আওয়ামী লীগ সমর্থকরা কি ভোট দিয়েছেন? by মাহমুদ মানজুর
ভোটের
ইতিহাস বিশ্লেষণে এটি সাধারণ হিসাব। ধরা হয়, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ভোট
সাধারণভাবে ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ। বাকি ভোট ভাসমান। তারা যে পক্ষে যান সে পক্ষই
নির্বাচনে জয়ী হয়। তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর আচমকাই প্রশ্নটি উঠেছে।
আওয়ামী লীগের সমর্থকরা কি ভোট দিতে কেন্দ্রে গেছেন। তাদের একটি অংশ কি
বিএনপিকে ভোট দিয়েছে? না কি আওয়ামী লীগের ভোট কমে গেছে। না কি ভোটের প্রতিই
আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থকরাও।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম ৩ সিটি করপোরেশনে ভোটার সংখ্যা মোট ৬০ লাখ ২৯ হাজার ২৭৮। এই ভোটের মধ্যে ৪০ শতাংশ ভোট যদি আওয়ামী লীগের হয় তাহলে দলটির ভোট সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪ লাখ ১১ হাজার ৭১২। অথচ তিন সিটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নির্বাচিত তিন মেয়রের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা মাত্র ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৭৭৪টি। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের ৪০ শতাংশ ভোটের হিসেবে এই সিটি নির্বাচনে প্রায় ১০ লাখ ভোটার (৯,৪০, ৯৩৭.২) ভোট দানে বিরত ছিলেন। এদিকে তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হিসাবে প্রায় ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে এবার। নির্বাচন পর্যবেক্ষকসহ পরাজিত মেয়র প্রার্থীরা এতো বেশি ভোট পড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি ভোট বর্জনের পরও বিএনপি-সমর্থিত তিন মেয়র প্রার্থীর বিপুলসংখ্যক ভোট পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের অনেকেই বলছেন, ক্ষমতাসীন দল-সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা কেন্দ্র দখল করে দেদারছে সিল মারার কারণেই ভোটের পরিমাণ এতো বেড়েছে। তাদের ধারণা, প্রকৃতভাবে ১৫ থেকে ২০ শতাংশের বেশি ভোটার কেন্দ্রে আসেননি। অথচ নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ ৪৮.৫৭%, ঢাকা উত্তর ৩৭.২৯% এবং চট্টগ্রাম ৪৭.৮৯% ভোট পড়েছে।
ঢাকা দক্ষিণের মোট ভোটার ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৭৮ জন। আওয়ামী লীগের ৪০ শতাংশ ভোট হিসেবে এই সিটিতে সাঈদ খোকন ভোট পাবার কথা ন্যূনতম ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৩১২ ভোট। অথচ দক্ষিণের মোট ২০ জন মেয়র প্রার্থী মিলে ভোট পেয়েছেন মোট ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৩৫৪টি। এর মধ্যে সাঈদ খোকন পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৬ ভোট। বিএনপি সমর্থিত মির্জা আব্বাস পান ২ লাখ ৯৪ হাজার ২৯১ ভোট। মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস দাবি করেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে প্রায় ৪৯ শতাংশ ভোটগ্রহণ দেখানো হয়েছে। এটা অবিশ্বাস্য। আমি যেসব কেন্দ্রে গিয়েছি, সেখানে ১১টা পর্যন্ত ১৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। আর বিএনপি ভোট বর্জনের পর ভোটাররা কেন্দ্রেই যাননি। তাহলে ৪৯ শতাংশ ভোট কোত্থেকে আসে? আফরোজা আব্বাসের এমন পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে হিসেব কষলে দেখা যাবে আওয়ামী লীগ তার ৪০ শতাংশ ভোটারের মাত্র ৫ শতাংশই ভোট কেন্দ্রে আনতে পেরেছেন।
একই চিত্র ঢাকা উত্তরেও। এই সিটিতে মোট ভোটার ২৩ লাখ ৪৪ হাজার ৯০০ জন। আওয়ামী লীগের ৪০ শতাংশ ভোট হিসেবে এই সিটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর ভোট পাবার কথা নূূ্যূনতম ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৯৬০ ভোট। অথচ এই সিটির মোট ১৬ জন মেয়র প্রার্থী মোট ভোট পেয়েছেন ৮ লাখ ৪১ হাজার। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত বিজয়ী মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক পেয়েছেন মাত্র ৪ লাখ ৬০ হাজার ১১৭ ভোট। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত তাবিথ আউয়াল ৩ লাখ ২৫ হাজার ৮০ ভোট পেয়েছেন। একই চিত্র চট্টগ্রাম সিটিতেও। এই সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ জন। এই ভোটারের ৪০ শতাংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের ভোট ৭ লাখ ২৫ হাজার ৪৪০। অথচ চট্টগ্রামের মোট ১২ জন মেয়র প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৮ লাখ ৬৮ হাজার ৬৬৩টি। