ব্যাংক ডাকাতেরা আনসারুল্লাহর সদস্য
আশুলিয়ায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সবাই জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য বলে দাবি করছে পুলিশ।
রিমান্ডে চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপক চন্দ্র সাহা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কারাবন্দী নেতাদের জামিনে মুক্ত করতেই অর্থ সংগ্রহের জন্য সংগঠনের সদস্যরা ব্যাংক ডাকাতির পরিকল্পনা করেন। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের কাঠগড়া শাখায় তাঁরা ডাকাতি করতে যান।
গত ২১ এপ্রিল রাজধানীর অদূরে আশুলিয়ার কাঠগড়া বাজারে বাংলাদেশ কর্মাস ব্যাংকে ডাকাতি হয়। ব্যাংকের ব্যবস্থাপক, নিরাপত্তা কর্মী ও এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করে টাকা নিয়ে পালানোর সময় ডাকাতেরা জনতার বাধার মুখে পড়েন। এ সময় তাঁরা গুলি করে ও বোমা ছুড়ে পালাতে থাকে। এতে মারা যান আরও পাঁচ জন। জনতা ধাওয়া করে তিন ডাকাতকে ধরে গণপিটুনি দিলে তাঁদের একজন মারা যান। বাকি দুজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে জনতা। এঁরা হলেন আল-আমিন ও বোরহান উদ্দিন। তাঁরা এখন পুলিশের হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
পুলিশ জানায়, এই দুজনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পরে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন মিন্টু প্রধান, বাবুল সরদার, হারুন-আর-রশীদ ও সোহেল রানা। এঁদের মধ্যে সোহেল রানা ওই ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মী। এঁদের মধ্যে প্রথম দুজনের সাত দিনের রিমান্ড গতকাল শেষ হয়েছে। তাঁদের আজ রোববার আদালতে হাজির করা হবে। বাকি দুজন হারুন ও সোহেলের প্রথম দফায় তিন দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। গতকাল ঢাকা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত তাঁদের আরও দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল প্রথম আলোকে বলেন, আসামিরা সবাই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। তাঁরা অনেক দিন ধরেই সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় বড় ধরনের কিছু ঘটানোর জন্য পরিকল্পনা আঁটছিলেন। এই দলে আরও কিছু সদস্য রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, জঙ্গিদের এ দলটি কমার্স ব্যাংকের কাঠগড়া শাখায় ডাকাতির পরিকল্পনা করে কয়েক মাস আগে। এ জন্য দলটির সদস্যরা প্রথমে ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মী সোহেলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং তাঁর কাছ থেকেই তথ্য সংগ্রহ করতে থাকেন। ঘটনার দিন তাঁদের একটি দল ছদ্মবেশে ব্যাংকের আশপাশে অবস্থান নিয়ে জনসাধারণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গতিবিধির ওপর নজর রাখেন। আরেকটি দল মোটরসাইকেল ও একটি গাড়ি নিয়ে কাঠগড়া বাজারসংলগ্ন বিশমাইল-জিরাবর সড়কে অবস্থান নেয়। যাতে তাঁরা ঘটনার পর দ্রুত পালাতে পারেন। ছয়জনের একটি দল ব্যাংকে ঢুকে ডাকাতি ও হত্যায় অংশ নেন।
ছয় আসামির পরিচয়:
গ্রেপ্তার থাকা আসামিরা শুরুতে নিজের ভুল ঠিকানা দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করা চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ তাঁদের প্রকৃত ঠিকানা বের করে ফেলে।
পুলিশ জানায়, এর মধ্যে আল-আমিন ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের ধুকুরিয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে। তিনি একসময় তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। বছর দেড়েক আগে চাকরি ছেড়ে যোগ দেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে যোগ দেন। ব্যাংক ডাকাতির আগে তিনি রিকশাচালকের ছদ্মবেশে তথ্য সংগ্রহ ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
মজনু প্রধান মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ব্রাহ্মণকুল গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনিও রিকশা চালানোর পাশাপাশি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের হয়ে কাজ করতেন।
বাবুল সরদার মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দাসকান্দি গ্রামের ইসকান্দার সরদারের ছেলে। তিনি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
বোরহান উদ্দিন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। আশুলিয়ায় তাঁর পরিবহনের ব্যবসা ছিল।
ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মী সোহেল রানা নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ফোকন্দা গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে।
আরেক আসামি হারুন-অর-রশীদ জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার পাচুইল গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে। রাজধানীতে তাঁর একটি কম্পিউটারের দোকান ছিল। পুলিশের দাবি তিনি তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।
