অজ্ঞতা ও কারচুপিতেই রেকর্ড ভোট বাতিল
ভোট বাতিলের ‘রেকর্ড’ গড়েছে তিন সিটি নির্বাচন। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো শহুরে এ এলাকায় ১ লাখ ২১ হাজার ৩টি ভোট বাতিল ঘোষণা করেছেন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা। এটি প্রদত্ত ভোটের শতকরা ৪ দশমিক ৫৬ ভাগ। অতীতে ভোট বাতিলের হার ছিল ১ থেকে ২ শতাংশ। নবম জাতীয় সংসদের মতো বড় নির্বাচনেও বাতিল ভোটের হার ছিল এক শতাংশেরও কম।
ভোট বাতিলে এই রেকর্ড কেন? নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, ভোটারদের ‘সঠিক জ্ঞানের’ অভাব বা ‘অজ্ঞতা’ই এর কারণ। তবে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা এর সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন। তাদের মতে, অজ্ঞতা একটি কারণ বটে, তবে প্রধান কারণ কারচুপির প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা জাল ভোট দিয়েছেন তাদের বড় অংশই সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেননি। এছাড়া তড়িঘড়ি করে ভোট দেয়ার প্রবণতাও অন্যতম দায়ী বলে মনে করেন কেউ কেউ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, অনেক কারণে ভোট বাতিল হতে পারে। আমার ধারণা, এ সিটি নির্বাচনে ব্যালট পেপারের আকৃতি বড় ছিল। ওই পেপার সঠিকভাবে ভাঁজ করতে না পারায় ব্যালট নষ্ট হয়েছে। এছাড়া দুই প্রতীকের মাঝখানে সিল পড়ায় ব্যালট বাতিল হয়েছে।
ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৮ এপ্রিল ভোট গ্রহণ করা হয়। ফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তিন সিটিতে প্রদত্ত ভোটের হার মোট ভোটারের অর্ধেকের কম। সব মিলিয়ে এ নির্বাচনে ২৬ লাখ ৪৮ হাজার ৭২৮টি ভোট পড়েছে, যা মোট ভোটের ৪৪ ভাগ। এর মধ্যে বাতিল ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ২১ হাজার ৩টি। ঢাকা উত্তরে ৩৩ হাজার ৫৮১, দক্ষিণে ৪০ হাজার ১৩০ ও চট্টগ্রামে ৪৭ হাজার ২৯২টি ভোট বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ইসির কর্মকর্তারা জানান, অতীতের কোনো নির্বাচনে এত বেশি সংখ্যক হারে ভোট বাতিল হয়নি। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট বাতিলের হার ছিল দশমিক ৯০। ওই নির্বাচনে ৭ কোটি ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৪৮৫টি ভোট পড়ে, যার মধ্যে ৬ লাখ ৩৬ হাজার ২৯৪টি ভোট বাতিল হয়।
ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা একাধিক সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মূলত পাঁচ কারণে ব্যালট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- ব্যালটে কোনো অফিসিয়াল সিল বা চিহ্ন না থাকলে, অফিসিয়াল চিহ্ন বা সরবরাহকৃত সিলের নির্ধারিত চিহ্ন ছাড়া অন্য কোনো লেখা বা চিহ্ন পাওয়া গেলে, ভোটার যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন তা নির্দেশ করে নির্ধারিত চিহ্ন না থাকলে, কোন প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন তা সুস্পষ্টরূপে বোঝা না গেলে এবং একটি ব্যালটে একের অধিক সিল মারা হলে।
নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দেয়া হয়েছে এমন দুটি কেন্দ্রের একাধিক সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যেসব ভোট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলোর অনেকটিতে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার গোলাকৃতির সিল ও স্বাক্ষর ছিল না। আবার কোনো কোনো ব্যালট পেপারে প্রতীকের ওপরে ভোট প্রদানের জন্য নির্ধারিত চারকোনা আকৃতির সিলের পরিবর্তে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার ব্যবহৃত গোল সিলের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মূলত কেন্দ্র দখলকারীরা তড়িঘড়ি করে সিল মারতে গিয়েই এ ভুল করেছে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিপপ’র চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, ভোটারদের সঠিক শিক্ষার অভাবে ভোট বাতিলের সংখ্যা বেড়েছে। তিনি বলেন, ধরে নিলাম তড়িঘড়ি করে জাল ভোট দেয়ার কারণে ব্যালট নষ্টের হার বেড়েছে, সেক্ষেত্রে যারা ভোট দিয়েছেন তাদের সঠিক শিক্ষা ছিল না। এ কারণেই তারা জাল ভোট দিতে গিয়েও ভুল করেছেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সঠিকভাবে হচ্ছে কি না- তা পাহারা দেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টরা। কিন্তু দেখা গেছে, ভোট গ্রহণের দিন দুপুরের পর কেন্দ্রগুলোতে কোনো প্রার্থীর এজেন্ট ছিল না।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে বেশির ভাগ কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্ট ছিল না। এর কারণ হল এ দলটি অর্ধেকের মতো এজেন্ট ভাড়ায় এনেছে, যাদের দলের প্রতি কমিটমেন্ট ছিল না। ওই সব এজেন্ট কেন্দ্রে যায়নি। আবার যেসব কেন্দ্রে এজেন্ট গেছে, তাদের অনেককে দুপুরের পর বের করে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু প্রতিপক্ষের এজেন্ট ছিল না, তাই সরকার দলীয় প্রার্থীর এজেন্টরাও কেন্দ্র পাহারা দেয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। তারাও বেরিয়ে চলে যান।
