মুঠোফোনে পরিচয় প্রেম ও বিয়ে অতঃপর দগ্ধ অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ
মুঠোফোনে পরিচয় ও প্রেম। অতঃপর বিয়ে। কিন্তু বিয়ের এক বছর যেতে না যেতেই শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবরের দেয়া আগুনে দগ্ধ হতে হলো ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ পাপিয়া আক্তারকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আগুনে গৃহবধূ পাপিয়া আক্তার (২৮)-এর শরীরের ৮০ ভাগেরও বেশি অংশ পুড়ে গেছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দেবর মাশিকুল হক (২২) কে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এছাড়া ঘটনার পর থেকে স্বামী আশিকুল হক, শ্বশুর আনোয়ারুল হক খোকন ও শাশুড়ি পারুল আক্তার পলাতক রয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়নের উলুখলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের কৃষক নজির মিয়ার কন্যা পাপিয়া আক্তারের সঙ্গে করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়নের উলুখলা গ্রামের আনোয়ারুল হক খোকনের পুত্র আশিকুল হকের বিয়ে হয়। এর আগে মুঠোফোনে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের বিয়ে হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন পাপিয়াকে সহ্য করতে পারতো না। তাদের এ দাম্পত্য কলহের বিষয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ-বৈঠকও হয়েছে। গতকালও এসব বিষয় নিয়ে এলাকায় সালিশ হওয়ার কথা ছিল।
উলুখলা গ্রামের এরশাদুল হক বলেন, গতকাল সকালে উলুখলা গ্রামে পাপিয়া ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ঝামেলা নিয়ে সালিশের আয়োজন করা হয়েছিল। এজন্য পাপিয়ার পিতা নজির মিয়া ও অন্য আরও বৈঠকের কয়েকজন আত্মীয়ও উলুখলা গ্রামে তখন অবস্থান করছিলেন। সালিশ শুরু হওয়ার আগে পাপিয়াকে কেরোসিনের আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ অবস্থায় সালিশ আর হয়নি। অগ্নিদগ্ধ পাপিয়া আক্তার কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানান, দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়ে বিয়ে হওয়ায় স্বামীর বাড়ির লোকজন এ বিয়ে সহজভাবে মেনে নেয়নি। এক পর্যায়ে স্বামীও তাদের পক্ষ নিয়ে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘরের দরজা লাগিয়ে দেবর মাশিকুল হক কাপড় দিয়ে পাপিয়ার মুখ ও হাত বেঁধে ফেলে। শ্বশুর আনোয়ারুল হক খোকনকে সঙ্গে নিয়ে শাশুড়ি পারুল আক্তার তখন তার (পাপিয়ার) শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পাপিয়ার খালাতো ভাই শহীদুল ইসলাম বলেন, সালিশ বৈঠকের আয়োজন করায় ক্ষুব্ধ হয় পাপিয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তবে পাপিয়ার স্বামী আশিকুল ওইসময় উপস্থিত না থাকলেও এ ঘটনায় তার ইন্ধন রয়েছে। ঘটনায় হতবিহ্বল পিতা নজির মিয়া এলাকাবাসীর সহযোগিতায় দগ্ধ কন্যাকে প্রথমে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সেখান থেকে কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যান। পাপিয়া চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলে জানা গেছে। কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. পারভেজ আহমেদ বলেন, ওই নারীর মুখের কিছু অংশ, বুক, পিঠ, কোমর ও দুই পা-সহ শরীরের ৮০ ভাগেরও বেশি অংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করা হয়েছে। করিমগঞ্জ থানার ওসি মো. বজলুর রহমান বলেন, ঘটনার পর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি পালিয়ে গেছে। দেবর মাশিকুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ওসি জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনায় স্বামী আশিকের ইন্ধনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন স্থান অভিযান চালাচ্ছে।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ১৯শে ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের কৃষক নজির মিয়ার কন্যা পাপিয়া আক্তারের সঙ্গে করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়নের উলুখলা গ্রামের আনোয়ারুল হক খোকনের পুত্র আশিকুল হকের বিয়ে হয়। এর আগে মুঠোফোনে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের বিয়ে হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন পাপিয়াকে সহ্য করতে পারতো না। তাদের এ দাম্পত্য কলহের বিষয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ-বৈঠকও হয়েছে। গতকালও এসব বিষয় নিয়ে এলাকায় সালিশ হওয়ার কথা ছিল।
উলুখলা গ্রামের এরশাদুল হক বলেন, গতকাল সকালে উলুখলা গ্রামে পাপিয়া ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ঝামেলা নিয়ে সালিশের আয়োজন করা হয়েছিল। এজন্য পাপিয়ার পিতা নজির মিয়া ও অন্য আরও বৈঠকের কয়েকজন আত্মীয়ও উলুখলা গ্রামে তখন অবস্থান করছিলেন। সালিশ শুরু হওয়ার আগে পাপিয়াকে কেরোসিনের আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ অবস্থায় সালিশ আর হয়নি। অগ্নিদগ্ধ পাপিয়া আক্তার কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানান, দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়ে বিয়ে হওয়ায় স্বামীর বাড়ির লোকজন এ বিয়ে সহজভাবে মেনে নেয়নি। এক পর্যায়ে স্বামীও তাদের পক্ষ নিয়ে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘরের দরজা লাগিয়ে দেবর মাশিকুল হক কাপড় দিয়ে পাপিয়ার মুখ ও হাত বেঁধে ফেলে। শ্বশুর আনোয়ারুল হক খোকনকে সঙ্গে নিয়ে শাশুড়ি পারুল আক্তার তখন তার (পাপিয়ার) শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পাপিয়ার খালাতো ভাই শহীদুল ইসলাম বলেন, সালিশ বৈঠকের আয়োজন করায় ক্ষুব্ধ হয় পাপিয়ার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তবে পাপিয়ার স্বামী আশিকুল ওইসময় উপস্থিত না থাকলেও এ ঘটনায় তার ইন্ধন রয়েছে। ঘটনায় হতবিহ্বল পিতা নজির মিয়া এলাকাবাসীর সহযোগিতায় দগ্ধ কন্যাকে প্রথমে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সেখান থেকে কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যান। পাপিয়া চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলে জানা গেছে। কিশোরগঞ্জ জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. পারভেজ আহমেদ বলেন, ওই নারীর মুখের কিছু অংশ, বুক, পিঠ, কোমর ও দুই পা-সহ শরীরের ৮০ ভাগেরও বেশি অংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকার বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করা হয়েছে। করিমগঞ্জ থানার ওসি মো. বজলুর রহমান বলেন, ঘটনার পর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি পালিয়ে গেছে। দেবর মাশিকুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ওসি জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনায় স্বামী আশিকের ইন্ধনের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন স্থান অভিযান চালাচ্ছে।
No comments