রিমান্ডে চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপক চন্দ্র সাহা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কারাবন্দী নেতাদের জামিনে মুক্ত করতেই অর্থ সংগ্রহের জন্য সংগঠনের সদস্যরা ব্যাংক ডাকাতির পরিকল্পনা করেন। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের কাঠগড়া শাখায় তাঁরা ডাকাতি করতে যান।
গত ২১ এপ্রিল রাজধানীর অদূরে আশুলিয়ার কাঠগড়া বাজারে বাংলাদেশ কর্মাস ব্যাংকে ডাকাতি হয়। ব্যাংকের ব্যবস্থাপক, নিরাপত্তা কর্মী ও এক ব্যবসায়ীকে হত্যা করে টাকা নিয়ে পালানোর সময় ডাকাতেরা জনতার বাধার মুখে পড়েন। এ সময় তাঁরা গুলি করে ও বোমা ছুড়ে পালাতে থাকে। এতে মারা যান আরও পাঁচ জন। জনতা ধাওয়া করে তিন ডাকাতকে ধরে গণপিটুনি দিলে তাঁদের একজন মারা যান। বাকি দুজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে জনতা। এঁরা হলেন আল-আমিন ও বোরহান উদ্দিন। তাঁরা এখন পুলিশের হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
পুলিশ জানায়, এই দুজনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পরে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁরা হলেন মিন্টু প্রধান, বাবুল সরদার, হারুন-আর-রশীদ ও সোহেল রানা। এঁদের মধ্যে সোহেল রানা ওই ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মী। এঁদের মধ্যে প্রথম দুজনের সাত দিনের রিমান্ড গতকাল শেষ হয়েছে। তাঁদের আজ রোববার আদালতে হাজির করা হবে। বাকি দুজন হারুন ও সোহেলের প্রথম দফায় তিন দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। গতকাল ঢাকা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত তাঁদের আরও দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল প্রথম আলোকে বলেন, আসামিরা সবাই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য। তাঁরা অনেক দিন ধরেই সাভার ও আশুলিয়া এলাকায় বড় ধরনের কিছু ঘটানোর জন্য পরিকল্পনা আঁটছিলেন। এই দলে আরও কিছু সদস্য রয়েছেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, জঙ্গিদের এ দলটি কমার্স ব্যাংকের কাঠগড়া শাখায় ডাকাতির পরিকল্পনা করে কয়েক মাস আগে। এ জন্য দলটির সদস্যরা প্রথমে ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মী সোহেলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং তাঁর কাছ থেকেই তথ্য সংগ্রহ করতে থাকেন। ঘটনার দিন তাঁদের একটি দল ছদ্মবেশে ব্যাংকের আশপাশে অবস্থান নিয়ে জনসাধারণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গতিবিধির ওপর নজর রাখেন। আরেকটি দল মোটরসাইকেল ও একটি গাড়ি নিয়ে কাঠগড়া বাজারসংলগ্ন বিশমাইল-জিরাবর সড়কে অবস্থান নেয়। যাতে তাঁরা ঘটনার পর দ্রুত পালাতে পারেন। ছয়জনের একটি দল ব্যাংকে ঢুকে ডাকাতি ও হত্যায় অংশ নেন।
ছয় আসামির পরিচয়:
গ্রেপ্তার থাকা আসামিরা শুরুতে নিজের ভুল ঠিকানা দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করা চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ তাঁদের প্রকৃত ঠিকানা বের করে ফেলে।
পুলিশ জানায়, এর মধ্যে আল-আমিন ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের ধুকুরিয়া গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে। তিনি একসময় তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। বছর দেড়েক আগে চাকরি ছেড়ে যোগ দেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে যোগ দেন। ব্যাংক ডাকাতির আগে তিনি রিকশাচালকের ছদ্মবেশে তথ্য সংগ্রহ ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
মজনু প্রধান মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ব্রাহ্মণকুল গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে। তিনিও রিকশা চালানোর পাশাপাশি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের হয়ে কাজ করতেন।
বাবুল সরদার মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দাসকান্দি গ্রামের ইসকান্দার সরদারের ছেলে। তিনি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
বোরহান উদ্দিন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। আশুলিয়ায় তাঁর পরিবহনের ব্যবসা ছিল।
ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মী সোহেল রানা নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার ফোকন্দা গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে।
আরেক আসামি হারুন-অর-রশীদ জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার পাচুইল গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে। রাজধানীতে তাঁর একটি কম্পিউটারের দোকান ছিল। পুলিশের দাবি তিনি তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।
No comments