ধরনের
উদ্বেগ প্রকাশ করে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়া
এবং সেখানে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর না করার আহ্বান জানিয়েছে আরব লীগ ও
বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্র। এদিকে ইসরাইলের মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে
জেরুজালেমে সরিয়ে নেয়া হবে কিনা, এ সিদ্ধান্ত আজই নিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।
জেরুজালেম অ্যাম্বাসি অ্যাক্ট নামের এক আইনের আওতায় ওই সিদ্ধান্ত নেবেন
তিনি। ওই আইন অনুযায়ী, চলতি বছর জুনে ট্রাম্প ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার
ঘোষণা দিয়েছিলেন। এবারও চাইলে ট্রাম্প ৬ মাসের জন্য সিদ্ধান্তটি স্থগিত
রাখতে পারেন। দখলকৃত জেরুজালেমকে ফিলিস্তিন ও ইসরাইল উভয় রাষ্ট্রই নিজেদের
রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র হুগান গিডলি অবশ্য
জানিয়েছেন, ট্রাম্প জেরুজালেম ইস্যুতে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন। এখন আর
যদি-কিন্তুর বিষয় নয়; বিষয়টি দাঁড়িয়ে আছে- কখন ঘোষণা ও বাস্তবায়নের
সিদ্ধান্ত হবে তার ওপর। জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের অ্যাম্বাসি
অ্যাক্ট ১৯৯৫ সালে কংগ্রেসে পাস হওয়ার পর থেকে এ সময় পর্যন্ত সব
প্রেসিডেন্টই ছয় মাস করে সময় নিয়ে তা দীর্ঘায়িত করেছেন।
No comments