সৌদি পারমাণবিক কর্মসূচির অনুমোদন দিল যুক্তরাষ্ট্র
সৌদি
আরব পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করছে। সেখানে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্রের
কয়েকটি কোম্পানি। যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানিমন্ত্রী রিক পেরি যুক্তরাষ্ট্রের
কয়েকটি কোম্পানিকে পারমাণবিক শক্তি প্রযুক্তি বিক্রি ও সহযোগিতার জন্য ছয়টি
বিষয়ে গোপন অনুমোদন দিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ
তথ্য জানানো হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন নীরবেই সৌদি আরবের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য বড় ধরনের চুক্তি করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে কমপক্ষে দুটি পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের বিষয়টিও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও সৌদির কাজ পেতে দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়া দৌড়ঝাঁপ করেছিল। এ বছরের শেষ দিকে বিজয়ী দেশের নাম প্রকাশ করা হবে।
পেরির অনুমোদনের বিষয়টি ‘পার্ট ৮১০ অথোরাইজেশন’ নামে পরিচিত। এর মাধ্যমে কোনো চুক্তির আগে প্রতিষ্ঠানগুলো প্রাথমিক কাজ করার অনুমতি পাবে। তবে চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো যন্ত্রাংশ নিতে পারবে না।
যেসব কোম্পানি অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে তাদের পরিচয় গোপন রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর আগে দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয় ‘পার্ট ৮১০ অথোরাইজেশন’–এর বিষয়গুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখত।
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, অনুরোধের মধ্যে মালিকানা তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং অনুমোদনের বিষয় একাধিক এজেন্সির অনুমোদনের মধ্যে দিয়ে হচ্ছে।
এর আগে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরবের কাছে দ্রুত স্পর্শকাতর পারমাণবিক ক্ষমতা স্থানান্তর করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের উদ্বেগ থেকে ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি পরিষদের প্যানেল একটি তদন্ত করছে।
বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, ওই প্যানেলের কাছে অনেকেই গোপনে তথ্য দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার ঘটালে মধ্যপ্রাচ্য অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ওই প্রযুক্তি স্থানান্তরে চাপ দেওয়ার কথা উঠেছে।
মার্কিন আইনপ্রণেতারা ওই পরিকল্পনার সমালোচনা করে বলছেন, অস্ত্র নির্মাণ কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক প্রযুক্তি স্থানান্তর সে দেশের আইনের পরিপন্থী। সৌদি আরবকে স্পর্শকাতর পারমাণবিক সক্ষম করে তুললে অস্থিতিশীল ওই অঞ্চল আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, বিদ্যুতের উৎস ও প্রয়োজনীয় জ্বালানির চাহিদা মেটাতে তাদের পরমাণু কর্মসূচিতে যেতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো বলছে, প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান পারমাণবিক প্রযুক্তি উন্নয়ন করছে বলে উদ্বেগে রয়েছে সৌদি। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৮০ বিলিয়ন বা ৮ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তির জন্য দৌড়ঝাঁপ করছিলেন যুবরাজ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পারমাণবিক স্থাপনার নকশা কিনতে চাইছিলেন। এ চুক্তির বিষয়টি নিয়ে তখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।
সৌদির সঙ্গে গোপন চুক্তি নিয়ে গত মার্চ মাসে কংগ্রেসে প্রশ্ন করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানিমন্ত্রী রিক পেরি তা কৌশলে এড়িয়ে যান। সৌদির জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে বারবার নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বেসামরিক ও শান্তিপূর্ণ উদ্দেশে ব্যবহার করা যায়। আর্থসামাজিক উন্নয়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে মধ্যপ্রাচ্যকে সব ধরনের পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন নীরবেই সৌদি আরবের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য বড় ধরনের চুক্তি করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে কমপক্ষে দুটি পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের বিষয়টিও রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও সৌদির কাজ পেতে দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়া দৌড়ঝাঁপ করেছিল। এ বছরের শেষ দিকে বিজয়ী দেশের নাম প্রকাশ করা হবে।
পেরির অনুমোদনের বিষয়টি ‘পার্ট ৮১০ অথোরাইজেশন’ নামে পরিচিত। এর মাধ্যমে কোনো চুক্তির আগে প্রতিষ্ঠানগুলো প্রাথমিক কাজ করার অনুমতি পাবে। তবে চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো যন্ত্রাংশ নিতে পারবে না।
যেসব কোম্পানি অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে তাদের পরিচয় গোপন রেখেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর আগে দেশটির জ্বালানি মন্ত্রণালয় ‘পার্ট ৮১০ অথোরাইজেশন’–এর বিষয়গুলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত রাখত।
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, অনুরোধের মধ্যে মালিকানা তথ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং অনুমোদনের বিষয় একাধিক এজেন্সির অনুমোদনের মধ্যে দিয়ে হচ্ছে।
এর আগে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরবের কাছে দ্রুত স্পর্শকাতর পারমাণবিক ক্ষমতা স্থানান্তর করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে। সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের উদ্বেগ থেকে ডেমোক্র্যাট নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি পরিষদের প্যানেল একটি তদন্ত করছে।
বিবিসি অনলাইনের খবরে জানানো হয়, ওই প্যানেলের কাছে অনেকেই গোপনে তথ্য দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার ঘটালে মধ্যপ্রাচ্য অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ওই প্রযুক্তি স্থানান্তরে চাপ দেওয়ার কথা উঠেছে।
মার্কিন আইনপ্রণেতারা ওই পরিকল্পনার সমালোচনা করে বলছেন, অস্ত্র নির্মাণ কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক প্রযুক্তি স্থানান্তর সে দেশের আইনের পরিপন্থী। সৌদি আরবকে স্পর্শকাতর পারমাণবিক সক্ষম করে তুললে অস্থিতিশীল ওই অঞ্চল আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে, বিদ্যুতের উৎস ও প্রয়োজনীয় জ্বালানির চাহিদা মেটাতে তাদের পরমাণু কর্মসূচিতে যেতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো বলছে, প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান পারমাণবিক প্রযুক্তি উন্নয়ন করছে বলে উদ্বেগে রয়েছে সৌদি। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৮০ বিলিয়ন বা ৮ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তির জন্য দৌড়ঝাঁপ করছিলেন যুবরাজ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে পারমাণবিক স্থাপনার নকশা কিনতে চাইছিলেন। এ চুক্তির বিষয়টি নিয়ে তখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।
সৌদির সঙ্গে গোপন চুক্তি নিয়ে গত মার্চ মাসে কংগ্রেসে প্রশ্ন করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানিমন্ত্রী রিক পেরি তা কৌশলে এড়িয়ে যান। সৌদির জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে বারবার নিশ্চিত করে বলা হয়েছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বেসামরিক ও শান্তিপূর্ণ উদ্দেশে ব্যবহার করা যায়। আর্থসামাজিক উন্নয়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে মধ্যপ্রাচ্যকে সব ধরনের পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
No comments