নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলার অধিকার নেই
তিন
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে আন্তর্জাতিক দুনিয়ার
দাবিকে ভালভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশ সরকার। এ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ
তদন্তের জন্য জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ
বিভিন্ন দেশ এবং সংস্থার পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব
বান কি মুনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন। ঢাকা
সফরের সময় এ নিয়ে কথা বলেছেন, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার
সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারম্যান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ অবস্থানের কড়া
সমালোচনা করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি মনে করি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি এটি বলার তাদের কোন অধিকার নেই। ১৯৮৩টি পোলিং সেন্টার। সেই পোলিং সেন্টারগুলোর মধ্যে মাত্র ৩টিতে গোলযোগ হয়েছে। সেই কারণে সেই জায়গায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ কি রকম দাঙ্গা হচ্ছে, সেগুলো কেন হচ্ছে? অত্যাচার কি জন্য? শুনেছি অন্যান্য জায়গাতেও ছড়িয়ে পড়ছে। এগুলো বলার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখা উচিত। মার্কিন রাষ্ট্রদূত যেখানে গেছেন (ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন), তার সঙ্গে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া-প্রিন্ট মিডিয়াসহ একশ’র মতো লোক ঢুকে পড়ে। তখন তাদের একবার চিন্তা করা উচিত ছিল না? ওই কেন্দ্রে তারা যে ঢুকেছে বা একঘণ্টা থেকেছে ওই সময়গুলোতে ভোটাররা ভোট দিতে পেরেছেন? তারাইতো ভোটাধিকার বঞ্চিত করেছেন। বিঘ্ন সৃষ্টি করেছেন। দূতাবাসে পলিটিক্যাল অফিসার যারা-তাদের নাম জানি আমরা, তাদের পরিচয় জানি আমরা, তারা কি ধরনের কথা বলেন, কি ধরনের পরামর্শ দেন তা আমরা জানি। কাজেই জামায়াত আর শিবিরের এই ধরনের লোকদের পরামর্শ মতো তাদের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের যদি রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে হয়, সেটা বড় দুঃখজনক। ভবিষ্যতে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে কূটনীতিকদের সতর্ক থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন এইচ টি ইমাম।
এদিকে সিটি নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপিতে নির্বাচনে বিদেশীদের উদ্বেগ প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, ‘এই নির্বাচন আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ। এখানে বিদেশীরা কি বলেছে না বলেছে সেটা নয়। দেশের লোকেরা সন্তুষ্ট হয়েছে, তাই নির্বাচন ঠিক হয়েছে।’ শুক্রবার দুপুরে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চণ্ডিপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানে নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন উপদেষ্টা। নির্বাচনে সরকারের দায়-দায়িত্ব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ওই উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের দায়িত্ব ইলেকশন কমিশনের। এটা সরকারের নয়। যদি কোন ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশনের নিশ্চয়ই তা তদন্ত করা উচিত এবং তারা তা করবে। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তাকে শাস্তি দেবে। এটা আমাদের দাবি, সবারই দাবি। কিন্তু এখানে সরকারকে দায়ী করা ঠিক না, সরকার এই ইলেকশন করে না। ২৮শে এপ্রিলের সিটি নির্বাচন নিয়ে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ, ইইউসহ আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় থেকে অব্যাহতভাবে হতাশা ব্যক্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ওই ভোটকে ঘিরে সংঘটিত যাবতীয় অনিয়মের স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তে সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি মনে করি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি এটি বলার তাদের কোন অধিকার নেই। ১৯৮৩টি পোলিং সেন্টার। সেই পোলিং সেন্টারগুলোর মধ্যে মাত্র ৩টিতে গোলযোগ হয়েছে। সেই কারণে সেই জায়গায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ কি রকম দাঙ্গা হচ্ছে, সেগুলো কেন হচ্ছে? অত্যাচার কি জন্য? শুনেছি অন্যান্য জায়গাতেও ছড়িয়ে পড়ছে। এগুলো বলার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখা উচিত। মার্কিন রাষ্ট্রদূত যেখানে গেছেন (ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন), তার সঙ্গে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া-প্রিন্ট মিডিয়াসহ একশ’র মতো লোক ঢুকে পড়ে। তখন তাদের একবার চিন্তা করা উচিত ছিল না? ওই কেন্দ্রে তারা যে ঢুকেছে বা একঘণ্টা থেকেছে ওই সময়গুলোতে ভোটাররা ভোট দিতে পেরেছেন? তারাইতো ভোটাধিকার বঞ্চিত করেছেন। বিঘ্ন সৃষ্টি করেছেন। দূতাবাসে পলিটিক্যাল অফিসার যারা-তাদের নাম জানি আমরা, তাদের পরিচয় জানি আমরা, তারা কি ধরনের কথা বলেন, কি ধরনের পরামর্শ দেন তা আমরা জানি। কাজেই জামায়াত আর শিবিরের এই ধরনের লোকদের পরামর্শ মতো তাদের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের যদি রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে হয়, সেটা বড় দুঃখজনক। ভবিষ্যতে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে কূটনীতিকদের সতর্ক থাকারও আহ্বান জানিয়েছেন এইচ টি ইমাম।
এদিকে সিটি নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপিতে নির্বাচনে বিদেশীদের উদ্বেগ প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, ‘এই নির্বাচন আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ। এখানে বিদেশীরা কি বলেছে না বলেছে সেটা নয়। দেশের লোকেরা সন্তুষ্ট হয়েছে, তাই নির্বাচন ঠিক হয়েছে।’ শুক্রবার দুপুরে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চণ্ডিপাশা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানে নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন উপদেষ্টা। নির্বাচনে সরকারের দায়-দায়িত্ব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ওই উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের দায়িত্ব ইলেকশন কমিশনের। এটা সরকারের নয়। যদি কোন ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশনের নিশ্চয়ই তা তদন্ত করা উচিত এবং তারা তা করবে। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে তাকে শাস্তি দেবে। এটা আমাদের দাবি, সবারই দাবি। কিন্তু এখানে সরকারকে দায়ী করা ঠিক না, সরকার এই ইলেকশন করে না। ২৮শে এপ্রিলের সিটি নির্বাচন নিয়ে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাতিসংঘ, ইইউসহ আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় থেকে অব্যাহতভাবে হতাশা ব্যক্ত করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ওই ভোটকে ঘিরে সংঘটিত যাবতীয় অনিয়মের স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তে সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে।
No comments