ট্রাম্পের হুমকিতেই ভোট দেয়নি কিছু দেশ!
জেরুজালেম
নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আনা
প্রস্তাব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভোটাভুটিতে খুব সহজে পাস হবে, এমনটা আগে
থেকেই ধারণা ছিল। বাস্তবেও তা-ই ঘটেছে। কিন্তু ভোটাভুটির আগে মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালির হুমকি
কিছুটা উদ্বেগের জন্ম দিয়েছিল। এই কারণে প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়া থেকে
কিছু দেশ বিরত থেকেছে বলে মনে করা হয়। ১২৮টি দেশ কেন জেরুজালেম নিয়ে
যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল, তা স্পষ্ট।
তারা জেরুজালেম ইস্যুতে জাতিসংঘের প্রস্তাবের পক্ষে আছে, যাতে ফিলিস্তিন ও
ইসরায়েলের মাঝে সমঝোতার কথা বলা হয়েছে। আর যে ৩৫টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল,
তাদের অধিকাংশই আগে থেকে এই ধারা অনুসরণ করে আসছে। তবে এ ক্ষেত্রে অন্যতম
ব্যতিক্রম কানাডা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী এই দেশটি মার্কিন নীতি অনুসরণ
করে আসছিল। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের আদলেই
তারা ভোট দিত। কিন্তু এবার কানাডা ভোটদানে বিরত থাকে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো
বলছে, কানাডা প্রস্তাবের বিপক্ষেই ভোট দিত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের
হুমকি-ধমকি তাদের ভালো লাগেনি, তাই কানাডা ভোটদানে বিরত ছিল। মার্কিন
হুমকিতে যে দেশগুলো প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অধিকাংশই
ক্ষুদ্র দেশ গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, টোগো, মার্শাল আইল্যান্ড, ফেডারেল
স্টেট অব মাইক্রোনেশিয়া এবং নাউরু। এই দেশগুলো জেরুজালেম ইস্যুতে মার্কিন
নীতির মতো নীতি অনুসরণ করে কি না, তা স্পষ্ট নয়। যে নয়টি দেশ প্রস্তাবের
বিপক্ষে ভোট দিয়েছে তাদের মধ্যে একটি বিষয় অভিন্ন। দেশগুলোর অর্থনীতিতে
যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য গুরুত্বপূর্ণ। ভোটদানে বিরত থাকা অন্য দেশগুলোর
ওপরও ট্রাম্পের হুমকির প্রভাব পড়েছিল বলেই মনে করা হয়। তুরস্কের
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের একই মত। আফ্রিকার দেশগুলো সফরের আগে এক
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ৩৫টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল মার্কিন চাপের কারণেই।
যদি চাপ না থাকত তবে তারা প্রস্তাবের পক্ষেই ভোট দিত।
No comments