স্বাধীন হলো না স্কটল্যান্ড
গণভোট প্রমাণ করল স্বাধীনতা চান না
স্কটিশরা। তাঁরা থাকতে চান যুক্তরাজ্যের সঙ্গেই। আজ শুক্রবার গণভোটের
প্রাথমিক ফলাফলে জানা গেছে এমনটাই। এতে করে যুক্তরাজ্য অখণ্ডই থাকল। তবে
স্কটল্যান্ডের স্বায়ত্তশাসনের দরজা একেবারে বন্ধ হয়নি। কারণ ‘না’ ভোট
জিতলেও স্কটিশদের একটা বড় অংশ ‘হ্যাঁ’ ভোট দিয়েছেন বা সমর্থন করেছেন। তাই
‘হ্যাঁ’ ভোটের সমর্থকেরা মনে করেন স্বাধীনতা লাভের ভবিষ্যৎ এখনো উজ্জ্বল।
এএফপিতে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, স্থানীয় ৩২টি কাউন্সিলের মধ্যে ৩১টির ফলাফলে দেখা গেছে, ‘না’ ভোট পড়েছে ৫৫.৪২ শতাংশ। ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়েছে ৪৪.৫৮ শতাংশ। ফল জানার পরে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে ‘হ্যাঁ’ ভোটের সমর্থকদের।
যেসব স্কটিশ ব্রিটিশ শাসনের অবসান চেয়েছিলেন, গণভোটের এই ফলাফলে তাঁরা অনেকটাই হতাশ। তবে অর্থনৈতিক ঝুঁকি নিয়ে যাঁরা চিন্তিত ছিলেন, এই ফলাফলে তাঁরা অনেকটাই নিশ্চিন্ত হয়েছেন।
পরাজয় মেনে নিয়ে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্বাধীনতাকামী নেতা অ্যালেক্স স্যামন্ড এডিনবরায় জানান, বেশির ভাগ মানুষ ‘না’ ভোট দিয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ স্কটিশ স্বাধীনতা চান না। এই পরিস্থিতিতে স্কটল্যান্ড স্বাধীন দেশ হতে পারবে না। তবে স্যামন্ড মনে করেন, এই ফলাফল স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎকে অনেকটাই উজ্জ্বল করে। কারণ ‘হ্যাঁ’ ভোটের সংখ্যাও কম নয়। অর্থাৎ জনগণের একটা বড় অংশ স্বাধীনতার সূর্য দেখতে চান।
স্কটল্যান্ডের উপফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজেনের বাড়ি গ্লাসগোতে বড় জয় পেয়েছে ‘হ্যাঁ’ ভোট। তবে ‘না’ ভোটের বন্যাকে সেটি রুখতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে যে গ্রামাঞ্চলে ‘না’ ভোট বেশি পড়েছে। কিন্তু শহরে এবং দরিদ্র এলাকাগুলোতে ‘হ্যাঁ’ ভোটের সংখ্যা বেশি।
স্ট্রাথক্লাইড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিষয়ক অধ্যাপক ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ জন কার্টিস বলেন, এটা স্পষ্ট যে ‘না’ ভোট জিতেছে। ফলাফলের বিষয়ে বিবিসির পূর্বাভাস দেওয়ার পরে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন টুইটারে দেওয়া বার্তায় ‘না’ প্রচারাভিযানের অন্যতম নেতা অ্যালিস্টার ডার্লিংকে অভিনন্দন জানান।
পিছু হটার সুযোগ নেই
ভোটের ফলাফলে যুক্তরাজ্যের তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দল স্কটিশ পার্লামেন্টকে আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। একই সঙ্গে ভোটারদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। স্কটল্যান্ডের ডেপুটি ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজন বলেন, গণভোটে এটা প্রমাণ হয়েছে যে বড় একটা অংশ পরিবর্তন চায়। তাই যুক্তরাজ্যের সরকারকে জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতি পালনে আরও তৎপর হতে হবে। তিনি বলেন, স্কটল্যান্ড বদলেছে। এই বদলের ধারণা থেকে পিছু হটার সুযোগ নেই।
স্কটল্যান্ডজুড়ে ৫ হাজার ৫৭৯ কেন্দ্রে গতকাল শুক্রবার সকাল সাতটায় ভোট নেওয়া শুরু হয়। চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। ৪২ লাখ ৮৫ হাজার ৩২৩ জন ভোটার ভোট দিতে নিবন্ধন করেন, যা ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিকদের প্রায় ৯৭ শতাংশ।
এএফপিতে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, স্থানীয় ৩২টি কাউন্সিলের মধ্যে ৩১টির ফলাফলে দেখা গেছে, ‘না’ ভোট পড়েছে ৫৫.৪২ শতাংশ। ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়েছে ৪৪.৫৮ শতাংশ। ফল জানার পরে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে ‘হ্যাঁ’ ভোটের সমর্থকদের।
যেসব স্কটিশ ব্রিটিশ শাসনের অবসান চেয়েছিলেন, গণভোটের এই ফলাফলে তাঁরা অনেকটাই হতাশ। তবে অর্থনৈতিক ঝুঁকি নিয়ে যাঁরা চিন্তিত ছিলেন, এই ফলাফলে তাঁরা অনেকটাই নিশ্চিন্ত হয়েছেন।
পরাজয় মেনে নিয়ে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার ও স্বাধীনতাকামী নেতা অ্যালেক্স স্যামন্ড এডিনবরায় জানান, বেশির ভাগ মানুষ ‘না’ ভোট দিয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ স্কটিশ স্বাধীনতা চান না। এই পরিস্থিতিতে স্কটল্যান্ড স্বাধীন দেশ হতে পারবে না। তবে স্যামন্ড মনে করেন, এই ফলাফল স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার ভবিষ্যৎকে অনেকটাই উজ্জ্বল করে। কারণ ‘হ্যাঁ’ ভোটের সংখ্যাও কম নয়। অর্থাৎ জনগণের একটা বড় অংশ স্বাধীনতার সূর্য দেখতে চান।
স্কটল্যান্ডের উপফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজেনের বাড়ি গ্লাসগোতে বড় জয় পেয়েছে ‘হ্যাঁ’ ভোট। তবে ‘না’ ভোটের বন্যাকে সেটি রুখতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে যে গ্রামাঞ্চলে ‘না’ ভোট বেশি পড়েছে। কিন্তু শহরে এবং দরিদ্র এলাকাগুলোতে ‘হ্যাঁ’ ভোটের সংখ্যা বেশি।
স্ট্রাথক্লাইড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিষয়ক অধ্যাপক ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ জন কার্টিস বলেন, এটা স্পষ্ট যে ‘না’ ভোট জিতেছে। ফলাফলের বিষয়ে বিবিসির পূর্বাভাস দেওয়ার পরে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন টুইটারে দেওয়া বার্তায় ‘না’ প্রচারাভিযানের অন্যতম নেতা অ্যালিস্টার ডার্লিংকে অভিনন্দন জানান।
পিছু হটার সুযোগ নেই
ভোটের ফলাফলে যুক্তরাজ্যের তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দল স্কটিশ পার্লামেন্টকে আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। একই সঙ্গে ভোটারদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। স্কটল্যান্ডের ডেপুটি ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজন বলেন, গণভোটে এটা প্রমাণ হয়েছে যে বড় একটা অংশ পরিবর্তন চায়। তাই যুক্তরাজ্যের সরকারকে জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতি পালনে আরও তৎপর হতে হবে। তিনি বলেন, স্কটল্যান্ড বদলেছে। এই বদলের ধারণা থেকে পিছু হটার সুযোগ নেই।
স্কটল্যান্ডজুড়ে ৫ হাজার ৫৭৯ কেন্দ্রে গতকাল শুক্রবার সকাল সাতটায় ভোট নেওয়া শুরু হয়। চলে রাত ১০টা পর্যন্ত। ৪২ লাখ ৮৫ হাজার ৩২৩ জন ভোটার ভোট দিতে নিবন্ধন করেন, যা ভোটার হওয়ার যোগ্য নাগরিকদের প্রায় ৯৭ শতাংশ।
No comments