৫৯ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস মঙ্গলবার থেকে
চট্টগ্রাম
বন্দরে দীর্ঘসময় ধরে পড়ে থাকা নষ্ট ও পচা পণ্য আবারও ধ্বংস করার কার্যক্রম
হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। এবার ৫৯ কনটেইনার নষ্ট ফল, আদা ও রসুন
ধ্বংস করা হবে। পাঁচ দিনব্যাপী এই ধ্বংস কার্যক্রম শুরু হবে আগামী
মঙ্গলবার। কাস্টমস সূত্র জানায়, ৪ ডিসেম্বর থেকে ৮৯ কনটেইনার ধ্বংস করার
প্রক্রিয়া শুরু করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। নগরের পতেঙ্গা এলাকার বিজয় নগরে
গর্ত খুঁড়ে দুই দিনে ৩০ কনটেইনার নষ্ট পণ্য পুঁতে ফেলা হয়। এ সময় দুর্গন্ধ
ছড়িয়ে পড়ায় এলাকাবাসীর আপত্তির মুখে ধ্বংস কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এ
পরিস্থিতিতে হালিশহরের আনন্দবাজার এলাকায় সিটি করপোরেশনের জায়গায় নষ্ট পণ্য
ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয় কাস্টমস। কাস্টমস সূত্র জানায়, নষ্ট হয়ে যাওয়া এসব
পণ্য আমদানি করা হয় ২০১০ সাল থেকে এ বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। পণ্য
আমদানির পর ব্যবসায়ীরা নানা কারণে তা খালাস না নেওয়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ
বিক্রির জন্য নিলামে তোলে।
কিন্তু নিলামেও বিক্রি হয়নি। পরে নষ্ট হয়ে গেলেও
দীর্ঘ সময় তা ধ্বংস করা হয়নি। জানতে চাইলে কাস্টমসের সহকারী কমিশনার মিয়া
মো. নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, টানা পাঁচ দিন ধরে ৫৯ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস
করা হবে। এ জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পণ্য ধ্বংসের পর খালি হয়ে যাওয়া
কনটেইনার ব্যবহার করতে পারবে জাহাজ কোম্পানিগুলো। বন্দর কর্তৃপক্ষও বন্দরের
খালি জায়গায় কনটেইনার সংরক্ষণ করতে পারবে। চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস
সূত্র জানায়, ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাস না নিলে আমদানির সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষই
আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়। যেমন আমদানি-প্রক্রিয়ার শুরু থেকে বন্দরে আসা
পর্যন্ত পণ্যের দামের পুরোটা বা আংশিক বিদেশি মুদ্রায় পরিশোধ করতে হয়
ব্যবসায়ীকে। কিন্তু পণ্য আসার পর ব্যবসায়ী তা খালাস না করলে নিলামের
প্রক্রিয়া শুরু করে কাস্টমস। নিলামে বিক্রি না হলে রাজস্ব হারায় কাস্টমস।
আবার ওই ব্যবসায়ী পণ্য খালাস না নেওয়ায় তাঁর কাছ থেকেও শুল্ককর পায় না।
বন্দর কর্তৃপক্ষও কনটেইনার রাখার ভাড়া পায় না। কনটেইনারের মালিকপক্ষও
কনটেইনার ভাড়ার কাজে ব্যবহার করতে পারে না। কনটেইনার বন্দরে পড়ে থাকলেও
ক্ষতিপূরণও আদায় করতে পারে না আমদানিকারকের কাছ থেকে।
No comments