ইসিতে পাঠানো রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ফল শিটে দেখা গেছে, তিন সিটির মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৪৭ হাজার ২৯২টি ভোট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ সিটিতে ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ৮ লাখ ৬৮ হাজার ৬৬৩টি। বৈধ ভোটের সংখ্যা ৮ লাখ ২১ হাজার ৩৭১। এ সিটিতে সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ৭৬টি ভোট বাতিল হয়েছে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ওয়ার্ডে ৫৯ হাজার ৮১৮ ভোটারের মধ্যে ৩৪ হাজার ২৯৫টি ভোট পড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ হাজার ৫৪৮টি ভোট বাতিল হয়েছে। এ ওয়ার্ডে ৫৭ হাজার ৩৬টি ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৩১ হাজার ৪৬৫টি। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ৮ নম্বর ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে বাতিল ভোটের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৮৮টি। ৮০ হাজার ৮১৭ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ৩৩ হাজার ৭৭৩টি।
ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৩ লাখ ৪৪ হাজার ৯০০ ভোটারের মধ্যে নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫৮১টি। যা মোট ভোটের শতকরা ৩৭ দশমিক ২৯ ভাগ। এ সিটিতে ভোট বাতিল হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৮১টি। ইসির ফল শিটে দেখা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৭৩ হাজার ৪৩টি ভোটের মধ্যে ২৯ হাজার ১৬৪টি ভোট পড়েছে। এ ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৬৩ ভোট বাতিল হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটির ২ নম্বর ওয়ার্ডে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮৬১টি ভোট বাতিল হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৭৮ ভোটারের মধ্যে এ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৯ লাখ ৫ হাজার ৪৮৪টি। যার মধ্যে ৪০ হাজার ১৩০টি ভোট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ সিটির ২২ নম্বর ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৬৭টি ভোট বাতিলের ঘটনা ঘটেছে। এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৪ হাজার ৮২৯টি। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ২৭ হাজার ৫৯টি। ভোট বাতিলের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে প্রদত্ত ১৬ হাজার ৩৫৭ ভোটের মধ্যে বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৯০৬টি। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৮৭৪টি।
ভোট বাতিলে এই রেকর্ড কেন? নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, ভোটারদের ‘সঠিক জ্ঞানের’ অভাব বা ‘অজ্ঞতা’ই এর কারণ। তবে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা এর সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন। তাদের মতে, অজ্ঞতা একটি কারণ বটে, তবে প্রধান কারণ কারচুপির প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা জাল ভোট দিয়েছেন তাদের বড় অংশই সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেননি। এছাড়া তড়িঘড়ি করে ভোট দেয়ার প্রবণতাও অন্যতম দায়ী বলে মনে করেন কেউ কেউ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, অনেক কারণে ভোট বাতিল হতে পারে। আমার ধারণা, এ সিটি নির্বাচনে ব্যালট পেপারের আকৃতি বড় ছিল। ওই পেপার সঠিকভাবে ভাঁজ করতে না পারায় ব্যালট নষ্ট হয়েছে। এছাড়া দুই প্রতীকের মাঝখানে সিল পড়ায় ব্যালট বাতিল হয়েছে।
ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৮ এপ্রিল ভোট গ্রহণ করা হয়। ফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তিন সিটিতে প্রদত্ত ভোটের হার মোট ভোটারের অর্ধেকের কম। সব মিলিয়ে এ নির্বাচনে ২৬ লাখ ৪৮ হাজার ৭২৮টি ভোট পড়েছে, যা মোট ভোটের ৪৪ ভাগ। এর মধ্যে বাতিল ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ২১ হাজার ৩টি। ঢাকা উত্তরে ৩৩ হাজার ৫৮১, দক্ষিণে ৪০ হাজার ১৩০ ও চট্টগ্রামে ৪৭ হাজার ২৯২টি ভোট বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। ইসির কর্মকর্তারা জানান, অতীতের কোনো নির্বাচনে এত বেশি সংখ্যক হারে ভোট বাতিল হয়নি। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট বাতিলের হার ছিল দশমিক ৯০। ওই নির্বাচনে ৭ কোটি ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৪৮৫টি ভোট পড়ে, যার মধ্যে ৬ লাখ ৩৬ হাজার ২৯৪টি ভোট বাতিল হয়।
ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা একাধিক সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মূলত পাঁচ কারণে ব্যালট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- ব্যালটে কোনো অফিসিয়াল সিল বা চিহ্ন না থাকলে, অফিসিয়াল চিহ্ন বা সরবরাহকৃত সিলের নির্ধারিত চিহ্ন ছাড়া অন্য কোনো লেখা বা চিহ্ন পাওয়া গেলে, ভোটার যে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন তা নির্দেশ করে নির্ধারিত চিহ্ন না থাকলে, কোন প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন তা সুস্পষ্টরূপে বোঝা না গেলে এবং একটি ব্যালটে একের অধিক সিল মারা হলে।
নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দেয়া হয়েছে এমন দুটি কেন্দ্রের একাধিক সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যেসব ভোট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলোর অনেকটিতে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার গোলাকৃতির সিল ও স্বাক্ষর ছিল না। আবার কোনো কোনো ব্যালট পেপারে প্রতীকের ওপরে ভোট প্রদানের জন্য নির্ধারিত চারকোনা আকৃতির সিলের পরিবর্তে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার ব্যবহৃত গোল সিলের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মূলত কেন্দ্র দখলকারীরা তড়িঘড়ি করে সিল মারতে গিয়েই এ ভুল করেছে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিপপ’র চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, ভোটারদের সঠিক শিক্ষার অভাবে ভোট বাতিলের সংখ্যা বেড়েছে। তিনি বলেন, ধরে নিলাম তড়িঘড়ি করে জাল ভোট দেয়ার কারণে ব্যালট নষ্টের হার বেড়েছে, সেক্ষেত্রে যারা ভোট দিয়েছেন তাদের সঠিক শিক্ষা ছিল না। এ কারণেই তারা জাল ভোট দিতে গিয়েও ভুল করেছেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সঠিকভাবে হচ্ছে কি না- তা পাহারা দেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্টরা। কিন্তু দেখা গেছে, ভোট গ্রহণের দিন দুপুরের পর কেন্দ্রগুলোতে কোনো প্রার্থীর এজেন্ট ছিল না।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে বেশির ভাগ কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্ট ছিল না। এর কারণ হল এ দলটি অর্ধেকের মতো এজেন্ট ভাড়ায় এনেছে, যাদের দলের প্রতি কমিটমেন্ট ছিল না। ওই সব এজেন্ট কেন্দ্রে যায়নি। আবার যেসব কেন্দ্রে এজেন্ট গেছে, তাদের অনেককে দুপুরের পর বের করে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু প্রতিপক্ষের এজেন্ট ছিল না, তাই সরকার দলীয় প্রার্থীর এজেন্টরাও কেন্দ্র পাহারা দেয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। তারাও বেরিয়ে চলে যান।
ইসিতে পাঠানো রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ফল শিটে দেখা গেছে, তিন সিটির মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ৪৭ হাজার ২৯২টি ভোট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ সিটিতে ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ৮ লাখ ৬৮ হাজার ৬৬৩টি। বৈধ ভোটের সংখ্যা ৮ লাখ ২১ হাজার ৩৭১। এ সিটিতে সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ৭৬টি ভোট বাতিল হয়েছে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ওয়ার্ডে ৫৯ হাজার ৮১৮ ভোটারের মধ্যে ৩৪ হাজার ২৯৫টি ভোট পড়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ হাজার ৫৪৮টি ভোট বাতিল হয়েছে। এ ওয়ার্ডে ৫৭ হাজার ৩৬টি ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ৩১ হাজার ৪৬৫টি। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ৮ নম্বর ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে বাতিল ভোটের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৮৮টি। ৮০ হাজার ৮১৭ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ৩৩ হাজার ৭৭৩টি।
ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৩ লাখ ৪৪ হাজার ৯০০ ভোটারের মধ্যে নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৮ লাখ ৭৪ হাজার ৫৮১টি। যা মোট ভোটের শতকরা ৩৭ দশমিক ২৯ ভাগ। এ সিটিতে ভোট বাতিল হয়েছে ৩৩ হাজার ৫৮১টি। ইসির ফল শিটে দেখা গেছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৭৩ হাজার ৪৩টি ভোটের মধ্যে ২৯ হাজার ১৬৪টি ভোট পড়েছে। এ ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৬৩ ভোট বাতিল হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটির ২ নম্বর ওয়ার্ডে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮৬১টি ভোট বাতিল হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৭৮ ভোটারের মধ্যে এ নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৯ লাখ ৫ হাজার ৪৮৪টি। যার মধ্যে ৪০ হাজার ১৩০টি ভোট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ সিটির ২২ নম্বর ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৬৭টি ভোট বাতিলের ঘটনা ঘটেছে। এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৪ হাজার ৮২৯টি। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ২৭ হাজার ৫৯টি। ভোট বাতিলের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড। এ ওয়ার্ডে প্রদত্ত ১৬ হাজার ৩৫৭ ভোটের মধ্যে বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৯০৬টি। আর তৃতীয় অবস্থানে থাকা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট বাতিল হয়েছে ১ হাজার ৮৭৪টি।
No comments