পিন্টুর চিকিৎসা করতে দেয়নি কারাকর্তৃপক্ষ : চিকিৎসক
পিন্টুর
মৃত্যুতে কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ করেছেন
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. রইস উদ্দিন।
জেল সুপার কারাগারে পিন্টুকে চিকিৎসা করতে দেয়নি বলে জানান তিনি। ডা.
রউসউদ্দিন আহমেদ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই নাছিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু মারা
গেছেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ডা. রইস উদ্দিন
অভিযোগ করেন, শনিবার কারাগার থেকে রামেক হাসপাতালের পরিচালকের কাছে
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সে অনুযায়ী তিনি শনিবার
কারাগারে পিন্টুর চিকিৎসার জন্য গেলেও সিনিয়র জেল সুপার তাকে পিন্টুর
চিকিৎসা করতে দেননি। তবে রাজশাহীর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার
শফিকুল ইসলাম খান জানান, নাছিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু নানাবিধ অসুখে ভুগছিলেন।
হার্ট, কিডনি, ডায়াবেটিকস, ব্লাডপ্রেশারসহ চোখ ও বুকের সমস্যা ছিল তারা।
রোববার বেলা ১২টার দিকে তিনি কারাগারের মধ্যে বুকের ব্যথা অনুভব করেন ও
গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে কারাগার থেকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা
হলে পিন্টু মারা যান। কারা চিকিৎসক এসএম সায়েম জানান, বেলা ১১টার দিকে
নাছিরউদ্দিন পিন্টু অসুস্থ বোধ করেন। তার বুকের ব্যথা তীব্র হলে দুপুর
১২টার দিকে তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অপরদিকে রামেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. রইস উদ্দিন জানান, কারাবন্দি নাছিরউদ্দিন পিন্টু হার্ট, কিডনি, ডায়াবেটিকস, ব্লাডপ্রেসারসহ চোখ ও বুকের সমস্যায় ভুগছিলেন। কারাগার থেকেই শনিবার রামেক পরিচালকের কাছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। সেই অনুযায়ি শনিবার কারাগারে তিনি পিন্টুর চিকিৎসার জন্য যান। কিন্তু সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান তাকে পিন্টুর চিকিৎসা করতে দেননি। তিনি বলেন, রোগীর অবস্থা ভাল ছিল না বলেই পরের দিনই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান জানান, ২৫ এপ্রিল তার ফলোআপ চিকিৎসার ডেট ছিল। ওই দিন তাকে রামেক হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শনিবার চিঠি দেয়ার পরেও কেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে নাছিরউদ্দিন পিন্টুর চিকিৎসা করা হয়নি এ প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম খান কোন কথা না বলেই রামেক হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
অপরদিকে রামেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. রইস উদ্দিন জানান, কারাবন্দি নাছিরউদ্দিন পিন্টু হার্ট, কিডনি, ডায়াবেটিকস, ব্লাডপ্রেসারসহ চোখ ও বুকের সমস্যায় ভুগছিলেন। কারাগার থেকেই শনিবার রামেক পরিচালকের কাছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। সেই অনুযায়ি শনিবার কারাগারে তিনি পিন্টুর চিকিৎসার জন্য যান। কিন্তু সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান তাকে পিন্টুর চিকিৎসা করতে দেননি। তিনি বলেন, রোগীর অবস্থা ভাল ছিল না বলেই পরের দিনই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান জানান, ২৫ এপ্রিল তার ফলোআপ চিকিৎসার ডেট ছিল। ওই দিন তাকে রামেক হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শনিবার চিঠি দেয়ার পরেও কেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে নাছিরউদ্দিন পিন্টুর চিকিৎসা করা হয়নি এ প্রশ্নের জবাবে শফিকুল ইসলাম খান কোন কথা না বলেই রামেক হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
‘হত্যার জন্যই পিন্টুকে রাজশাহী নেয়া হয়েছিলো’
নিহত
বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমদ পিন্টুর স্ত্রী অভিযোগ করেছেন, হত্যার
জন্যই নাসির উদ্দিন পিন্টুকে রাজশাহী নেয়া হয়েছিলো। তিনি সাংবাদিকদের বলেন,
পরিকল্পিত হত্যার জন্যই আদালতের নির্দেশ অমান্য করে তাকে সেখানে নেয়া হয়।
পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আক্তার কল্পনা বলেন, আমার স্বামী মারা যাননি, সরকার পরিকল্পিতভাবে চিকিৎসায় অবহেলা করে তাকে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন,পিন্টুকে মারার জন্য ঢাকা থেকে রাজশাহী নেয়া হয়েছে। তিনি জনপ্রিয় নেতা। তার জনপ্রিয়তা দেখে সরকার সিটি নির্বাচনের আগে রাজশাহী নিয়ে হত্যা করেছে। তিনি মারা যাননি।
রবিবার দুপুরে পিন্টুর লালবাগের বাসায় সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন নাসিমা আক্তার কল্পনা।
পিন্টুর স্ত্রীর দাবি, হাইকোর্টের একটি আদেশ ছিল তাকে (পিন্টু) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেলে রেখে চিকিৎসা করানোর। আমরা আইজি প্রিজনকে এই আদেশ দিলেও তা রাখেননি। অনুরোধ সত্বেও পিন্টুকে ঢাকা থেকে রাজশাহী নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে পিন্টুর স্ত্রী যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মতিউর রহমান মন্টু কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসার অবহেলার অভিযোগ এনে বলেন, শনিবার নাছিরউদ্দিন পিন্টুর সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন। এ সময় পিন্টু তাকে জানান যে, কারা কর্তৃপক্ষ ঠিকমতো তাকে ওষুধ দিচ্ছে না। ওদিকে নাছিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর ছোটভাই রিন্টু সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, অসুস্থ থাকার কারণে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ছিলÑ পিন্টুকে ঢাকার বাইরের কারাগারে স্থানান্তর না করার। তারপরও তাকে কারাকর্তৃপক্ষ তাকে রাজশাহী কারাগারে স্থানান্তর করে। চিকিৎসার অবহেলার জন্যই আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে পিন্টুর মৃত্যুর খবর শুনে তার সহকর্মী, সমর্থকরা পিন্টুর লালবাগের বাসায় ছুটে যান।
দুপুরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা তার লালবাগের বাসায় যান। তারা পিন্টুর স্ত্রী সন্তানদের সমবেদনা জানান।
পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আক্তার কল্পনা বলেন, আমার স্বামী মারা যাননি, সরকার পরিকল্পিতভাবে চিকিৎসায় অবহেলা করে তাকে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন,পিন্টুকে মারার জন্য ঢাকা থেকে রাজশাহী নেয়া হয়েছে। তিনি জনপ্রিয় নেতা। তার জনপ্রিয়তা দেখে সরকার সিটি নির্বাচনের আগে রাজশাহী নিয়ে হত্যা করেছে। তিনি মারা যাননি।
রবিবার দুপুরে পিন্টুর লালবাগের বাসায় সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ করেন নাসিমা আক্তার কল্পনা।
পিন্টুর স্ত্রীর দাবি, হাইকোর্টের একটি আদেশ ছিল তাকে (পিন্টু) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেলে রেখে চিকিৎসা করানোর। আমরা আইজি প্রিজনকে এই আদেশ দিলেও তা রাখেননি। অনুরোধ সত্বেও পিন্টুকে ঢাকা থেকে রাজশাহী নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে পিন্টুর স্ত্রী যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মতিউর রহমান মন্টু কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসার অবহেলার অভিযোগ এনে বলেন, শনিবার নাছিরউদ্দিন পিন্টুর সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন। এ সময় পিন্টু তাকে জানান যে, কারা কর্তৃপক্ষ ঠিকমতো তাকে ওষুধ দিচ্ছে না। ওদিকে নাছিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর ছোটভাই রিন্টু সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, অসুস্থ থাকার কারণে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ছিলÑ পিন্টুকে ঢাকার বাইরের কারাগারে স্থানান্তর না করার। তারপরও তাকে কারাকর্তৃপক্ষ তাকে রাজশাহী কারাগারে স্থানান্তর করে। চিকিৎসার অবহেলার জন্যই আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে পিন্টুর মৃত্যুর খবর শুনে তার সহকর্মী, সমর্থকরা পিন্টুর লালবাগের বাসায় ছুটে যান।
দুপুরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, দলের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা তার লালবাগের বাসায় যান। তারা পিন্টুর স্ত্রী সন্তানদের সমবেদনা জানান।
No comments