বহুতল ভবনে জরুরি নির্গমন পথ নেই কেন?
রাজধানীর
বনানীতে এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার ঘটনায় শতসহস্র প্রত্যক্ষদর্শীর সামনে
দৃশ্যমান মূল সমস্যাটি ছিল—ওই ভবন থেকে বেরিয়ে আসার জরুরি কোনো পথ ছিল না।
ফায়ার এক্সিট বা আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার জরুরি নির্গমন পথ থাকলে হয়তো এত
প্রাণহানি ঘটত না। কিংবা আগুন নেভানোর নিজস্ব ভালো ব্যবস্থা থাকলে
ক্ষয়ক্ষতি এতটা হতো না। এখন সংগত কারণেই প্রশ্ন ওঠে, রাজধানীতে গড়ে ওঠা এসব
ভবন নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনায় প্রচলিত নিয়মকানুন মানা হচ্ছে কী?
ঢাকায় দিনের পর দিন বহুতল ভবন গড়ে উঠছে। এসব ভবনে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা রাখাসহ নিয়মকানুন মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, যেকোনো ভবন সাততলার ওপর হলেই সেটিকে বহুতল ভবন হিসেবে গণ্য করা হয়।
এ জন্য এসব ভবনে মেনে চলতে হয় কিছু নিয়মকানুন। রাখতে হয় অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা। বহুতল ভবন গড়তে হলে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের কাছ থেকে ফায়ার সিস্টেমের অনুমোদন নিতে হয়। সব কাজ সম্পন্ন হলে নিতে হয় সনদ। ফায়ার সার্ভিসের সদ্য বিদায়ী মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ প্রথম আলোকে জানান, অনুমোদন নিয়ে বাস্তবায়নের পর সনদ নিতে হয়।
আরও যেসব কাজ করতে হয় তাহলো হাইড্রেন্ট সিস্টেম। এরপর রাখতে হয় স্প্রিংলার সিস্টেম। এই পদ্ধতিতে কোনো তলায় ৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা হলেই ওই পাইপ থেকে ঝরনার মতো পানি ছিটিয়ে পড়ে। ১০ ফুট পরপর স্প্রিংলার সিস্টেম বসাতে হয়। এই পদ্ধতিতে নিচে তিনটি পানির পাম্প থাকে, এই পাম্প স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। ফায়ার পাম্প চলে বিদ্যুতে। বিদ্যুৎ না থাকলে স্ট্যান্ড বাই পাম্প জেনারেটর চালু হবে, না হলে জকি পাম্প থাকে। জকি পাম্প প্রতিটি ফ্লোরে সমান গতিতে পানি ছিটিয়ে দেয়। এরপর রয়েছে পিএ সিস্টেম। এই পদ্ধতিতে নিচে একটি কন্ট্রোল রুম বা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। সেই কক্ষ থেকে কন্ট্রোলার ওই ভবনের নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা বিএবিএক্সের মাধ্যমে কোন তলায় আগুন লেগেছে তা জানিয়ে দেবেন।
থাকতে হবে স্মোক ডিটেক্টর বা ধোঁয়া শনাক্তকারী যন্ত্র। এই যন্ত্র বসানো হলে কোনো তলায় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর ওপরে উঠে গেলেই একটি শব্দ করে ভবনের সবাইকে সতর্ক করে দেবে। থাকবে হিট ডিটেক্টর সিস্টেম। এই যন্ত্র বসানো হলে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে সবাইকে জানিয়ে দেবে। এ ছাড়া একজন অগ্নিনির্বাপক কর্মকর্তা থাকবেন, যিনি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সবকিছু তদারক করবেন। সুউচ্চ ভবনে হেলিপ্যাড থাকা বাধ্যতামূলক। প্রতি সাড়ে ৫০০ বর্গফুট আয়তনের জন্য একটি করে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকতে হবে। এরপরও প্রতি তিন মাস পরপর ফায়ার ড্রিল বা অগ্নিনির্বাপণ প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সুউচ্চ ভবনে কমপক্ষে দুটি সিঁড়িপথ থাকবে।
অনেক সময় দেখা যায়, কোনো ভবনে আগুন লাগলে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে লোকজন দিশেহারা হয়ে যায়। ধোঁয়ার কারণে বের হতে পারে না। ফলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে যায়। এ কারণে প্রতি তলায় ‘এক্সিট সাইন বা প্রস্থান চিহ্ন’ থাকা আবশ্যক। এটি থাকলে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও অটোমেটিক বা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এটি আলো জ্বেলে পথ নির্দেশ করবে, যাতে অগ্নিকাণ্ডের শিকার বা কবলে থাকা ব্যক্তি সহজে ওই নির্দেশ অনুসরণ করে বের হয়ে যেতে পারবে। এখন প্রশ্ন হলো, বহুতল ভবনে এসব নিয়মকানুন মেনে চলা হচ্ছে কি?
ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী, এসব নিয়ম সুউচ্চ বা বহুতল ভবনগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক।
ঢাকায় দিনের পর দিন বহুতল ভবন গড়ে উঠছে। এসব ভবনে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা রাখাসহ নিয়মকানুন মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, যেকোনো ভবন সাততলার ওপর হলেই সেটিকে বহুতল ভবন হিসেবে গণ্য করা হয়।
এ জন্য এসব ভবনে মেনে চলতে হয় কিছু নিয়মকানুন। রাখতে হয় অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা। বহুতল ভবন গড়তে হলে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের কাছ থেকে ফায়ার সিস্টেমের অনুমোদন নিতে হয়। সব কাজ সম্পন্ন হলে নিতে হয় সনদ। ফায়ার সার্ভিসের সদ্য বিদায়ী মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ প্রথম আলোকে জানান, অনুমোদন নিয়ে বাস্তবায়নের পর সনদ নিতে হয়।
আরও যেসব কাজ করতে হয় তাহলো হাইড্রেন্ট সিস্টেম। এরপর রাখতে হয় স্প্রিংলার সিস্টেম। এই পদ্ধতিতে কোনো তলায় ৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর তাপমাত্রা হলেই ওই পাইপ থেকে ঝরনার মতো পানি ছিটিয়ে পড়ে। ১০ ফুট পরপর স্প্রিংলার সিস্টেম বসাতে হয়। এই পদ্ধতিতে নিচে তিনটি পানির পাম্প থাকে, এই পাম্প স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। ফায়ার পাম্প চলে বিদ্যুতে। বিদ্যুৎ না থাকলে স্ট্যান্ড বাই পাম্প জেনারেটর চালু হবে, না হলে জকি পাম্প থাকে। জকি পাম্প প্রতিটি ফ্লোরে সমান গতিতে পানি ছিটিয়ে দেয়। এরপর রয়েছে পিএ সিস্টেম। এই পদ্ধতিতে নিচে একটি কন্ট্রোল রুম বা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। সেই কক্ষ থেকে কন্ট্রোলার ওই ভবনের নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা বিএবিএক্সের মাধ্যমে কোন তলায় আগুন লেগেছে তা জানিয়ে দেবেন।
থাকতে হবে স্মোক ডিটেক্টর বা ধোঁয়া শনাক্তকারী যন্ত্র। এই যন্ত্র বসানো হলে কোনো তলায় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর ওপরে উঠে গেলেই একটি শব্দ করে ভবনের সবাইকে সতর্ক করে দেবে। থাকবে হিট ডিটেক্টর সিস্টেম। এই যন্ত্র বসানো হলে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে সবাইকে জানিয়ে দেবে। এ ছাড়া একজন অগ্নিনির্বাপক কর্মকর্তা থাকবেন, যিনি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সবকিছু তদারক করবেন। সুউচ্চ ভবনে হেলিপ্যাড থাকা বাধ্যতামূলক। প্রতি সাড়ে ৫০০ বর্গফুট আয়তনের জন্য একটি করে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকতে হবে। এরপরও প্রতি তিন মাস পরপর ফায়ার ড্রিল বা অগ্নিনির্বাপণ প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সুউচ্চ ভবনে কমপক্ষে দুটি সিঁড়িপথ থাকবে।
অনেক সময় দেখা যায়, কোনো ভবনে আগুন লাগলে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে লোকজন দিশেহারা হয়ে যায়। ধোঁয়ার কারণে বের হতে পারে না। ফলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে যায়। এ কারণে প্রতি তলায় ‘এক্সিট সাইন বা প্রস্থান চিহ্ন’ থাকা আবশ্যক। এটি থাকলে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও অটোমেটিক বা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এটি আলো জ্বেলে পথ নির্দেশ করবে, যাতে অগ্নিকাণ্ডের শিকার বা কবলে থাকা ব্যক্তি সহজে ওই নির্দেশ অনুসরণ করে বের হয়ে যেতে পারবে। এখন প্রশ্ন হলো, বহুতল ভবনে এসব নিয়মকানুন মেনে চলা হচ্ছে কি?
ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী, এসব নিয়ম সুউচ্চ বা বহুতল ভবনগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক।
No comments