দেশের বেশিরভাগ শিশুর যৌন নিপীড়ক নিকটাত্মীয়রাই
দেশে বয়োঃসন্ধির আগেই নির্যাতনের শিকার হয় ৯০ শতাংশ শিশু। যার মধ্যে ৮৩ শতাংশই আক্রান্ত হয় নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে। শিশুদের নিয়ে কাজ করে এমন একটি সংগঠন 'গ্রাউন্ড জিরো'র গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
'নিরাপদ শৈশবর উদ্দেশ্যে' শীর্ষক ওই গবেষণা জরিপে বলা হয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে যৌন নিপীড়নের শিকার হয় ৩০ শতাংশ শিশু।
পঞ্চম শ্রেণিতে যেতে না যেতে নির্যাতনের হার দাঁড়ায় ৯০ শতাংশে। যা শিশুর নিকটাত্মীয় ও পূর্ব পরিচিতদের মাধ্যমে হয়।
সংগঠনটি ঢাকা ও সাতক্ষীরার ১০টি স্কুলের ৬শ' শিশুর উপর এ জরিপ পরিচালনা করে। এর মধ্যে দু’টি বিশেষ স্কুলও রয়েছে।
গ্রাউন্ড জিরো'র সমন্বয়ক ইফফাত জাহান তুষার আরটিভি অনলাইনকে জানান, শিশুদের যৌন নির্যাতন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা খুবই ভয়ানক।
শিশুদের সঙ্গে যারা এ ধরনের আচরণ করছে সবাই তাদের আত্মীয়-স্বজন ও পূর্বপরিচিত। ফলে শিশুরা অনেক ক্ষেত্রে খারাপ আদর বুঝতে পারলেও তার প্রতিবাদ করতে পারে না।
গবেষণা জরিপের অন্যতম সমন্বয়কারী রিফাহ শারমিলি বাঁধন বলেন, বাবা-মা, শিক্ষক ও আত্মীয়-স্বজনরা শিশুদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন না। এতে করে শিশুদের যৌন নিপীড়নের ঝুঁকি বাড়ে।
বাবা-মায়ের উচিত সন্তানের বন্ধু হয়ে তার কথা শোনা। তাতে করে শিশুদের নিরাপদ থাকার সুযোগ অনেকটাই তৈরি হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, দেশের শিশুরা এখন ঘরেও নিরাপদ নয়। যৌন নিপীড়কের তালিকায় পরিবারের সদস্যরাও জড়িয়ে পড়ছেন।
দেশে শিশুদের রক্ষা আইন প্রণীত হলেও তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। এ জন্য সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টি হওয়াকেই দায়ি করলেন এ মানবাধিকার কর্মী।
'নিরাপদ শৈশবর উদ্দেশ্যে' শীর্ষক ওই গবেষণা জরিপে বলা হয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে যৌন নিপীড়নের শিকার হয় ৩০ শতাংশ শিশু।
পঞ্চম শ্রেণিতে যেতে না যেতে নির্যাতনের হার দাঁড়ায় ৯০ শতাংশে। যা শিশুর নিকটাত্মীয় ও পূর্ব পরিচিতদের মাধ্যমে হয়।
সংগঠনটি ঢাকা ও সাতক্ষীরার ১০টি স্কুলের ৬শ' শিশুর উপর এ জরিপ পরিচালনা করে। এর মধ্যে দু’টি বিশেষ স্কুলও রয়েছে।
গ্রাউন্ড জিরো'র সমন্বয়ক ইফফাত জাহান তুষার আরটিভি অনলাইনকে জানান, শিশুদের যৌন নির্যাতন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা খুবই ভয়ানক।
শিশুদের সঙ্গে যারা এ ধরনের আচরণ করছে সবাই তাদের আত্মীয়-স্বজন ও পূর্বপরিচিত। ফলে শিশুরা অনেক ক্ষেত্রে খারাপ আদর বুঝতে পারলেও তার প্রতিবাদ করতে পারে না।
গবেষণা জরিপের অন্যতম সমন্বয়কারী রিফাহ শারমিলি বাঁধন বলেন, বাবা-মা, শিক্ষক ও আত্মীয়-স্বজনরা শিশুদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন না। এতে করে শিশুদের যৌন নিপীড়নের ঝুঁকি বাড়ে।
বাবা-মায়ের উচিত সন্তানের বন্ধু হয়ে তার কথা শোনা। তাতে করে শিশুদের নিরাপদ থাকার সুযোগ অনেকটাই তৈরি হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, দেশের শিশুরা এখন ঘরেও নিরাপদ নয়। যৌন নিপীড়কের তালিকায় পরিবারের সদস্যরাও জড়িয়ে পড়ছেন।
দেশে শিশুদের রক্ষা আইন প্রণীত হলেও তা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। এ জন্য সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টি হওয়াকেই দায়ি করলেন এ মানবাধিকার কর্মী।
No comments