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত বিজয়ী মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির পেয়েছেন ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩৬১ ভোট। যা প্রচলিত ৪০ শতাংশ ভোটের হিসেবে প্রায় অর্ধেক। এই সিটিতে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মনজুর আলম পেয়েছেন ৩ লাখ ৪ হাজার ৮৩৭ ভোট।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম ৩ সিটি করপোরেশনে ভোটার সংখ্যা মোট ৬০ লাখ ২৯ হাজার ২৭৮। এই ভোটের মধ্যে ৪০ শতাংশ ভোট যদি আওয়ামী লীগের হয় তাহলে দলটির ভোট সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪ লাখ ১১ হাজার ৭১২। অথচ তিন সিটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নির্বাচিত তিন মেয়রের প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা মাত্র ১৪ লাখ ৭০ হাজার ৭৭৪টি। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের ৪০ শতাংশ ভোটের হিসেবে এই সিটি নির্বাচনে প্রায় ১০ লাখ ভোটার (৯,৪০, ৯৩৭.২) ভোট দানে বিরত ছিলেন। এদিকে তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হিসাবে প্রায় ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে এবার। নির্বাচন পর্যবেক্ষকসহ পরাজিত মেয়র প্রার্থীরা এতো বেশি ভোট পড়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি ভোট বর্জনের পরও বিএনপি-সমর্থিত তিন মেয়র প্রার্থীর বিপুলসংখ্যক ভোট পাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের অনেকেই বলছেন, ক্ষমতাসীন দল-সমর্থিত মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা কেন্দ্র দখল করে দেদারছে সিল মারার কারণেই ভোটের পরিমাণ এতো বেড়েছে। তাদের ধারণা, প্রকৃতভাবে ১৫ থেকে ২০ শতাংশের বেশি ভোটার কেন্দ্রে আসেননি। অথচ নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ ৪৮.৫৭%, ঢাকা উত্তর ৩৭.২৯% এবং চট্টগ্রাম ৪৭.৮৯% ভোট পড়েছে।
ঢাকা দক্ষিণের মোট ভোটার ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৭৮ জন। আওয়ামী লীগের ৪০ শতাংশ ভোট হিসেবে এই সিটিতে সাঈদ খোকন ভোট পাবার কথা ন্যূনতম ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৩১২ ভোট। অথচ দক্ষিণের মোট ২০ জন মেয়র প্রার্থী মিলে ভোট পেয়েছেন মোট ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৩৫৪টি। এর মধ্যে সাঈদ খোকন পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৬ ভোট। বিএনপি সমর্থিত মির্জা আব্বাস পান ২ লাখ ৯৪ হাজার ২৯১ ভোট। মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস দাবি করেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে প্রায় ৪৯ শতাংশ ভোটগ্রহণ দেখানো হয়েছে। এটা অবিশ্বাস্য। আমি যেসব কেন্দ্রে গিয়েছি, সেখানে ১১টা পর্যন্ত ১৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। আর বিএনপি ভোট বর্জনের পর ভোটাররা কেন্দ্রেই যাননি। তাহলে ৪৯ শতাংশ ভোট কোত্থেকে আসে? আফরোজা আব্বাসের এমন পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে হিসেব কষলে দেখা যাবে আওয়ামী লীগ তার ৪০ শতাংশ ভোটারের মাত্র ৫ শতাংশই ভোট কেন্দ্রে আনতে পেরেছেন।
একই চিত্র ঢাকা উত্তরেও। এই সিটিতে মোট ভোটার ২৩ লাখ ৪৪ হাজার ৯০০ জন। আওয়ামী লীগের ৪০ শতাংশ ভোট হিসেবে এই সিটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর ভোট পাবার কথা নূূ্যূনতম ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৯৬০ ভোট। অথচ এই সিটির মোট ১৬ জন মেয়র প্রার্থী মোট ভোট পেয়েছেন ৮ লাখ ৪১ হাজার। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত বিজয়ী মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক পেয়েছেন মাত্র ৪ লাখ ৬০ হাজার ১১৭ ভোট। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থিত তাবিথ আউয়াল ৩ লাখ ২৫ হাজার ৮০ ভোট পেয়েছেন। একই চিত্র চট্টগ্রাম সিটিতেও। এই সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৬০০ জন। এই ভোটারের ৪০ শতাংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের ভোট ৭ লাখ ২৫ হাজার ৪৪০। অথচ চট্টগ্রামের মোট ১২ জন মেয়র প্রার্থী ভোট পেয়েছেন ৮ লাখ ৬৮ হাজার ৬৬৩টি। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত বিজয়ী মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির পেয়েছেন ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩৬১ ভোট। যা প্রচলিত ৪০ শতাংশ ভোটের হিসেবে প্রায় অর্ধেক। এই সিটিতে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মনজুর আলম পেয়েছেন ৩ লাখ ৪ হাজার ৮৩৭ ভোট।
No comments