নিখোঁজের ৪ মাস পর কল্যাণ পার্টির মহাসচিব গ্রেফতার
চার
মাস ধরে নিখোঁজ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এএমএম আমিনুর রহমানকে গুলশান
থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে
পুলিশ। শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার শাহজাদপুর প্রগতি সরণিতে মোবাইল
ফোন ট্র্যাকের মাধ্যমে তার অবস্থান শনাক্ত করা হয়। সেখান থেকে তাকে
গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর)। তবে তার নিখোঁজের কারণ এখনও
জানা যায়নি। ডিবি বলছে, আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। পলাতক অবস্থায় গ্রেফতার করা
হয়েছে তাকে। তবে তাকে নিখোঁজ অবস্থায় উদ্ধারের পর মামলায় গ্রেফতার করার
ঘটনাকে পরিকল্পিত রাজনৈতিক নাটক বলে মনে করছেন তার দলের নেতাকর্মীরা।
আমিনুর রহমান ২৭ আগস্ট রাতে ঢাকায় নয়াপল্টন থেকে সাভারে নিজ বাড়িতে যাওয়ার
পথে নিখোঁজ হন। পরে এ ঘটনায় নিখোঁজের বড়ভাই এমএম মিজানুর রহমান পল্টন
থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। তার নিখোঁজে সরকারের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করে
আসছিলেন দলটির নেতারা। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপকমিশনার শেখ
নাজমুল আলম শনিবার যুগান্তরকে বলেন, আমিনুরকে উদ্ধার করার পর গুলশান থানার
একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ওই মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০
দিনের হেফাজতে চেয়ে বিকালে তাকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নিয়ে যায়
পুলিশ। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. জিহাদের আবেদনের শুনানি শেষে
চার দিন হেফাজতের নির্দেশ দেন মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস। আমিনুরের
পক্ষে তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করলেও আদালত তা নাকচ করেন বলে
জানান আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শেখ রাকিবুল ইসলাম।
নিখোঁজের বড়ভাই এমএম মিজানুর রহমান শনিবার বিকালে ফোনে যুগান্তরকে বলেন,
তার সঙ্গে এখনও কথা বলার সুযোগ হয়নি। তাকে কে বা কারা, কী কারণে অপহরণ
করেছিল- এসব বিষয় সে-ই ভালো বলতে পারবে। তবে আমাদের কাছে পুরো বিষয়টিই
রহস্য মনে হচ্ছে।
সূত্র জানায়, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতা আমিনুরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারিতে শাজাহান খানের নেতৃত্বে গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বোমা হামলার মামলায়। সেদিন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির সময় কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটেছিল। তখন পরিবহন শ্রমিক নেতা ইসমাইল হোসেন বাচ্চু বাদী হয়ে গুলশান থানায় খালেদা জিয়া, সেলিমা রহমানসহ বিএনপি ও ২০ দলের ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলেও আমিনুরের নিখোঁজ হওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি। ইতিপূর্বে ফিরে আসা নিখোঁজ ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাদের টাকার জন্য অপহরণ করা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট বলেই নিখোঁজদের উদ্ধার করা যাচ্ছে।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম যুগান্তরকে বলেন, ৯ বছর ধরে বর্তমান সরকারের কৃতকর্মের অভিজ্ঞতার আলোকে আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই যে, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব অপহরণের ঘটনাটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক নাটক। প্রায় তিন বছর আগের নাশকতামূলক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো ছেলেখেলার মতো। কারণ অপহরণ হওয়ার আগে তিনি (আমিনুর) প্রকাশ্যেই বৈধ একটি রাজনৈতিক দলের মহাসচিব হিসেবে সব ধরনের দায়িত্ব পালন করেছেন। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, তিনি যদি মামলায় উল্লেখ করা অভিযুক্ত হতেন, তাহলে তাকে গ্রেফতার করার অনেক সুযোগ অতীতে ছিল। যাই হোক, আমরা আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করে আনব।
সূত্র জানায়, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নেতা আমিনুরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ২০১৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারিতে শাজাহান খানের নেতৃত্বে গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বোমা হামলার মামলায়। সেদিন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের নেতৃত্বে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির সময় কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটেছিল। তখন পরিবহন শ্রমিক নেতা ইসমাইল হোসেন বাচ্চু বাদী হয়ে গুলশান থানায় খালেদা জিয়া, সেলিমা রহমানসহ বিএনপি ও ২০ দলের ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলেও আমিনুরের নিখোঁজ হওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি। ইতিপূর্বে ফিরে আসা নিখোঁজ ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাদের টাকার জন্য অপহরণ করা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সচেষ্ট বলেই নিখোঁজদের উদ্ধার করা যাচ্ছে।
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম যুগান্তরকে বলেন, ৯ বছর ধরে বর্তমান সরকারের কৃতকর্মের অভিজ্ঞতার আলোকে আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই যে, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব অপহরণের ঘটনাটি পরিকল্পিত রাজনৈতিক নাটক। প্রায় তিন বছর আগের নাশকতামূলক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো ছেলেখেলার মতো। কারণ অপহরণ হওয়ার আগে তিনি (আমিনুর) প্রকাশ্যেই বৈধ একটি রাজনৈতিক দলের মহাসচিব হিসেবে সব ধরনের দায়িত্ব পালন করেছেন। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, তিনি যদি মামলায় উল্লেখ করা অভিযুক্ত হতেন, তাহলে তাকে গ্রেফতার করার অনেক সুযোগ অতীতে ছিল। যাই হোক, আমরা আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করে আনব।
No comments