‘মাদক চোরাচালান ও সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা হবে’
দেশে
মাদক চোরাচালান ও সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে এখন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
এবং সীমান্তবর্তী সংসদ সদস্যরা সমন্বয় করে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার দুপুরে দেশের আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর প্রধান ও সীমান্ত এলাকার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় এ
কথা জানান মন্ত্রী। বিজিবি সদর দফতর পিলখানার শহীদ আশরাফ হলে এ মতবিনিময়সভা
অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আইজিপি একেএম শহীদুল হক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামালউদ্দীন, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর
জেনারেল আবুল হোসেন, র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, মাদকদ্রব্য
নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন আহমেদ এবং
সীমান্তবর্তী এলাকার ৩৩ সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,
আমাদের দেশে মাদক তৈরি হয় না। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও টেকনাফ থেকে
মাদকদ্রব্য আসে। দেশে যাতে কোনো মাদক না ঢুকতে পারে, সে জন্য বিজিবি,
কোস্টগার্ড, পুলিশ ও র্যাবকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। সবাই মিলে কাজ
করলে এই সমস্যার সমাধান হবে। এ সময় মাদক, চোরাচালান ও সীমান্তে হত্যা বন্ধে
সংসদ সদস্যরা পরামর্শ ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আসাদুজ্জামান বলেন, সীমান্ত
দিয়ে চোরাচালান বন্ধে কোস্টগার্ডকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে
তাদের জন্য দুটি জাহাজ মোংলা সমুদ্রবন্দরে এসে পৌঁছেছে।
আর বিজিবিতে ১৫
হাজার লোকবল বাড়ানোর অনুমোদন দিয়েছে সরকার। বিজিবির চেক পোস্ট সংখ্যাও
বাড়ানো হবে। সীমান্ত দিয়ে কোনো কিছু ঢুকে যেন দেশে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য
পুলিশ বাহিনীকেও সজাগ থাকার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মাদক
চোরাচালান রোধে সব বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় না থাকার প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, সব
বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় রয়েছে। তবে যেসব জায়গায় সমন্বয়হীনতা রয়েছে, যেই
জায়গায় কাজ করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, সীমান্তে হত্যা ক্রমন্বয়ে কমছে। এ সময়
তিনি একটি পরিসংখ্যান দেখিয়ে বলেন, ২০০৮ সালে সীমান্তে মারা গিয়েছিল ৬৮
জন। ২০০৯ সালে ৬৭, ২০১০ সালে ৬০, ২০১১ সালে ৩৯ জন এবং সর্বশেষ ২০১৭ সালে ২১
জন মারা গেছে। মাদক চোরাচালানে কতিপয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারদলীয়
নেতাকর্মী জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, এসব কাজে যারাই
জড়িত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments