‘শেখ হাসিনার ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি’
নেতৃবৃন্দ বলেন, ইতিহাসের নিকৃষ্টতম স্বৈরাচার, গণহত্যার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত সারা পৃথিবীর মানুষের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে আঘাত করেছে। তারা শুধু আশ্রয় দিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি। সম্প্রতি তারা শেখ হাসিনার নামে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট ইস্যু করেছে। যা ব্যবহার করে তিনি পৃথিবীর যেকোনো দেশে ভিসা আবেদন করতে পারবেন, ভ্রমণ করতে পারবেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন। শেখ হাসিনার মতো গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত, শতাধিক হত্যা মামলার আসামিকে এই বিশেষ সুবিধা প্রদান জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনা পরিপন্থি। শেখ হাসিনার ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট ইস্যুর পরও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য দেশের জনগণের আকাক্সক্ষায় আঘাত করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারকে অবিলম্বে গণহত্যাকারী হাসিনাকে আশ্রয় এবং ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট ইস্যুর ব্যাপারে ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক জবাব চাইতে হবে। একইসঙ্গে শেখ হাসিনাসহ ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার সরকারের মন্ত্রী, এমপি, দোসরদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আগামী বুধবার সকাল ১১টায় নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র মঞ্চ ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ মিয়া প্রমুখ।
No comments